গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাসও বলেন, আমরা ওই বাসিন্দার অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু, অভিযোগকারী অবৈধভাবে বাড়ির কাজ করছিলেন। তাই কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
কৃষ্ণনগর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বউবাজার অরবিন্দ রোডে অঞ্জনাদেবীর বাড়ি। তাঁর একতলা পাকা বাড়ি। তিনি বাড়ির দোতলার কাজ শুরু করেন। গত ২ আগস্ট কৃষ্ণনগর পুরসভার তরফে গৃহ নির্মাণের প্ল্যান পাশ করান। কিন্তু, ওই মাসেরই ২৭ তারিখ পুরসভার তরফে গৃহ নির্মাণের কাজ বন্ধ করার নোটিস আসে অঞ্জনাদেবীর কাছে। অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অঞ্জনাদেবী বাড়ি তৈরি ফের শুরু করলে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তাঁর লোকজন নিয়ে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। তিন মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। দিন কয়েক আগে অঞ্জনাদেবী পুলিস, প্রশাসন ও জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী বলেন, ‘আমি ও ছেলে দীর্ঘদিন ধরে এই ওয়ার্ডে বসবাস করছি। দোতলার কাজ শুরু করছিলাম। সেইমতো পুরসভা থেকে বাড়ির প্ল্যান পাশ করাই। কিন্তু, পুরসভার তরফে বাড়ি তৈরি নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। আপত্তির কারণ জানতে চাইলে, চেয়ারম্যান স্থানীয় কাউন্সিলারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। আর কাউন্সিলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। উভয়ের কাছে আমি একাধিকবার গিয়েছি। কিন্তু, তাতে সুরাহা হয়নি। ঢালাইয়ের কাজ শুরু করলে কাউন্সিলার তাঁর দলবল নিয়ে এসে কাজে বাধা দেয়। কাউন্সিলারের কাছ থেকে ইট, বালি, সিমেন্ট নেওয়া হয়নি। সেই জন্যই উনি হয়তো আমাদের কাজে বাধা দিচ্ছেন।’
কাউন্সিলার সুমিতবাবু বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উনি অবৈধ নির্মাণ করছিলেন। জানুয়ারি মাসে অঞ্জনাদেবী সেই গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। তখনই তাঁকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, উনি কোনওভাবে পুরসভা থেকে বাড়ি তৈরির প্ল্যান পাশ করান। যার জন্য পুরসভার চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ পর্যন্ত করেছিলেন। পরপর দু’বার তাঁকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও উনি গৃহনির্মাণ করছিলেন। এর আগে একটা বিষয়ে উনি সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি করিনি। তারজন্যই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। • নিজস্ব চিত্র