Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। শুধু পরীক্ষা নয়, অগ্নিপরীক্ষাই বলব। কংগ্রেসকে শুধু মুছে দেওয়ার হুঙ্কার দিলেই হবে না। ঢেকে দিতে হবে কীর্তিগুলিকেও। নিঃসন্দেহে বলা যত সোজা, করে দেখানো তার চেয়ে অনেক কঠিন কাজ। নোটবাতিলের মতো ফ্লপ শো যেন না হয়! কিন্তু এবার করে দেখাতেই হবে। নরেন্দ্র মোদি কি প্রস্তুত?
সেই ’৭১ সালে জন্মের শুরু থেকেই অশান্তি ও বিতর্ক দেশটার পিছু ছাড়েনি এক মুহূর্তের জন্য। ভূমিষ্ঠ হওয়ার চার বছরের ব্যবধানে সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এক অর্থে তিনিও ছিলেন জাতির জনক। ঐতিহাসিকরা বলেন বঙ্গবন্ধুর নিধন এবং তারও ২৭ বছর আগে এপারে মহাত্মা গান্ধীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড বিশাল এই উপমহাদেশের ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতিরই অনিবার্য বিষময় ফল। আমরা আজও তা বহন করে চলেছি নির্মমভাবে। সেইসঙ্গে এক আশ্চর্য ঐতিহাসিক সমাপতনেরও মোক্ষম উদাহরণ! কারণ, দু’টি ঘটনাই ঘটেছে ধর্মীয় কারণে এবং দু’দেশের স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারির গান্ধী হত্যা থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর নিকেশ এবং হালের ৫ আগস্ট ২০২৪’এ মুজিব কন্যার প্রাণ বাঁচাতে আকস্মিক দেশত্যাগ, সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহ কোথাও যেন একই সুরে বাঁধা। এই বিভাজন থেকেই পাবনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনায় হিন্দুরা আজ চূড়ান্ত বিপন্ন। মঠ-মন্দির আক্রান্ত, অকুতোভয় সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস অন্যায়ভাবে হাজতে। অবিলম্বে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আসল অসুখটার নাম ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, যার কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি  বিশ্বচরাচরে। এই রোগ আজন্ম অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। কাজ হয় না স্টেরয়েডেও! শুধু ধূসর বইয়ের পাতায় লেখা থাকে, একই বৃন্তে দু’টি...। প্রার্থনা একটাই, ওই কুসুম ক্ষেপণাস্ত্র হয়ে যেন নিক্ষেপিত না হয় একে অপরের দিকে!
প্রতিবেশী বাংলাদেশে হালে ৫৩ বছর আগের অশান্তিরই অবিকল পুনরাবৃত্তি। হাসিনাকে দেশছাড়া করেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ক্ষান্ত হয়নি মৌলবাদীরা। উল্টে যতদিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের পক্ষে। তাদের বাড়িঘর, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দুর্গাপুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। বিগ্রহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে অতর্কিতে। একের পর এক ঘটনায় অকারণে সাধু সন্তরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। সবচেয়ে বড় বিতর্ক চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি নিয়ে। তাঁর অপরাধ তিনি ভয়কে দূরে ঠেলে ঘুরে ঘুরে হিন্দুদের সংগঠিত করছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলছিলেন। এতেই প্রমাণ হয়, ইউনুস সরকার জেনেবুঝে হিন্দুবিরোধীদের মদত দিচ্ছে। কিংবা তিনি পুতুল, ক্ষমতার রাশ অন্য কারও হাতে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দর্শক সেজে বসে আছে মাত্র। সরকারি সেই উদাসীনতার সুযোগেই নির্মম দমনপীড়ন নেমে আসছে হিন্দুদের উপর।
তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান অশান্ত হলে হস্তক্ষেপ করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। তথাকথিত মুজিবরের মুক্তি ফৌজের পাশে দাঁড়িয়ে ছিনিয়ে এনেছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা। জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। ইন্দিরা গান্ধীর নাম সেই সুবাদেই স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এবং সামনের একশো বছরও থাকবে উপমহাদেশের ইতিহাসে। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আর ক’দিন পরই সেই ঐতিহাসিক ঘটনার  ৫৩ বছর পূর্তি। এক অর্থে ভারত ভেঙে আজ তিন টুকরো। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, দু’ভাগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়। আর ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা, তবু নিন্দুকেরা যাই বলুন, একমাত্র এই অংশই এখনও ধর্মনিরপেক্ষতাকে আঁকড়ে ধরে চলছে। রাজনৈতিক নানা মতভেদ সত্ত্বেও তার এখনও অন্যথা হয়নি। কিন্তু এটাও ঠিক, পথ ও মতের এই বিশাল পার্থক্যের দরুনই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শক্তি হওয়া হল না আমাদের। জিন্নাকে ঘুঁটি করে ব্রিটিশ রাজশক্তির সক্রিয়তায় কার্যকর হওয়া ‘টু নেশন (পড়ুন, থ্রি নেশন!) থিয়োরি’ এখানেই সফল।
