পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সোমবার রাতের এই ঘটনার ভিডিও সামনে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রাসাদের বাইরে দাঁড়িয়ে সপার্ষদ বিশ্বরাজ। কিছুক্ষণ পরেই তাঁর সমর্থকরা প্রাসাদের গেট লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। গেট ভাঙারও চেষ্টা করে তারা। পাল্টা ভিতর থেকেও বিশ্বরাজের সমর্থকদের দিকেও পাথর ছোড়া হয়। উত্তেজিত সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেও পুলিস ব্যর্থ হয়। তিনজন জখম হন। সূত্রের খবর, ঘটনার আগে প্রায় পাঁচঘণ্টা উদয়পুর দুর্গের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিশ্বরাজ। জেলাপ্রশাসন এখন দু’পক্ষের মধ্যে মিটমাটের চেষ্টা চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজসমন্দ কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বরাজ। তাঁর স্ত্রী মহিমা কুমারী রাজসমন্দ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ।
উদয়পুর রাজ পরিবারের এই দ্বন্দ্বের কারণ জানতে ফিরে যেতে হবে একটু পিছনে, সেই ১৯৫৫ সালে। ৭৫তম মহারানা ভগবৎ সিং সেবছর শ্রী একলিঙ্গজি ট্রাস্ট গঠন করেন। সেই ট্রাস্টের অধীনেই রাখা হয় মেবার পরিবারের মালিকানাধীন প্রাসাদ, দুর্গ ও মন্দিরগুলিকে। পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন তাঁর বড় ছেলে মহেন্দ্র সিং। এর ফলে বড়ছে লেকে ট্রাস্টের সব সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১৫ মে ট্রাস্ট নিয়ে উইল করেন ভগবৎ। তাতে ট্রাস্টেরর দায়িত্ব দেওয়া হয় অরবিন্দ সিংকে। সে বছরই মৃত্যু হয় ৭৫তম রাজা ভগবতের। এরপর বড় ছেলে হিসেবে ৭৬তম রাজা হন মহেন্দ্র। তবে রাজ সম্পত্তির ভাগ তাঁর মেলেনি। ১০ নভেম্বর মহেন্দ্রর মৃত্যুর পর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যাভিষেক হয় বিশ্বরাজের।