Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নেগেটিভ ভোটে কিস্তিমাতের দিন শেষ!
তন্ময় মল্লিক

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের ফল কী প্রমাণ করল? প্রায় সকলের বক্তব্য মোটামুটি এরকম হবে, আর জি কর কাণ্ড সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনও প্রভাবই ফেলেনি। বাংলাদেশের ধার করা ‘দফা এক দাবি এক’ স্লোগানে তেমন কেউ সাড়া দেননি। এই অভিমত একশো শতাংশ সত্যি। তারপরেও একটা কথা বলতেই হবে, এবারের উপ নির্বাচন বুঝিয়ে দিল, শুধু অন্যের দিকে আঙুল তুলে ভোটে জেতা যাবে না। ক্ষমতায় থাকতে গেলে বা সরকার গড়তে গেলে কাজ করতে হবে। মোদ্দা কথা, নেগেটিভ ভোটের জোরে বাংলায় কিস্তিমাতের দিন শেষ।
যেকোনও উপ নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল অ্যাডভান্টেজ পায়। সেই অঙ্কে রাজ্যের পাঁচটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিয়ে কারও সংশয় ছিল না। কিন্তু মাদারিহাট নিয়ে সকলের বিশেষ কৌতূহল ছিল। কারণটা খুব স্পষ্ট। এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস আগে কোনও দিন জেতেনি। মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র ও আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনটি দীর্ঘদিন বিজেপির দখলে। তাই মাদারিহাট নিয়ে বিজেপি তো বটেই, অন্য বিরোধী দলগুলিও আশাবাদী ছিল। মাদারিহাটে জিতলে বিজেপি ছাব্বিশের নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলকে লড়াইয়ের সামনে দাঁড় করাতে পারত। সেই অঙ্কেই বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও সেভাবে লড়াইয়ে ছিল না। তাই প্রতিষ্ঠিত দুই দলের চেয়েও নির্দল প্রার্থী ভোট পেয়েছেন অনেকটাই বেশি।
মাদারিহাটি কেন্দ্রের ভোট বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এক দশক ধরে যেসব চা-বাগান এলাকা বিজেপির গড় বলে পরিচিত ছিল, সেখানেও তারা হেরেছে। লোকসভা নির্বাচনে বিন্নাগুড়ি ও সাঁকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বিজেপি প্রায় সাড়ে সাত হাজার ভোটে এগিয়েছিল। উপ নির্বাচনে সেই ঘাটতি মিটিয়ে তিন হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। একই ঘটনা ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার অন্তর্গত বেশ কিছু চা-বাগান এলাকায়। এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটি হল, মাত্র কয়েক মাসে এতটা ভোট স্যুইং করল কেন? চা-বাগানগুলিতে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন কি খুব ভালো কাজ করছে, নাকি বিজেপির উপর মানুষ বিরক্ত? তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের কাজে শ্রমিকরা খুশি, এমন দাবি করলে তা হবে সত্যের অপলাপ। বরং বহু ক্ষেত্রে স্থানীয় এবং রাজ্যের কিছু শ্রমিক নেতার সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যই শোনা গিয়েছে। তারপরেও তৃণমূলকে এলাকার মানুষ ঢেলে ভোট দিল। কেন? 
