Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। পিছনে বসে থাকবেন তাঁর স্বপ্নের নারী। আর চাকার গতিতে বেজে উঠবে সুর, ‘এই পথ যদি না শেষ হয়।’ এই গতির রোমান্সে ডুবে আছে বর্তমান প্রজন্ম। 
একটা বাইক বদলে দিচ্ছে যৌবনের দর্শন। সেই বাইক তাঁর মধ্যে শুধু হিরোইজমের ভ্রান্ত বীজই বুনে দিচ্ছে না, তাঁকে পারিপার্শ্বিক জগৎ সম্পর্কে সবকিছু ভুলিয়ে দিচ্ছে। তখন সেই মোহের আবরণে তাঁর মনে হয়, আমি ছাড়া পারিপার্শ্বিক সবকিছুই যেন মিথ্যে, মায়া। তাই বেপরোয়া গতির কারণে যেমন বারবার দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা, তেমনই অন্যেরও মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠছেন। তাঁদের মধ্যে গড়ে উঠছে একটা অবাধ্য মন। যে মন কোনও নিয়মের পরোয়া করে না। না ট্রাফিক আইনের, না গতি নিয়ন্ত্রণের, না হেলমেট পরার। একটা গা জোয়ারি ভাব দেখা যায় অনেক বাইক চালকের ম঩ধ্যেই। অনেকে সাইলেন্সার খুলে বিকট শব্দে বাইক চালিয়ে মানুষের বিরক্তি ও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। যানজটেও দেখা যায়, অল্প জায়গার মধ্য দিয়ে এঁকেবেঁকে আগে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছেন খাদ্য সরবরাহকারী এজেন্টরা। তাঁদের দায়বদ্ধতা সময়ের কাছে। সময়ে খাবার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে না পারলে তাঁদের কমিশনে কোপ পড়বে। তাই জীবনধারণের জন্য হাতের মুঠোয় জীবনকে নিয়ে তাঁরাও ছুটছেন। সব মিলিয়ে আজ যেন আমাদের জীবন যন্ত্রণার মধ্যে নতুনতর উপসর্গ হয়ে দেখা দিয়েছে বাইক। বাইকের দৌরাত্ম্য ঘিরে ভুক্তভোগী কমবেশি আমরা সবাই। এই যন্ত্রণা শুধু শহরের নয়, এই যন্ত্রণার শিকার জেলার মফস্‌সল শহর কিংবা গ্রামও। 
কলকাতা শহরে রাস্তার যা পরিসর, সেই তুলনায় গাড়ি বেড়েছে প্রচুর। সেই সাহেবদের আমল থেকে এই শহরে যতটা বাড়ি, ঘর বেড়েছে, সেই তুলনায় রাস্তা তেমন বাড়েনি। তাই চলাচলের ক্ষেত্রে যতটা নিয়ন্ত্রণ দরকার, ততটা নিয়ন্ত্রণ বাইক চালকদের মধ্যে দেখা যায় না। এদিকে রাতের শহরে বেড়ে যায় জয় রাইডের আকর্ষণ। রাত বাড়লে কলকাতা শহরের রাস্তা হয়ে ওঠে যেন গ্রাঁ পি প্রতিযোগিতার ট্র্যাক। চালকরা নিজেদের মনে করেন পৃথিবী বিখ্যাত সব বাইকার— লুকা মারিনি, দানি পেদ্রোসা বা মার্ক মারকোয়েজ। নিউটাউন, বাইপাস, রেড রোড, মা উড়ালপুল, সম্প্রীতি উড়ালপুল, ভিআইপি রোড, টালিগঞ্জ, বেহালা, আলিপুর হয়ে ওঠে জয় রাইডের অবাধ ক্ষেত্র। বাইকের চাকার তীব্র গতিতে যেন জেগে ওঠে যৌবনের জলতরঙ্গ। যৌবনের অবিরাম গতির নেশা তাঁকে যেন তাড়িয়ে মারে। ‘শুধু ধাও শুধু ধাও উদ্দাম উধাও’। কিন্তু সেখানে মুহূর্ত স্খলনের মধ্যে লেখা হয়ে যায় মৃত্যুর পরোয়ানা। 
জেলার বিভিন্ন হাইওয়েতে রাত হলেই বাইক কম্পিটিশন শুরু হয়। মাঝেমাঝেই তার সমাপ্তি রেখায় অপেক্ষা করে মৃত্যুর অভিঘাত। কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগ এবং জেলা পুলিসের তরফ থেকে এই বেপরোয়া ভাব কাটানোর আবেদন করা হয়। কিন্তু তা যে অনেকের কান পর্যন্ত পৌঁছয় না, সেটা বোঝা যায় নিত্যদিনের বাইক দুর্ঘটনার বহর দেখে। কিন্তু এই অত্যাচার বন্ধ করা পুলিসের পক্ষে সহজ নয়, সচেতনতা না ফিরলে, নায়ক হয়ে ওঠার মানসিকতা না কাটলে এই দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে না। মনে রাখা দরকার, জীবন একটাই, সেটাকে নিয়ে এভাবে বিপজ্জনক খেলা উচিত নয়।    
