Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি কি ৫৩ বছর আগের ইন্দিরা হতে পারবেন?
হিমাংশু সিংহ

লৌহমানবী ইন্দিরা গান্ধী কড়া হাতে মোকাবিলা না করলে অর্ধশতাব্দী আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কি না তার উত্তর আমাদের অজানা। সেই প্রশ্নের জবাব অধুনা কোনও ৫৬ ইঞ্চি ছাতির লোকদেখানো বীরপুঙ্গবও দিতে পারেন কি না, আপাতত তারই পরীক্ষা। শুধু পরীক্ষা নয়, অগ্নিপরীক্ষাই বলব। কংগ্রেসকে শুধু মুছে দেওয়ার হুঙ্কার দিলেই হবে না। ঢেকে দিতে হবে কীর্তিগুলিকেও। নিঃসন্দেহে বলা যত সোজা, করে দেখানো তার চেয়ে অনেক কঠিন কাজ। নোটবাতিলের মতো ফ্লপ শো যেন না হয়! কিন্তু এবার করে দেখাতেই হবে। নরেন্দ্র মোদি কি প্রস্তুত?
সেই ’৭১ সালে জন্মের শুরু থেকেই অশান্তি ও বিতর্ক দেশটার পিছু ছাড়েনি এক মুহূর্তের জন্য। ভূমিষ্ঠ হওয়ার চার বছরের ব্যবধানে সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এক অর্থে তিনিও ছিলেন জাতির জনক। ঐতিহাসিকরা বলেন বঙ্গবন্ধুর নিধন এবং তারও ২৭ বছর আগে এপারে মহাত্মা গান্ধীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড বিশাল এই উপমহাদেশের ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতিরই অনিবার্য বিষময় ফল। আমরা আজও তা বহন করে চলেছি নির্মমভাবে। সেইসঙ্গে এক আশ্চর্য ঐতিহাসিক সমাপতনেরও মোক্ষম উদাহরণ! কারণ, দু’টি ঘটনাই ঘটেছে ধর্মীয় কারণে এবং দু’দেশের স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরেই। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারির গান্ধী হত্যা থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বঙ্গবন্ধুর নিকেশ এবং হালের ৫ আগস্ট ২০২৪’এ মুজিব কন্যার প্রাণ বাঁচাতে আকস্মিক দেশত্যাগ, সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহ কোথাও যেন একই সুরে বাঁধা। এই বিভাজন থেকেই পাবনা, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনায় হিন্দুরা আজ চূড়ান্ত বিপন্ন। মঠ-মন্দির আক্রান্ত, অকুতোভয় সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস অন্যায়ভাবে হাজতে। অবিলম্বে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আসল অসুখটার নাম ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, যার কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি  বিশ্বচরাচরে। এই রোগ আজন্ম অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। কাজ হয় না স্টেরয়েডেও! শুধু ধূসর বইয়ের পাতায় লেখা থাকে, একই বৃন্তে দু’টি...। প্রার্থনা একটাই, ওই কুসুম ক্ষেপণাস্ত্র হয়ে যেন নিক্ষেপিত না হয় একে অপরের দিকে!
প্রতিবেশী বাংলাদেশে হালে ৫৩ বছর আগের অশান্তিরই অবিকল পুনরাবৃত্তি। হাসিনাকে দেশছাড়া করেই সমস্যার সমাধান হয়নি। ক্ষান্ত হয়নি মৌলবাদীরা। উল্টে যতদিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের পক্ষে। তাদের বাড়িঘর, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দুর্গাপুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। বিগ্রহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে অতর্কিতে। একের পর এক ঘটনায় অকারণে সাধু সন্তরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। সবচেয়ে বড় বিতর্ক চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি নিয়ে। তাঁর অপরাধ তিনি ভয়কে দূরে ঠেলে ঘুরে ঘুরে হিন্দুদের সংগঠিত করছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলছিলেন। এতেই প্রমাণ হয়, ইউনুস সরকার জেনেবুঝে হিন্দুবিরোধীদের মদত দিচ্ছে। কিংবা তিনি পুতুল, ক্ষমতার রাশ অন্য কারও হাতে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দর্শক সেজে বসে আছে মাত্র। সরকারি সেই উদাসীনতার সুযোগেই নির্মম দমনপীড়ন নেমে আসছে হিন্দুদের উপর।
তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান অশান্ত হলে হস্তক্ষেপ করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। তথাকথিত মুজিবরের মুক্তি ফৌজের পাশে দাঁড়িয়ে ছিনিয়ে এনেছিল পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা। জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। ইন্দিরা গান্ধীর নাম সেই সুবাদেই স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এবং সামনের একশো বছরও থাকবে উপমহাদেশের ইতিহাসে। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। আর ক’দিন পরই সেই ঐতিহাসিক ঘটনার  ৫৩ বছর পূর্তি। এক অর্থে ভারত ভেঙে আজ তিন টুকরো। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, দু’ভাগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়। আর ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুরা, তবু নিন্দুকেরা যাই বলুন, একমাত্র এই অংশই এখনও ধর্মনিরপেক্ষতাকে আঁকড়ে ধরে চলছে। রাজনৈতিক নানা মতভেদ সত্ত্বেও তার এখনও অন্যথা হয়নি। কিন্তু এটাও ঠিক, পথ ও মতের এই বিশাল পার্থক্যের দরুনই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শক্তি হওয়া হল না আমাদের। জিন্নাকে ঘুঁটি করে ব্রিটিশ রাজশক্তির সক্রিয়তায় কার্যকর হওয়া ‘টু নেশন (পড়ুন, থ্রি নেশন!) থিয়োরি’ এখানেই সফল।
আজ আবার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান, যা অধুনা বাংলাদেশ নামে পরিচিত, তা অগ্নিগর্ভ। চলছে হিন্দু নিধন। রাষ্ট্রের প্ররোচনায় এই ‘এথনিক ক্লিনজিং’ কার স্বার্থে এবং কাকে দুর্বল করতে? এর কোনও উত্তর নেই শিক্ষিত-অশিক্ষিত কারও কাছে। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’ শুধু কথার কথা হয়ে যেন শোভা না পায়। একই বৃন্তে দু’টি কুসুম হওয়া না হয় আমাদের আর হয়ে ওঠে না কিছুতেই। কিন্তু তা বলে মানবিকতার মৃত্যু! হানাহানি করেই ক্ষয় হয় শক্তির। আবার বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত, এই উদাহরণ টেনে এদেশের পরিবেশকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা হয় মেরুকরণের স্বার্থে। গণ্ডগোল থামাতে আগ্রহ যতটা, তার চেয়ে বেশি ঝোঁক সেই আগুনে সেঁকে ভোটের কড়ি ঘরে তোলার!
কিন্তু তার চেয়েও বড় প্রশ্ন, নরেন্দ্র মোদি কি অর্ধশতাব্দীর আগের লৌহমানবী ইন্দিরা হতে পারবেন? বিশ্বগুরু শুধু স্লোগানে আর উচ্চকিত প্রচারে সীমাবদ্ধ থাকলে জনগণ একদিন দুয়ো দিতে বাধ্য। তাই বাংলাদেশে আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানজনক অবস্থানের পরিবেশ গড়ে তোলাই নরেন্দ্র মোদির প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে নির্বাচিত সরকার নেই। যুযুধান বিএনপি’ও কিন্তু বেশ পিছিয়ে পড়েছে। রাশ এখন জামাতের হাতে। পরিস্থিতির প্রয়োজনে