আজ আবার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান, যা অধুনা বাংলাদেশ নামে পরিচিত, তা অগ্নিগর্ভ। চলছে হিন্দু নিধন। রাষ্ট্রের প্ররোচনায় এই ‘এথনিক ক্লিনজিং’ কার স্বার্থে এবং কাকে দুর্বল করতে? এর কোনও উত্তর নেই শিক্ষিত-অশিক্ষিত কারও কাছে। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’ শুধু কথার কথা হয়ে যেন শোভা না পায়। একই বৃন্তে দু’টি কুসুম হওয়া না হয় আমাদের আর হয়ে ওঠে না কিছুতেই। কিন্তু তা বলে মানবিকতার মৃত্যু! হানাহানি করেই ক্ষয় হয় শক্তির। আবার বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত, এই উদাহরণ টেনে এদেশের পরিবেশকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা হয় মেরুকরণের স্বার্থে। গণ্ডগোল থামাতে আগ্রহ যতটা, তার চেয়ে বেশি ঝোঁক সেই আগুনে সেঁকে ভোটের কড়ি ঘরে তোলার!
কিন্তু তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, নরেন্দ্র মোদি কি অর্ধশতাব্দীর আগের লৌহমানবী ইন্দিরা হতে পারবেন? বিশ্বগুরু শুধু স্লোগানে আর উচ্চকিত প্রচারে সীমাবদ্ধ থাকলে জনগণ একদিন দুয়ো দিতে বাধ্য। তাই বাংলাদেশে আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানজনক অবস্থানের পরিবেশ গড়ে তোলাই নরেন্দ্র মোদির প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে নির্বাচিত সরকার নেই। যুযুধান বিএনপি’ও কিন্তু বেশ পিছিয়ে পড়েছে। রাশ এখন জামাতের হাতে। পরিস্থিতির প্রয়োজনে ইউনুসকে পুতুল সাজিয়ে মজা লুটছে কোন বিদেশি শক্তি! তাই ভারতকে আবার প্রোঅ্যাক্টিভ ভূমিকা নিতেই হবে। কিছুদিনের মধ্যেই হোয়াইট হাউসে ফিরছেন বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজ্যপাট ফিরিয়ে দেওয়ার এই সুযোগ। মোদিজি বলতেই পারেন ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে পরিবারের একঝাঁক সদস্য সমেত বঙ্গবন্ধু নিজের ধানমণ্ডির বাড়িতেই যেদিন খুন হয়েছিলেন, তখন তদানীন্তন ভারত সরকার কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু তিনি হাসিনাকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছেন। বাকি রয়েছে ঢাকায় নির্বাচিত সরকার গঠন। সেদিকেও নিশ্চিতভাবে কড়া নজর রয়েছে দিল্লির।
ভাবা যায়, বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমতে কমতে মাত্র ৭ শতাংশে নেমে এসেছে! ১৯৪৭-এ সমগ্র পাকিস্তানে হিন্দু ছিল ২৪ শতাংশ, ৩০ শতাংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। সেন্সাস অনুসারে, ১৯৫১-তেও পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ, ১৯৭৪ সালে তাদের ১৪ শতাংশ টিকে ছিল। এখন সেই মুলুকে হিন্দু ২.১৪ শতাংশ আগামী তিন দশকে বাংলাদেশ ‘হিন্দুশূন্য’ এক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটাকে ‘এথনিক ক্লিনজিং’ আখ্যা দেওয়া কি অতিরঞ্জন? রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ খারিজের দাবিও জোরদার হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেও কি হিন্দুপ্রীতির অপরাধে? প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে ভারতের রাজপথেও। নিরাপত্তার দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিল বেরচ্ছে বাংলাদেশেরও নানা স্থানে। দিল্লির সরকার জানিয়ে দিয়েছে, একাত্তরের পুনরাবৃত্তি তারা চায় না। ভারতের দরজা বাংলাদেশি শরণার্থীদের সামনে আর অবারিত নয়। বস্তুত খাঁচায় পড়া ইঁদুরের দশা এখন বাংলাদেশিদের! নিঃসন্দেহে এসব কোনও সভ্যসমাজের বিজ্ঞাপন নয়। 
কিন্তু একইসঙ্গে এটাই মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে হিন্দু আক্রান্ত বলে এই বাংলায় সেই সুযোগে মেরুকরণের চেষ্টাও সমান অপরাধ। সাম্প্রদায়িক বিভাজন কখনও কোথাও উন্নয়নের পরিপূরক হতে পারে না। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ—এটাই আমাদের শক্তি এবং গর্বও। প্রতিশোধ কিংবা বদলা নয়, সহাবস্থানই এই দর্শনের মূল কথা। সেই শক্তির জোরেই পাকিস্তানকে সহস্র যোজন পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে এবং প্রাত্যহিক যাপনে। ধর্মের নামে যেখানেই সমাজকে টুকরো করার চেষ্টা হয়েছে সেখানেই বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানের মতো থমকে গিয়েছে উন্নয়নের সূচক। ভারতে বিভাজনের বিষ ছড়াতে যাঁরা উদগ্রীব, যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিদায় দিয়ে শক্তিশালী হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকেই ধ্রুবতারা করে অগ্রসর হচ্ছেন, তাঁরা এই জ্বলন্ত উদাহরণটি যেন ভুলে না যান। তাহলে ভারতের অবস্থাও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতোই হবে। তাই সময় থাকতেই সাধু সাবধান! দাঙ্গা নয়, হানাহানি নয়, সহাবস্থান।
01st  December, 2024
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
রাশিয়ার মসনদে পুতিনের ২৫ বছর
মৃণালকান্তি দাস