শুধু তো দু’চাকা নয়, চার চাকার গাড়ি নিয়েও বিত্তশীল পরিবারের উড়নচণ্ডী যুবকরা গতির নেশায় মেতে ওঠেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার নাবালকও থাকে। এই উন্মার্গগামিতার কারণে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। দেশের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, প্রতি বছর আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে কম করে দশ শতাংশ হারে। ২০২২ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সারা দেশে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ৬২ হাজার। আর এই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৯১ জনের। জখম প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ। এইসব দুর্ঘটনায় দেখা গিয়েছে চালকদের বয়স মূলত ১৫ থেকে ৪৯ বছর। বাইক দুর্ঘটনার সংখ্যা ৫২ হাজারেরও বেশি, চার চাকার ছোট গাড়ির দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার। প্রতি তিন মিনিটে একজনের মৃত্যু ঘটছে পথ দুর্ঘটনায়। এই পরিসংখ্যানটুকু আমাদের খানিকটা হলেও বুঝিয়ে দেয় পথ দুর্ঘটনার ভয়াবহ চিত্রটা। করোনায় দেশে মৃত্যুর যে হার ছিল, তার থেকে এই মৃত্যুর হার আরও ভয়ঙ্কর। অথচ আমরা সেভাবে সচেতন হই না। 
একদিকে যেমন চালকদের ভুলত্রুটিতে পথ দুর্ঘটনা হচ্ছে, তেমনই পথচলতি মানুষের ভুলেও মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। পশ্চিমের দেশগুলি নানাভাবে উদ্যোগ নিয়ে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুটা কমাতে সক্ষম হলেও আমরা তা পারিনি। এর কারণ আমাদের অজ্ঞতা, দুর্বিনীত মনোভাব, নিয়ম না মানার প্রবণতা ইত্যাদি। এছাড়াও বলা যায় গত দশ বছরে রাস্তায় গাড়ির ঘনত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ গত দশ বছরে রাস্তায় যত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, যত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, সেই তুলনায় সড়কের পরিমাণ বাড়েনি। আমাদের দেশে ২০০১ সালে প্রতি হাজার জনসংখ্যায় নথিভুক্ত গাড়ির সংখ্যা ছিল ৫৩.৪৬। ২০১০ সালে ছিল প্রতি হাজারে তা হয় ৯৯.০৩ এবং ২০২০ সালে সেই সংখ্যা হল প্রতি হাজারে ২৪৬.০৫। এর মধ্যে স্কুটার ও বাইকের বিক্রি সবথেকে বেশি। চলতি বছরে আর্থিক বছরে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর এই ছয় মাসে বাইক ও স্কুটার বিক্রি বেড়েছে ১৬ শতাংশেরও বেশি।  
রাস্তা যেমন বাড়েনি, তেমনই হকার দখলের কারণে রাস্তাও হয়েছে সংকীর্ণ। সেই কারণেও দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর নিয়ম করে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হয়, সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের প্রচার করা হয়, কিন্তু কিছুতেই চালক বা পথচারীদের চৈতন্যোদয় হয় না। তারই মূল্য দিতে হয় প্রাণের বিনিময়ে। নিমেষের ভুলে প্রতিনিয়ত মানুষের রক্তে ভিজে যাচ্ছে পথ। কত সম্ভাবনার অপমৃত্যু ঘটছে। আসলে এটা