গৃহে শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কর্মব্যস্ততা। অর্থকরী আয়ের ক্ষেত্রটি অনুকূল। ব্যয়ের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
করলেন করমর্দন। আলোচনা হল, একসঙ্গে লড়তে হবে। প্রিয়াঙ্কাও সবিনয়ে জানিয়ে দিলেন, আমি তোমাদেরই লোক! প্রিয়াঙ্কাকে দেখে কার্যত দৌড়ে এলেন সৌগত রায়। উৎসাহ দিতে বললেন, তুমি লোকসভায় আসায় সভার গ্ল্যামার বেড়ে গেল। মুচকি হাসলেন প্রিয়াঙ্কা। রাহুল ততক্ষণে তৃণমূলের আসনের দিকে এগিয়ে গিয়ে কথা শুরু করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যোগ দিলেন সৌগতবাবুও। যদিও কৌশলগত ভাবে রাহুল তুললেনই না আদানি ইস্যু। আলোচনা করলেন মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা নির্বাচন নিয়েও। কিন্তু সংসদে গত চারদিন ধরে চলতে থাকা বিক্ষোভ, প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা এড়ালেন।
কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ভারত জোড়ো যাত্রার সময় থেকেই শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, রাহুল গান্ধীর পরণে সাদা হাফ হাতা টি শার্ট। এদিনও সংসদে সেটাই পরে এসেছিলেন। যা দেখে সৌগতবাবু বললেন, তোমার কি শীত করে না? এত মাসল বানালে কী করে? শুনে রাহুল পাল্টা সৌগতবাবুকে বললেন, আমার কাছে আসবেন। সাত মাসে আপনারও দুই হাতে মাসল বানিয়ে দেব। পাশ থেকে সুদীপবাবু বলে ওঠেন, ওনার বয়স কিন্তু ৭৭। এটা মনে রেখো।
কথায় কথায় উঠল মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার প্রসঙ্গ। রাহুলের মন্তব্য, কী করে যে হার হল, বুঝেই উঠতে পারছি না। বিশ্লেষণ করতে হবে। শীঘ্রই দলে আলোচনা হবে চুলচেরা। তবে আর যাই হোক, দেশ যেদিকে এগচ্ছে, তা হতে দেওয়া চলবে না। সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। এদিন লোকসভায় এই দৃশ্য, কথোপকথনের মাধ্যমে এটা স্পষ্ট, তৃণমূলকে পাশে পেতে মরিয়া রাহুল।