সময়টা ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। রাশিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন হঠাৎ তাঁর পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘নতুন রাজনীতিবিদ, নতুন মুখ আর বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণচঞ্চল ও শক্তিশালী নতুন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে রাশিয়াকে নতুন শতকে পা রাখতে হবে।’ বিশদ

09th  January, 2025
মোদির পর কে? নিঃশব্দ যুদ্ধ অমিত ও যোগীর
সন্দীপন বিশ্বাস

ডি এল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরংজীব যখন ভাইদের হত্যা করে সিংহাসন দখল করলেন, তখনই তাঁর সেই প্রাপ্তির মধ্যেও জেগে উঠল ভয়ঙ্কর এক আতঙ্ক। ঘুমের মধ্যেও যেন তিনি আঁৎকে ওঠেন। বলেন, ‘কে তোমরা? জ্যোতির্ময়ী ধূমশিখার মতো মাঝে মাঝে আমার জাগ্রত তন্দ্রায় এসে দেখা দিয়ে যাও। বিশদ

08th  January, 2025
বিশ্বাসের পূর্ণকুম্ভে পরীক্ষা হিন্দুত্ব রাজনীতির
শান্তনু দত্তগুপ্ত

চারদিকে শুধুই আখড়া। ছোট, বড়, মাঝারি... পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যাবে না। থমকে দাঁড়াতেই হবে। শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত... কিছুতেই যে আলাদা করা যায় না! ওই তো কানে আসছে ভজন। আর একটু এগোলে রামচরিতমানস পাঠ শোনা যাবে। আর ভেসে আসবে বেদগান। বিশদ

07th  January, 2025
পরিবর্তনের বীজ বপন মনমোহনেরই হাতে
পি চিদম্বরম

গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার চলে গেলেন ডঃ মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেদিনই তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগের শুরু। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গেই অবসান ঘটল আমাদের মধ্যে সেই সুসম্পর্কের।
বিশদ

06th  January, 2025
একনজরে
মার্কিন বিদেশ নীতিতে বড়সড় বদলের সম্ভাবনা। কিউবাকে ‘সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা রাষ্ট্রে’র তালিকা থেকে বাদ দিতে চলেছে আমেরিকা। শেষবেলায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ...