নির্বাচনের কয়েকদিন আগে মাদারিহাট ঘোরার সময় একটা কথা অনেকেই বলেছিলেন, ‘কয়েকবার বিজেপিকে তো ভোট দিলাম। কিন্তু উন্নয়ন কিছুই হল না। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়ে দেখা যাক না কী হয়!’ উপ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, এলাকার মানুষ উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে ভোট দিয়েছে। মানুষ মনে করেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী জিতলে চা-বাগান এলাকার সার্বিক উন্নতি হবে। কিন্তু বিজেপিকে ভোট দিলে শুনতে হবে সেই একই কথা, ‘ওরা আমাদের কাজ করতে দিচ্ছে না।’ 
তাই মাদারিহাটের জয় তৃণমূলকে যেমন একদিকে স্বস্তি দিয়েছে, তেমনই দাঁড় করিয়ে দিয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। কী সেই চ্যালেঞ্জ? উন্নয়নের। তৃণমূল নেতৃত্ব উন্নয়নকে পাখির চোখ করলে আগামী দিনে তার প্রভাব শুধু মাদারিহাটে নয়, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার বাকি আসনেও পড়বে। মাদারিহাট যে সুযোগ দিয়েছে তা কাজে লাগাতে পারলে উত্তরবঙ্গকে নিয়ে তৃণমূলের দুশ্চিন্তার পারদ পৌষের চেয়েও দ্রুত নামবে। কোনও ‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝা’ তার পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। স্তিমিত হবে বাংলা থেকে উত্তরবঙ্গকে বিচ্ছিন্ন করার ‘গেরুয়া হুঙ্কার’। তবে মাদারিহাটকে উত্তরবঙ্গের ‘গেম চেঞ্জার’ বানানোর জন্য তৃণমূলের হাতে খুব একটা সময় নেই। বড়জোর বছর খানেক। কোনও দলের ভোটবৃদ্ধি অবশ্যই সেই দলের উপর মানুষের আস্থার লক্ষণ। একইসঙ্গে তা বিরোধী শিবিরের প্রতি অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ। উপ নির্বাচনে প্রতিটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে এবং বিজেপির ভোট কমেছে। আড়াই থেকে প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত। একে কমছে বললে কমিয়ে বলা হয়, ধস নেমেছে বলাই ভালো।
এ রাজ্যের শাসক বিরোধীরা ভোট দেওয়ার আগে দেখেন, কাকে সমর্থন দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাপে পড়বেন। সেই অঙ্ক কষেই তাঁরা ভোট দেন। তারজন্যই মমতা বিরোধী বাম ভোট কখনও রামে যায়। আবার রামের ভোট বামে ফেরে। কিন্তু এবার সেই অঙ্ক মেনে ভোট স্যুইং করেনি। উপ নির্বাচনে বিজেপির ভোটে ব্যাপক ধস নামলেও তা বামে ফেরেনি। উল্টে অনেকটাই গিয়েছে তৃণমূলে। ব্যতিক্রম বাঁকুড়ার তালডাংরা। এখানে বিজেপির কিছু ভোট বামে ফিরেছে। কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়াই সিপিএম লোকসভার চেয়ে প্রায় তিন হাজার ভোট বাড়িয়ে নিয়েছে। তবে, অধিকাংশ জায়গায় বিজেপির এমনকী, কিছু এলাকায় বাম ও কংগ্রেসের ভোটও তৃণমূলে গিয়েছে। এ রাজ্যে ‘অ্যান্টি ইনকামবেন্সি ফ্যাক্টর’ কমছে অথবা তার সুযোগ বিরোধীরা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এবারের উপ নির্বাচনের ফলাফলে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তাঁদের মতে, ২০১৯ সাল থেকে বিজেপি এ রাজ্যে ‘নেগেটিভ ভোটে’র ফায়দা তুলছে। কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকলেও বাংলার মানুষের জন্য আলাদাভাবে কিছুই করেনি। স্রেফ তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বিজেপি এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল। নেগেটিভ ভোটের সৌজন্যে বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক যত পুষ্ট হয়েছে বাংলার প্রতি গেরুয়া আগ্রাসন ততই তীব্র হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে শুধু তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেই ক্ষান্ত হয়নি, বন্ধ করে দিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প। তাতে বাংলার অর্থনীতি দুর্বল হলেও মনোবলে বিন্দুমাত্র চিড় ধরেনি। উল্টে বিজেপিকে জবাব দেওয়ার ইচ্ছা আরও দৃঢ় হয়েছে।
