পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
নবান্নে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিসের ডিজি সহ অন্যান্যরা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন জেলাশাসকরা। বৈঠকের শুরু থেকেই এদিন বাড়ি বাড়ি জল দেওয়ার কাজ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের ১ কোটি ৭৫ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ নিশ্চিত করার সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে মুখ্যসচিব ও মন্ত্রী গোষ্ঠীর সদস্যদের তদারকির দায়িত্ব দেন তিনি। আবার জলের পাইপ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ বাধা দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাজে বাধা দিলে তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এদিন পানীয় জল অপচয় নিয়েও সুর সপ্তমে তোলেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় বাড়ি বাড়ি জল প্রকল্পের পাইপ কেটে চারতলা বাড়ির জলের রিজার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। আবার কোথাও এই পাইপ থেকেই চাষের জন্য জল নিয়ে নেওয়া হচ্ছে।’ এই সমস্ত উদাহরণ তুলে ধরেই এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও পুলিসকে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। শুধু তাই নয়, জলের অপচয় রুখতে আরও কঠোর আইন আনা যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখতে মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের হাতে এই কাজের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় ইঞ্জিনিয়ার কম আছেন। সেই কারণে এইচআরবিসি’র মতো রাজ্য সরকারি সংস্থা থেকে ইঞ্জিনিয়ার নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। প্রয়োজনে যোগ্যতা বিচার করে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে মুখ্যসচিবকে একটি গাইডলাইন তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।