আউশগ্রামের যদুগড়িয়া গ্রামে ছোট দুই মেয়ের সামনেই শাবল দিয়ে মেরে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করে স্বামী। এমনকী, দু’দিন ধরে স্ত্রীর দেহ কাপড় ও প্লাস্টিক দিয়ে জড়িয়ে ...

একদিকে ভৌগলিক অবস্থান। অন্যদিকে কাঁচা টাকার হাতছানি। মালদহে বাড়ছে খুনোখুনি, গোষ্ঠী কোন্দল। যা আসলে মাঝেমধ্যেই গ্যাংওয়ারের চেহারা নিচ্ছে। ...

বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডের বাড়ি সংক্রান্ত মামলায় ফের অর্জুন সিংকে তলব করল বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। মঙ্গলবার প্রাক্তন সাংসদকে নোটিস ধরানো হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

স্ত্রীর  শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে হঠাৎ সমস্যায় মানসিক চিন্তা ও উদ্বেগ। কাজকর্ম কমবেশি এগবে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৬১- ফরাসিদের কাছ থেকে পণ্ডিচেরির দখল নিল ব্রিটিশরা
১৭৬৮- কলকাতায় প্রথম ঘোড়া দৌড় শুরু হয়
১৯০১- ভাষাতাত্ত্বিক ও সাহিত্য বিশারদ সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১০- বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের জন্ম
১৯২২- কুমিল্লায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন
১৯২৪-  বিশিষ্ট আইনজ্ঞ রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯২৪-  বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক ওপি নাইয়ারের জন্ম
১৯৩১- ভারতে প্রথম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় নল-জাত শিশু দুর্গার সৃষ্টিকর্তা হিসেবে স্বীকৃত ভারতীয় চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮- কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪০- অভিনেতা চিন্ময় রায়ের জন্ম
১৯৪১- সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ
১৯৪৫- অ্যাডলফ হিটলার ব্যাঙ্কারে অবস্থান গ্রহণ করেন
১৯৪৬- অভিনেতা কবির বেদির জন্ম
১৯৭৭- অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
২০২২- বাংলা থিয়েটার ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্রর মৃত্যু
২০২২- কিংবদন্তি কত্থক শিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৩ টাকা ৮৭.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৪ টাকা ১০৭.৩২ টাকা
ইউরো ৮৭.৩১ টাকা ৯০.৬৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৫৪/২০ রাত্রি ৪/৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ১২/১৫ দিবা ১১/১৭। সূর্যোদয় ৬/২৩/৮, সূর্যাস্ত ৫/৯/৪০। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৫ গতে ৩/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। বারবেলা ২/২৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৭ গতে ১/২৫ মধ্যে। 
২ মাঘ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ১২/১৩। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/৯। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৭ গতে ১/২৭ মধ্যে।   
১৫ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লি নির্বাচন: চতুর্থ তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস, রয়েছে ৫ জন প্রার্থীর নাম

15-01-2025 - 11:56:00 PM

পাঞ্জিপাড়ায় পুলিস কর্মীদের গুলির ঘটনায়, অকুস্থলে এল স্নিফার ডগ
পুলিস কর্মীদের গুলি করে বিচারাধীন বন্দি পালানোর ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের ...বিশদ

15-01-2025 - 11:13:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: রাতে আলোয় সেজে উঠল প্রয়াগরাজ

15-01-2025 - 10:55:00 PM

কটোয়ায় বাড়িতে চুরির ঘটনায় কালনা থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মহিলা, উদ্ধার টাকা ও গয়না

15-01-2025 - 10:44:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: মেলায় এলেন কাঁটেওয়ালে বাবা

15-01-2025 - 10:18:00 PM

কর্ণাটকের মুলকি এলাকা থেকে বিপুল মাদক উদ্ধার করল পুলিস

15-01-2025 - 10:06:00 PM