আন্দোলনের সিঁড়ি ভেঙে নবান্নে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানেন, শুকনো কথায় যেমন চিঁড়ে ভেজে না, তেমনই শুধু স্লোগানে ভরে না ক্ষুধার্ত মানুষের পেট। তাই আগে করেছেন গরিবের পেট ভরানোর ব্যবস্থা। প্রান্তিক মানুষরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে তারজন্য নিয়েছেন বিভিন্ন কর্মসূচি। ঘোষণা করেছেন একগুচ্ছ সামাজিক প্রকল্প। তাতে বিরোধীদের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়নি, একেবারে ধসে গিয়েছে। সেটা বুঝেই জনপ্রিয় প্রকল্পগুলিকে বিরোধীরা কখনও ‘ভিক্ষে’, কখনও ‘ডোল পলিটিক্স’ বলে কটাক্ষ করেছে। এখন বিজেপি সেই নীতিকেই আঁকড়ে ধরছে। এই মুহূর্তে মমতার চালু করা কর্মসূচির সুফল পায় না এমন পরিবার গ্রামবাংলায় তন্নতন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যাবে না। অবশ্য যাঁরা কট্টর মমতা বিরোধী তাঁরা ‘এটা তৃণমূলের নয়, সরকারের টাকা’ এই বলে ‘গঙ্গাজলে’ শুদ্ধ করে প্রকল্পের সুবিধা নেন। দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার বেনিফিট তৃণমূল পাচ্ছে। যাঁরা পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য এবং অভ্যাসের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী ছিলেন তাঁদের অনেকেই ধীরে ধীরে ‘পজিটিভ ভোটে’র শরিক হচ্ছেন। সেই কারণে বিজেপির ভোট কমার আনুপাতিক হারে তৃণমূলের ভোট না বাড়লেও ভোটব্যাঙ্ক দিন দিন স্ফীত হচ্ছে।
অনেকেই বলছেন, উপ নির্বাচনে মানুষের এই রায়কে হালকা চালে নিলে বিরোধীদের পস্তাতে হবে। প্রতিটি নির্বাচনে বামেরা যেভাবে জামানত খুইয়ে চলার ট্র্যাডিশন বজায় রেখে চলেছে তাতে সিপিএমের নতুন করে হারানোর কিছু নেই। ‘সর্বহারা’র দল এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। তবে, বিজেপির সামনে শুধরে নেওয়ার সময় এবং সুযোগ এখনও আছে। তারজন্য অতি দ্রুত চালু করতে হবে ১০০ দিনের কাজ। কারণ পেটে লাথি পড়লে কেউই ছেড়ে কথা বলে না। আবাস যোজনার টাকা মিটিয়ে দিয়ে বিজেপি প্রমাণ করুক, বাংলা ও বাঙালির প্রতি তাদের বিদ্বেষ নেই। ভোটের ফল প্রকাশের পর মেদিনীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থীও প্রচারে গিয়ে এনিয়ে বারবার ক্ষোভের মুখে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনিও চান, অবিলম্বে টাকা দেওয়া হোক। প্রয়োজনে কেন্দ্র মনিটরিং করুক।
এই উপ নির্বাচনকে ছাব্বিশের মহারণের আগে ‘সেমিফাইনাল’ বলে মানতে নারাজ বিরোধীরা। সেটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। তবে এটা সেমিফাইনাল না হলেও ‘প্রস্তুতি ম্যাচ’ তো বটেই। ফলাফল ৬-০। এরপরেও যদি বিরোধীদের ঘুম না ভাঙে তাহলে ছাব্বিশে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ‘শীতঘুম’। কারণ ধস নেমেছে ‘নেগেটিভ ভোটে’র বাজারে।
মমতার স্ট্র্যাটেজির কাছে হেরে যাচ্ছে বিরোধীরা
সমৃদ্ধ দত্ত

