গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
শালবনের জঙ্গলের মাঝে ১৫০বিঘা এলাকাজুড়ে জলাশয় রয়েছে। চারদিকে শাল-পিয়ালের জঙ্গল। শীত পড়লেই জলাশয়ে দূরদূরান্ত থেকে পরিযায়ী পাখিরা আসে। দেখা মেলে পিয়ং হাঁস, গ্রিনউইং টিল, হুইসলিং ডাক, মুরহেন, পানকৌড়ি, বক, মাছরাঙা, জলপিপির মত পাখির। পর্যটনস্থলটি সাজিয়ে তোলায় এখানে পাখি দেখতে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। ব্লক প্রশাসন কয়েকবছর ধরে পর্যটনস্থলটি সাজিয়ে তোলার কাজ করছে। ইতিমধ্যে ছোটদের বিনোদনের জন্য খেলার পার্ক, ফুলের বাগান তৈরি হয়েছে। জলাশয়ে বোটিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে চারপাশের প্রাকৃতিক শোভা দেখা যাবে। জলাশয় লাগোয়া প্রাকৃতিক পরিবেশে যাতে পর্যটকরা থাকতে পারেন, সেজন্য দু’টি কটেজ আগেই তৈরি করা হয়েছিল। এখানে আসা পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে আরও পাঁচটি নতুন কটেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েতে সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হেমন্ত ঘোষ বলেন, ঝিল্লি পাখিরালয়ে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। শীতের মরশুমে সবচেয়ে বেশি পর্যটক এখানে আসেন। এখানে থাকার জন্য দু’টি কটেজ আছে। অনলাইনে ও অফলাইন বুকিং করা যায়। কিন্তু এখানে থাকার চাহিদা বেড়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই নতুন পাঁচটি কটেজ তৈরির পরিকল্পনা চলছে। পর্যটক বাড়লে এলাকার আর্থিক বিকাশ ঘটবে।
তিনি জানান, কেন্দুয়ানাচক থেকে ঝিল্লি পাখিরালয় পর্যন্ত রাস্তা যাতে তাড়াতাড়ি সংস্কার করা যায়, তার চেষ্টা চলছে। গোপীবল্লভপুর-১এর বিডিও শ্যামসুন্দর মিশ্র বলেন, ঝিল্লি পাখিরালয়ে পাঁচটি কটেজ তৈরির প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মেলার সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
ঝাড়গ্রাম শহরের গাড়ির চালক প্রণব শীট বলেন, পাঁচবছর আগেও এখানে এত পর্যটক আসতেন না। বেলপাহাড়ীর দিকেই বেশিরভাগ পর্যটক যেতেন। এখন পর্যটনস্থলটি সাজিয়ে তুলেছে প্রশাসন। সীমিত বাজেটেও রাতে কটেজে থাকা যায়। ভাড়ার গাড়ির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও লাভ হচ্ছে। তবে কেন্দুয়ানচক থেকে ঝিল্লি পাখিরালয় পর্যন্ত সাত কিমি রাস্তা বহু বছর ধরে বেহাল। রাস্তাটি তাড়াতাড়ি সংস্কার করা দরকার।
পরিবেশকর্মী সুজিত সরকার বলেন, ঝিল্লি পাখিরালয়ে পর্যটক আসুক। তবে যেভাবে কংক্রিটের নির্মাণ বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। এতে লাগাম না টানা হলে এই এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ সৌন্দর্য হারাবে।-নিজস্ব চিত্র