পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা ... বিশদ
দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঝাড়খণ্ড, বিহার যাওয়ার মূল রাস্তা ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেই রাস্তায় কঠোর নাকা চেকিং চলছে। আলুর গাড়ি ভিনরাজ্যে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা হলেই তা ঘুরিয়ে বাংলায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড হয়ে বিহার যাওয়া যায় বারাবনি থানা এলাকা দিয়েও। ডুবুরডিহিতে বাধা পেতেই অনেকে বিকল্প সেই রাস্তা দিয়ে আলু ভিনরাজ্যে নিয়ে যেতে মরিয়া। বারাবনি থানার পুলিস কয়েকদিন ধরেই রুনাকুড়া ঘাটের নাকা চেকিং জোরালো করেছে। শুক্রবার গভীর রাতে একটি বিশালাকার ১২ চাকার লরি বাংলা সীমানা পার করে ঝাড়খণ্ড ঢোকার চেষ্টা করছিল। পুলিস চালান দেখতে চাইলে চালক তা দেখায়। চালানে লেখা, গাড়িতে রয়েছে ২৩ হাজার কেজি প্লাস্টিক ব্যাগ। গাড়িটি ঝাড়খণ্ড যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সময় এক পুলিস অফিসারের সন্দেহ হয়। প্লাস্টিক নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িকে এত সুন্দরভাবে কেন ঢাকা হয়েছে? তল্লাশি করে দেখা যায় প্লাস্টিকের নামে গাড়িতে সারি দিয়ে রয়েছে আলুর বস্তা। পাচারের পর্দাফাঁস হতেই চালক ও খালাসি চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিস তাদের ধরে ফেলে। পুলিস তদন্ত করে জানতে পারে, ভুয়ো চালান বানিয়ে আলু চাপানো হয়েছিল পাণ্ডুয়ায়। অভিযুক্তদের শনিবার আসানসোল আদালতে তোলা হয়। বিচারক দুই অভিযুক্তকে ৭ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জনকে জেরা করে তাঁরা এই চক্রের পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে। পুলিস প্রাথমিকভাবে মনে করছে এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আলুর চালানে গাড়ি ভিনরাজ্যে পাঠাতে না পারায় ভুয়ো চালান বানিয়ে আলু পাচারের কৌশল নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি চক্র। বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য চেকপোস্টগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। এসিপি ইপ্সিতা দত্ত বলেন, দুই ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে। কীভাবে পুরো প্রতারণার পরিকল্পনা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।