৭৭ বছরের ইতিহাসে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত দুবার দুটি আন্দোলনের সঙ্গে সরকার বদলে যাওয়ার সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ১৯৫৯ সালে শুরু হয়েছিল খাদ্য আন্দোলন। কিন্তু তার প্রভাব পরবর্তী নির্বাচনে বিশেষ পড়েনি। সেই খাদ্য আন্দোলনেরই দ্বিতীয় পর্ব আছড়ে পড়েছিল ১৯৬৬ সালে। বিশদ

29th  November, 2024
কানাডা এখন আর এক পাকিস্তান!
মৃণালকান্তি দাস

কানাডার ব্রাম্পটন শহরের হিন্দু সভা মন্দিরটি রয়েছে এক ব্যস্ত সড়কের পাশে। এখানকার বহু বাড়ি এখনও দীপাবলির আলোকসজ্জায় সজ্জিত। মন্দিরের পার্কিং লটের উপর দাঁড়িয়ে ৫৫ ফুট উচ্চতার হনুমান মূর্তিটি সর্বক্ষণ পুণ্যার্থীদের দিকে তাকিয়ে। বিশদ

28th  November, 2024
গতির উদ্দামতায় বাজে ধ্বংসের গান
সন্দীপন বিশ্বাস

বদলে গিয়েছে তরুণের স্বপ্ন। বহু তরুণের দু’চোখজুড়ে এখন শুধুই উদ্দাম গতির স্বপ্নরেখা। সেই গতির মধ্যে এখন তাঁরা অনুভব করেন, স্পর্ধায় মাথা তোলার ঝুঁকি। একটা বাইক কোম্পানির ট্যাগলাইন ছিল, ‘হাম মে হ্যায় হিরো’। এই হিরো হওয়ার জন্য এখনকার যুবকরা মনে করেন, একটা বাইকই যথেষ্ট। বিশদ

27th  November, 2024
মোদিবিহীন জয়! স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছে সঙ্ঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘রাজীব গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, রাজনীতির কোন অভিজ্ঞতাটা তাঁর ছিল? আমার ছেলে বা ভাইপো যদি রাজনীতিতে আসে, আমি আটকানোর কে? আর আটকাবই বা কেন? কিন্তু এখানে আমার একটাই শর্ত থাকবে—আমার সেনাপতিদের অসম্মান তারা করতে পারবে না।’ বিশদ

26th  November, 2024
আমেরিকায় ট্রাম্পের উত্থানের প্রভাব ভারতে কেমন হবে?
পি চিদম্বরম

 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও পোটাস  (প্রেসিডেন্ট অফ দি ইউনাইটেড স্টেটস) নন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর দায়িত্বগ্রহণের প্রতীক্ষিত দিনটি এখনও সাত সপ্তাহ দূরে। তার মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হল: ট্রাম্পের নয়া জমানার কোন প্রভাব পড়বে—বিশ্বে, আপনার দেশে, আপনার শহরে, আপনার চাকরিতে বা প্রায় সবকিছুতে।
বিশদ

25th  November, 2024
সমবায় আন্দোলনের বিশ্ব নেতৃত্বে ভারত
অমিত শাহ

শুধুমাত্র আর্থিকভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষীদের নয়, সেইসঙ্গে তাঁদের সুসংহত করে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সমবায় ক্ষেত্রের ভূমিকা রয়েছে। 
বিশদ

25th  November, 2024
মমতা আবেগ হারিয়ে দিল চক্রান্তকে
হিমাংশু সিংহ

৬-০, এই স্কোরলাইনের সঙ্গে ময়দানের ফুটবল প্রিয় বাঙালির অন্তরঙ্গ যোগ। ছোটবেলায় ইস্ট বেঙ্গল কিংবা মোহন বাগানের সঙ্গে  বালিপ্রতিভার খেলা হলে এই একপেশে ফলাফলই ছিল দস্তুর। বাংলার উপ নির্বাচনে এই পরিণামের তাৎপর্য একটাই, রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের আর বিশ্বাসই করে না। বিশদ

24th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

23rd  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
একনজরে
ট্যাব কাণ্ডে ইসলামপুরের ধৃত এক। সম্প্রতি গোয়ালপোখরের কিচকটোলা হাইস্কুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। ...