ইউনুসকে পুতুল সাজিয়ে মজা লুটছে কোন বিদেশি শক্তি! তাই ভারতকে আবার প্রোঅ্যাক্টিভ ভূমিকা নিতেই হবে। কিছুদিনের মধ্যেই হোয়াইট হাউসে ফিরছেন বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজ্যপাট ফিরিয়ে দেওয়ার এই সুযোগ। মোদিজি বলতেই পারেন ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে পরিবারের একঝাঁক সদস্য সমেত বঙ্গবন্ধু নিজের ধানমণ্ডির বাড়িতেই যেদিন খুন হয়েছিলেন, তখন তদানীন্তন ভারত সরকার কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু তিনি হাসিনাকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছেন। বাকি রয়েছে ঢাকায় নির্বাচিত সরকার গঠন। সেদিকেও নিশ্চিতভাবে কড়া নজর রয়েছে দিল্লির।
ভাবা যায়, বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমতে কমতে মাত্র ৭ শতাংশে নেমে এসেছে! ১৯৪৭-এ সমগ্র পাকিস্তানে হিন্দু ছিল ২৪ শতাংশ, ৩০ শতাংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। সেন্সাস অনুসারে, ১৯৫১-তেও পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ, ১৯৭৪ সালে তাদের ১৪ শতাংশ টিকে ছিল। এখন সেই মুলুকে হিন্দু ২.১৪ শতাংশ আগামী তিন দশকে বাংলাদেশ ‘হিন্দুশূন্য’ এক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটাকে ‘এথনিক ক্লিনজিং’ আখ্যা দেওয়া কি অতিরঞ্জন? রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ খারিজের দাবিও জোরদার হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেও কি হিন্দুপ্রীতির অপরাধে? প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে ভারতের রাজপথেও। নিরাপত্তার দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিল বেরচ্ছে বাংলাদেশেরও নানা স্থানে। দিল্লির সরকার জানিয়ে দিয়েছে, একাত্তরের পুনরাবৃত্তি তারা চায় না। ভারতের দরজা বাংলাদেশি শরণার্থীদের সামনে আর অবারিত নয়। বস্তুত খাঁচায় পড়া ইঁদুরের দশা এখন বাংলাদেশিদের! নিঃসন্দেহে এসব কোনও সভ্যসমাজের বিজ্ঞাপন নয়। 
কিন্তু একইসঙ্গে এটাই মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে হিন্দু আক্রান্ত বলে এই বাংলায় সেই সুযোগে মেরুকরণের চেষ্টাও সমান অপরাধ। সাম্প্রদায়িক বিভাজন কখনও কোথাও উন্নয়নের পরিপূরক হতে পারে না। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ—এটাই আমাদের শক্তি এবং গর্বও। প্রতিশোধ কিংবা বদলা নয়, সহাবস্থানই এই দর্শনের মূল কথা। সেই শক্তির জোরেই পাকিস্তানকে সহস্র যোজন পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে এবং প্রাত্যহিক যাপনে। ধর্মের নামে যেখানেই সমাজকে টুকরো করার চেষ্টা হয়েছে সেখানেই বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানের মতো থমকে গিয়েছে উন্নয়নের সূচক। ভারতে বিভাজনের বিষ ছড়াতে যাঁরা উদগ্রীব, যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিদায় দিয়ে শক্তিশালী হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকেই ধ্রুবতারা করে অগ্রসর হচ্ছেন, তাঁরা এই জ্বলন্ত উদাহরণটি যেন ভুলে না যান। তাহলে ভারতের অবস্থাও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতোই হবে। তাই সময় থাকতেই সাধু সাবধান! দাঙ্গা নয়, হানাহানি নয়, সহাবস্থান।
নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। বিশদ