একটা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে উচ্চবিত্তই হোক বা একেবারে নিম্ন মধ্যবিত্তই হোক। বহু নিম্নবিত্ত পরিবারের যুবক বারবার তাঁর বাবাকে চাপ দিয়ে বাইক কিনতে বাধ্য করেন অথবা তিনি নিজে কোনওভাবে টাকা সংগ্রহ করে বাইক কেনেন। তারপর রাজপথে জয় রাইডের মাধ্যমে আনন্দের সন্ধান করেন। সেই জয় রাইড যে কত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে তা প্রতিদিন সংবাদপত্র খুললেই বোঝা যায়। পথ দুর্ঘটনার অজস্র সংবাদে ভরে যায় সংবাদপত্রের পাতা। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফরাসি দার্শনিক অঁরি বার্গসঁর গতিবাদতত্ত্বে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন তাঁর ‘বলাকা’ কাব্যগ্রন্থটি। সেখানে তিনি বলাকার উড়ন্ত ডানায়, ঝড়ের মাতনে কিংবা নদীর বেগধারায় গতির উল্লাস দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। সেই গতির উদ্দামতা আমাদের পূর্ণতার দিকে, আনন্দের দিকে নিয়ে যায়। জীবনের নিবিড় বহমানতার কথা, চরৈবেতির কথা বলে। কিন্তু বর্তমানে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যে গতির নেশা, তা এক অস্থির উল্লাসের মতোই। এর পিছনে রয়েছে এক ধরনের সুপ্ত মানসিক অবস্থা। যেটাকে ‘বিকার’ বলে মনে করছেন মনোবিদরা। তাঁদের সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৪৭ শতাংশ চালক গতিবিধি আইন লঙ্ঘন করেন। এর মধ্যে অনেকের যেমন ব্যস্ততা বা তাড়া থাকে, তেমনই অনেকে এই গতিকে পছন্দ করেন। অর্থাৎ বিনা কারণেই তাঁরা বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে আনন্দ পান। অনেকেই বন্ধুদের কাছে নিজেদের দক্ষতা প্রকাশ করে বাহবা কুড়োতে চান। তাই ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা একটা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। নিজের দক্ষতাকে প্রকাশ করার তীব্র আকুতি তাঁদের ক্রমেই অ্যাক্সিলেটরে চাপ দিতে বাধ্য করে। তখন তাঁরা এক ইল্যুউশনের জগতে বাস করতে থাকেন। মুহূর্তের জন্য ভুলে যান বাস্তব পরিণতির কথা। বহুক্ষেত্রে আবেগ চালকের দক্ষতাকেও অতিক্রম করে যায়। তখন তিনি যন্ত্রকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা তাঁকে গ্রাস করে। সেই দুর্ঘটনার চিত্র দেখে আমরা শিউরে উঠি। দোমড়ানো মোচড়ানো গাড়ি, চাপ চাপ রক্ত, পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের কান্না— এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা থেকেও আমরা শিক্ষা নিই না। হাতে স্টিয়ারিং পড়লেই যেন নিশির ডাক শোনেন অনেকে— জোরে, আরও জোরে! কিন্তু আত্মনিয়ন্ত্রণের শক্তি দুর্বল হলে স্টিয়ারিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়তির হাতে চলে যেতে বাধ্য। ড্রাইভিংকে উপভোগ করুন, তার পরিণতি যেন বিয়োগান্তক না হয়।    
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
একনজরে
মঙ্গলবার বিচারক না আসায় মণীশ শুক্লা খুনের মামলায় সাক্ষ্যদান পর্ব শুরু হল না। প্রথম সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মণীশের বাবা ডাঃ চন্দ্রমণি শুক্লার। বিচারক অনুপস্থিত থাকায় আদালতে এসেও ফিরে যেতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডাঃ শুক্লা। ...