শুক্রবার থেকে বর্ধমানের উৎসব ময়দানে ক্রেতাসুরক্ষা মেলা শুরু হল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, রাষ্ট্রীয় মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, জোৎস্না মাণ্ডি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ...

ভয়বাহ অগ্নিকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে পাঁচটি বছর। পুনরায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে প্যারিসের ঐতিহাসিক নোতরদাম ক্যাথিড্রাল। শুক্রবার ক্যাথিড্রাল পরিদর্শনে যান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সরাসরি সম্প্রচারের ...

একতরফা লড়াই শেষে বেঙ্গল ওলিম্পিকস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদে ফিরলেন চন্দন রায়চৌধুরী। শনিবারের নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে তিনি হারালেন স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৯: নিজ মন্ত্রীর হাতে নিহত হন  মোগল সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীর
১৮৫৮: বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর জন্ম
১৮৬৬: শিকাগোতে প্রথম জলের নিচে হাইওয়ে টানেল তৈরির কাজ শুরু হয়
১৮৭৪: ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন  চার্চিলের জন্ম
১৯০৩: কবি রাধারানী দেবীর জন্ম
১৯০৮: কবি বুদ্ধদেব বসুর জন্ম
১৯০৯: ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র দত্তের মৃত্যু
১৯১৭: জগদীশচন্দ্র বসুর ৬০তম জন্মদিবসে কলকাতায়  বসু বিজ্ঞান মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন
১৯২৮:  বাংলা নাট্যমঞ্চের বিখ্যাত অভিনেতা অমর গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৩: নারীশিক্ষার পথপ্রদর্শক শিক্ষাবিদ মুরলীধর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৪৫: সঙ্গীতশিল্পী বানীজয়রামের জন্ম
১৯৬৬: অভিনেত্রী তথা প্রযোজক দীপা শাহির জন্ম
১৯৭৮: টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা জিৎ-এর জন্ম
১৯৮৪: অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী ইন্দুবালা দেবীর মৃত্যু
১৯৮৪: বিশিষ্ট তবলা শিল্পী রাধাকান্ত নন্দীর মৃত্যু
২০১২: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৫৭ টাকা ১০৯.৩২ টাকা
ইউরো ৮৭.৬৭ টাকা ৯১.০৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্দ্দশী ১১/৮ দিবা ১০/৩০। বিশাখা নক্ষত্র ১৬/২০ দিবা ১২/৩৫। সূর্যোদয় ৬/৩/২০, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/১৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৯/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪৫ গতে ২/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৬ গতে ২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২৪ গতে উদয়াবধি।  
১৪ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪। চতুর্দ্দশী দিবা ৯/৫৪। বিশাখা নক্ষত্র দিবা ১২/৫৫। সূর্যোদয় ৬/৫, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ৭/৪৩ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫২ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৫ মধ্যে ও ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে ও ৪/২৫ গতে ৬/৫ মধ্যে।  
২৭ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৫৯: নিজ মন্ত্রীর হাতে নিহত হন  মোগল সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীর ১৮৫৮: ...বিশদ

07:55:00 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। বৃষ: ক্রীড়াবিদ ও ব্যাঙ্ককর্মীদের পক্ষে সময়টি শুভ। মিথুন: বিদ্যাক্ষেত্রটি ...বিশদ

07:50:00 AM

সন্ত্রাস সম্পূর্ণরূপে দমন করা হবে: জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা

29-11-2024 - 11:03:00 PM

আগামী কাল তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গাল, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে জারি লাল সতর্কতা

29-11-2024 - 10:38:00 PM

৫০০-র বেশি সেনার দেহ পাঠিয়েছে রাশিয়া, জানাল ইউক্রেন

29-11-2024 - 10:27:00 PM

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পুদুচেরি বন্দরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা

29-11-2024 - 10:05:00 PM