30th  November, 2024
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
একনজরে
রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যর উন্নয়ন তহবিলের আর্থিক সহায়তায় শনিবার কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের বৃত্তিমূলক বিভাগের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন হল। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রঘুনাথ মণ্ডল, শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষক তাপস কুমার কার্ফা প্রমুখ। ...

উত্তর দিনাজপুর জেলার শিল্পদ্যোগীদের পাশে রাজ্য সরকার। নতুন শিল্পদ্যোগী তৈরি করতে এবং ব্যবসায়ীদের উত্সাহ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলার চার হাজার ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প সংস্থাকে ‘উদ্যম’ পোর্টালে নথিভুক্ত করার টার্গেট নিয়ে শুরু হচ্ছে ‘শিল্পের সমাধানে এমএসএমই ক্যাম্প’। ...

এবার ‘নোটিফায়েবল ডিজিস’-এর তালিকায় যুক্ত করা হল সাপে কামড়ানো ও তার জেরে মৃত্যুর ঘটনাকেও। সম্প্রতি এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। ...

আমতা বিধানসভার কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোনও নিজস্ব ভবন ছিল না। এতে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ নানা সমস্যায় পড়তেন। অবশেষে গোবিন্দপুর সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিজস্ব নতুন ভবন চালু হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব এইডস দিবস
১৭৬১: মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর জন্ম
১৯৩২:  ঔপন্যাসিক, কল্পবিজ্ঞান লেখক ও সম্পাদক অদ্রীশ বর্ধনের জন্ম
১৯৫৪: সমাজকর্মী মেধা পাটেকরের জন্ম
১৯৫৫: বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী উদিত নারায়ণের জন্ম
১৯৫৯: বিশিষ্ট পারকাসানিস্ট শিবমণির জন্ম
১৯৬৩: ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষিত হল নাগাল্যাণ্ড
১৯৬৪: বৃটিশ-ভারতীয় বিজ্ঞানী জে বি এস হ্যালডেনের মৃত্যু
১৯৬৫: প্রতিষ্ঠিত হল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)
১৯৭৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী সুচেতা কৃপালিনীর মৃত্যু
১৯৮০: ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের জন্ম
১৯৯৭: বিহারের লক্ষ্মণপুর-বাথে অঞ্চলে ৬৩জন নিম্নবর্গীয়কে খুন করল রণবীর সেনা
১৯৯৯: গায়ক শান্তিদেব ঘোষের মৃত্যু
২০১৩: সঙ্গীতশিল্পী ও নজরুলগীতি বিশেষজ্ঞা পূরবী দত্তের মৃত্যু
২০১৫: বিশিষ্ট সারেঙ্গি বাদক উস্তাদ সাবরি খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৭৩ টাকা ৮৫.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৮৫ টাকা ১০৯.৬১ টাকা
ইউরো ৮৭.৮২ টাকা ৯১.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা ১৪/২৮ দিবা ১১/৫১। অনুরাধা নক্ষত্র ২০/৫০ দিবা ২/২৪। সূর্যোদয় ৬/৪/২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৮/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৯/১৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৫২ গতে ১/৩৯ মধ্যে পুনঃ ২/৩২ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২২ গ. ৪/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/৫ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৬ গতে ২/৪৫ মধ্যে।  
১৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪। অমাবস্যা দিবা ১১/১৭। অনুরাধা নক্ষত্র দিবা ২/৪৫। সূর্যোদয় ৬/৫, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৮ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৩ গতে ৯/২১ মধ্যে ও ১২/২ গতে ১/৫০ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৬/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ ৩/২৭ গতে ৪/১০ মধ্যে। বারবেলা ১০/৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৬ গতে ২/৪৬ মধ্যে। 
২৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রস্তুতি ম্যাচ, দ্বিতীয় দিন: ভারতের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী একাদশ ১৫৪/৭, ২৯ ওভার (৪৬ ওভারে হবে খেলা)

12:08:00 PM

চেন্নাইতে ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন ম্যাডলি সাবওয়ে

12:06:00 PM

ফেনজল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে চেন্নাইতে মৃত ৩, বিধ্বস্ত পুদুচেরিও

12:05:14 PM

উত্তরপ্রদেশে খেলার মাঠে দৌড়তে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হল ১৪ বছরের কিশোরের, এলাকায় চাঞ্চল্য

11:55:00 AM

শিল্পা শেট্টির স্বামী তথা মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রাকে পর্নোগ্রাফিকাণ্ডে তলব করল ইডি

11:46:00 AM

৪০ টাকায় পৌঁছল আলুর দাম
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি বাজারে আলুর দাম পৌঁছাল ৪০ টাকায়। প্রশাসনিক ...বিশদ

11:38:00 AM