গয়েরকাটা ও বিন্নাগুড়িতে চা বলয়ে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না বিজেপিকে। সর্বত্রই তৃণমূলের জয়জয়কার। মাদারিহাট বিধানসভা উপ নির্বাচনের বুথ ভিত্তিক ফলাফলে স্পষ্ট, জলপাইগুড়ি জেলার অধীন দুই পঞ্চায়েতে চা বাগান এলাকায় কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে পদ্ম পার্টি।  ...

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে তারপরই ছন্দপতন। চার ম্যাচে দু’টি হার। বাকি দুই ম্যাচে জয়ের সুবাদে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৮ নম্বরে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ...

ট্যাব কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি যাতে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে না হয় তারজন্য আঁটঘাট বাধছে নবান্ন। এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রশাসন তৈরি করেছে। তা বিডিও, এসডিও এবং ডিএম অফিসে টাঙনো হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৮২ - উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিবাহ
 ১৭৯৫- গেরাসিম লেবেদেফের উদ্যোগে কলকাতার মঞ্চে প্রথম অভিনীত হল নাটক
১৮৫২ - কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ধারণার একজন প্রবর্তক  অগাস্টা অ্যাডার মৃত্যু
১৮৭৮- কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচির জন্ম
১৮৮৮ - কবিপুত্র তথা বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ ও লেখক রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৯৫ - বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল তাঁর সমস্ত সম্পত্তি উইল করে নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য তহবিল গঠন করেন।
১৯০৭ - বিশিষ্ট ভারতীয় হিন্দি ভাষার কবি ও লেখক হরিবংশ রাই বচ্চনের জন্ম
১৯১৩- চিত্রশিল্পী চিত্রানিভা চৌধুরির জন্ম
১৯১৪ - ব্রিটেনে প্রথম মহিলা পুলিস নিয়োগ হয়।
১৯৪০- অভিনেতা ও মার্শাল আর্ট শিল্পী ব্রুস লি’র জন্ম
১৯৫২- সুরকার বাপ্পি লাহিড়ির জন্ম
১৯৮৪- অভিনেতা ও গায়ক অসিতবরণের মৃত্যু
১৯৮৬- ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়নার জন্ম
১৯৯২ - এই দিন থেকে ব্রিটেনের রানী আয়কর দিতে শুরু করেন।
২০০৮- ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিংয়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৪৩ টাকা ৮৫.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৯ টাকা ১০৭.৯০ টাকা
ইউরো ৮৬.৭৫ টাকা ৯০.১০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী অহোরাত্র। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১/৫৮, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৭/২৮ গতে ৮/১১ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/২৯ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/১৯ গতে ৩/২৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৪৫ গতে ৭/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ৩/২১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১০/৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২৪ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪২ গতে ৪/২২ মধ্যে। 
১১ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪। দ্বাদশী শেষরাত্রি ৬/২। চিত্রা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৪ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৪ গতে ৪/২৪ মধ্যে।  
২৪ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
একসঙ্গে তিনটি কচুরি! মৃত্যু পড়ুয়ার
তিনটে কচুরি একসঙ্গে খেতে গিয়ে দম আটকে মৃত্যু হল ষষ্ঠশ্রেণির ...বিশদ

09:54:44 AM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫৮২ - উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিবাহ  ১৭৯৫- গেরাসিম লেবেদেফের উদ্যোগে কলকাতার মঞ্চে ...বিশদ

09:54:44 AM

এখনও ভয়াবহ দিল্লির বাতাস! ধোঁয়াশায় ঢাকা রাজধানী

09:52:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। বৃষ: একাধিক সূত্রে অর্থলাভ। মিথুন: কাজকর্মে অগ্রগতি। কর্কট: কঠিন কর্মে সাফল্য। সিংহ: আঘাত ...বিশদ

09:49:45 AM

দিল্লি বিমানবন্দের প্রচুর সোনা সহ আটক ১

09:38:00 AM

আদানি ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি কংগ্রেসের, আর্জি সিবিআই তদন্তেরও

09:36:00 AM