পত্নীর স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তা বৃদ্ধি। পারিবারিক ক্ষেত্রে আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা। কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তরের জেলা অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল গাংনাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য। সেই টাকায় ঢেলে সাজা হয় হাসপাতালের পরিকাঠামো। চিকিৎসক এবং নার্সিং স্টাফদের জন্য আবাসনও তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয় হাসপাতাল ঘিরে। হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা যাতে কোনওভাবেই ব্যাহত না হয়, তার জন্য ব্যবস্থা করা হয় জেনারেটরের। প্রায় ১০ বছর হতে চলল জেলা পরিষদ সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করে স্বাস্থ্যদপ্তরকে হস্তান্তর করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। কিন্তু অজানা কারণে আজও সেখানে রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়নি। রানাঘাট ২ ব্লকের অন্তর্গত দেবগ্রাম, মাঝের গ্রাম, বৈদ্যপুর ১ সহ একাধিক এলাকার মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটা চার লক্ষ বা তারও বেশি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যার জট ক্রমশ বড় হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বর্তমানে টেনেটুনে একজন চিকিৎসক রয়েছেন হাসপাতালে। সোম, বুধ ও শুক্রবার হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেই চিকিৎসককে পাওয়া যায়। আর সপ্তাহের বাকি দিনগুলি একজন ফার্মাসিস্ট এবং একজন নার্সিং স্টাফ দিয়েই সামলানো হয় কাজকর্ম।
এই হাসপাতাল তৈরির ইতিহাস দীর্ঘ। স্থানীয়দের দাবি, ষাটের দশকে হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়। সেই সময় স্থানীয় বর্ধিষ্ণু ঘোষাল পরিবার হাসপাতাল তৈরির জন্য ছ’ বিঘা জমি দান করেন। কিন্তু তারপর এত বছর কেটে গেলেও গাংনাপুর এলাকার মানুষের সেই স্বপ্ন রয়ে গিয়েছে স্বপ্নই। মাঝে সরকার পরিবর্তন, একাধিক সাংসদ বিধায়কের পরিবর্তন হলেও কোনও লাভ হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক হওয়ার পরেই উদ্যোগ নিয়েছি। গাংনাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং রানাঘাট ১ ব্লকের অন্তর্গত ভবসুন্দরী স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দু’টি জায়গাতেই যাতে ইনডোর এবং আউটডোর ব্যবস্থা চালু করা যায় তার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। মানুষের প্রত্যাশা নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্যোগী। আমাদের সরকার গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে এবং আগামীদিনেও দেবে। তাই দ্রুতগতিতেই অভ্যন্তরীণ কাজ এগচ্ছে। আশা করা যায় দ্রুত দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারব।