Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়। ঔদ্ধত্য থেকে চরম আত্মতুষ্টি। আর তার থেকেই ক্রমে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারের পাঁকে জড়িয়ে পড়া। কথায় আছে ‘অ্যাবসলিউট পাওয়ার করাপ্টস অ্যাবসলিউটলি’। আর সেই থেকেই ধীরে ধীরে পতনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার শুরু। গত দু’সপ্তাহের মহারাষ্ট্র রাজনীতির উত্থান-পতন ও পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির শূন্যপ্রাপ্তি আবারও সেই অমোঘ সত্যটাকেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করল।
বিগত লোকসভা নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ১৮টি আসন জিতেই বিজেপি নেতাকর্মীরা এমন একটা ভাব দেখাচ্ছিলেন যেন এরাজ্যে ক্ষমতা দখল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে ভিন রাজ্যের কিছু অবাঙালি নেতার দাপাদাপি বড্ড দৃষ্টিকটুও লাগছিল। যাঁদের বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতির সঙ্গেই তেমন যোগ নেই, তাঁরা প্রতি সপ্তাহে একবার বিমানবন্দরে নেমে শহরে ঢুকেই জননেত্রীকে আস্তিন গুটিয়ে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন। আবার অনুষ্ঠান ফুরোলেই লোটাকম্বল নিয়ে পগার পার। এঁদের হাতে রাজ্যের ভবিষ্যৎ? সেইসঙ্গে চলছিল টাকা আর নানা প্রলোভন ছড়িয়ে তৃণমূল ভাঙার হীন চক্রান্ত। কিছু কাউন্সিলারকে ম্যানেজ করে পুরসভা দখল। বিকেল হতেই দিল্লিতে ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন। তারপরই কলকাতায় ফিরে আবার পুরনো দলে খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন! তবু আয়োজনের কোথাও কোনও অভাব ছিল না। কিন্তু, বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল এক নিমেষে সব আস্ফালনকেই থামিয়ে দিয়েছে। এরও আগে বারাকপুর সাবডিভিশনের অধীন একের পর এক পুরসভা পুনরুদ্ধার চলছিল। নৈহাটি, হালিশহর, গারুলিয়া সর্বত্রই ভুল বুঝতে পেরে কাউন্সিলাররা দলে দলে ফিরছিলেন তৃণমূলে। আর সদ্য প্রকাশিত উপনির্বাচনের ফল রাজ্য রাজনীতির অভিমুখটাকেই যেন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিল। ফলে সাড়ে তিনদশক টানা সিপিএমের হার্মাদদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করা এক অবিসংবাদিত নেত্রীকে একুশের ভোটে ঘায়েল করার গৈরিক স্বপ্ন আপাতত দুঃস্বপ্ন হয়েই রয়ে গেল। বাংলার মানুষ লোকসভা ভোটের পর প্রথম পরীক্ষাতে তিন কেন্দ্রেই বিজেপিকে হারিয়ে মোক্ষম জবাব দিয়েছে। লোকসভা ভোটের পাশা উল্টে দিয়ে উপনির্বাচনে কালিয়াগঞ্জে বিরাট জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিংহ। ২০১১ সালের ঐতিহাসিক পরিবর্তনের ভোটেও কালিয়াগঞ্জ জিততে পারেনি জোড়াফুল। আর বিগত লোকসভা ভোটের নিরিখে ওই কেন্দ্রে তৃণমূল ৫৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল। আত্মসন্তুষ্টি আর অহঙ্কারে বিভোর বিজেপি স্বপ্নেও ভাবেনি এত দ্রুত ওই লিড টপকে তৃণমূল আসনটি ছিনিয়ে নিতে পারবে। তার উপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও তাঁর লোক-লস্কর সব নামিয়ে জয় নিশ্চিত করার পথে কোনও ত্রুটি রাখেনি গেরুয়া দল।
কিন্তু, বৃহস্পতিবার ভোটের গণনা কিছু দূর এগতেই সব হিসেবনিকেশ উল্টে গেল। দেখা গেল, সব হিসেবকে মিথ্যা প্রমাণ করে জোড়াফুলই ফুটেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই আস্থা রেখেছে উত্তর দিনাজপুরের এই ছোট্ট জনপদের মানুষ। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কমল সরকার হতাশ মুখে নিজেই জানালেন, এনআরসি ইস্যুতে এলাকার মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। অনেক চেষ্টা করেও বিজেপি স্থানীয় মানুষকে এনআরসির আসল উদ্দেশ্য নাকি বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। আসলে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই দিলীপ ঘোষ, অমিত শাহদের এনআরসি-হুঙ্কার প্রচণ্ড ভয়ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। যে উত্তরবঙ্গের মানুষ গেরুয়া দলকে বিকল্প ভেবে গত লোকসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল তাঁদের কয়েক মাসেই মোহভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। এনআরসির নামে স্থানীয় মানুষকে নিজ ভূমে পরবাসী করে রাখার পরিকল্পনা যে দীর্ঘমেয়াদে সফল হতে পারে না কালিয়াগঞ্জের ফল তারই অকাট্য প্রমাণ। একদিকে মমতার উন্নয়ন আর অন্যদিকে এনআরসির ভয়াবহ আতঙ্ক। মানুষে মানুষে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভেদ সৃষ্টির রাজনীতি বাংলায় পরাজিত হতে বাধ্য, হচ্ছেও তাই।
ওই যে বললাম, ২০১১ ও ২০১৬ সালে যখন তৃণমূলের অত্যন্ত সুসময় তখনও কালিয়াগঞ্জে তূণমূল কিন্তু দাঁত ফোটাতে পারেনি। জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। আজ দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে উত্তর দিনাজপুরের এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে এল। সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের রাজনীতির সামনে হার মানল বিজেপির বিভেদকামী এনআরসি-রাজনীতি। প্রশ্ন উঠেছে, এনআরসি দিয়ে ঠিক কোন উদ্দেশ্যটা চরিতার্থ করতে চাইছে কেন্দ্রের শাসক দল? ধর্ম, সম্প্রদায় ও শরণার্থী বনাম অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে ভোটের বাক্সে লাভ তোলার সঙ্কীর্ণ রাজনীতি দীর্ঘমেয়াদে কখনওই সফল হতে পারে না। কালিয়াগঞ্জের ফল আবার সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। লোকসভা নির্বাচনের বিশাল ভোটের ব্যবধান ঘুচিয়ে কালিয়াগঞ্জে ২৪১৪ ভোটে তৃণমূল প্রার্থীর জয়লাভ তাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
কালিয়াগঞ্জ একদিকে যেমন এরাজ্যে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতাকে তলানিতে ঠেলে দিয়েছে, তেমনি খড়্গপুরে তৃণমূলের জয় আরও বড় তাৎপর্যকে সামনে এনেছে। খড়্গপুরে বেশকিছুদিন ধরেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জমিয়ে বসেছিলেন। এমনও শোনা যাচ্ছিল, আর চাচা নয়, খড়গপুর এখন দিলীপবাবুরই খাসতালুক। বিধানসভায় জিতেছিলেন, গত লোকসভা ভোটেও বিরাট জয় পেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। উপরন্তু এই সময়ে খড়্গপুর শহরে অবাঙালিদের আধিপত্যও দ্রুত বেড়েছে। বৃহৎ রেল স্টেশন ও নানা কর্মকাণ্ডের দৌলতে সেখানে নানা ভাষা ও সম্প্রদায়ের মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। সেই অবাঙালি প্রধান ‘কসমোপলিটন’ খড়্গপুরেও ৪৪ হাজার ভোটের ব্যবধান ঘুচিয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের জয়লাভ নিশ্চিতভাবে গেরুয়া শিবিরের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারেরই উচিত জবাব। রাজনীতিতে নম্র হওয়াই যে কোনও ক্ষমতাসীন দল ও তার নেতাদের আদর্শ হওয়া উচিত। তার অন্যথা হলে জনগণের আদালতে চরম ধাক্কা খেতেই হবে। আজ নয় কাল মানুষ সবক শেখাবেই। গণতন্ত্রের এটাই সার কথা। যুগে যুগে ভোটের জয় পরাজয়ের অঙ্ক এই কঠিন শিক্ষাই দিয়েছে। তবু দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাসকের হুঁশ ফেরেনি।
রাজ্যের তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সীমান্তবর্তী কেন্দ্র করিমপুরের ফল। করিমপুরের যে বুথে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর হামলা হয়েছিল, তিনি নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন সেই বুথে বিজেপি মাত্র দুটি ভোট পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এককালে সীমান্তবর্তী নদীয়ায় বিজেপির ভোট বাড়ছে বলে একটা প্রচার ছিল। কিন্তু উপনির্বাচনে জয়প্রকাশবাবুকে দাঁড় করিয়েও আসনটি ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। ফলে তিনটি কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে বিজেপি কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে। সেইসঙ্গে এই উপনির্বাচনের ফল আগামী ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃতীয় বার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের প্রত্যাবর্তনকেও অনেকটাই নিশ্চিত করে দিয়েছে। যদি তৃণমূলের নীচের তলার নেতানেত্রীরা আগামী দেড় বছর সংযত থেকে মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মা-মাটি-মানুষের দৈনন্দিন জীবনযুদ্ধে নিজেদের মিশিয়ে দিতে পারেন তাহলে আর একবার রাজ্যে জোড়াফুল যে ফুটবেই তা বলতে আর দ্বিধা নেই। তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বাংলা শাসনের সিংহাসন তাই কার্যত প্রস্তুত।
লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত ক্যারিশমা ও হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রচার উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের একটা বৃহৎ অংশে কাজ করেছিল। হিন্দু জাতীয়তাবাদের নামে সবাইকে দেশের শত্রু বা পাকিস্তানি বলে দেগে দেওয়ার রাজনীতি বিধানসভা ভোটে আর কোনও ইস্যু হতে পারে না। সেখানে সরাসরি লড়াই মমতার সঙ্গে। তার উপর এ রাজ্যে বিজেপি এখনও ষোলো আনা বাংলা ও বাঙালিয়ানার দল বলে নিজেদের তুলে ধরতে পারেনি। উল্টে মাত্র ১৮টা আসন জিতেই ঔদ্ধত্য আর অহঙ্কারের চূড়ায় গিয়ে বসেছে। মানুষের সব সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার প্রমাণ করেছেন উন্নয়নের রাজনীতিতে তিনি কোনও রকম আপস করতে রাজি নন। পাশাপাশি ধারে ও ভারে এখনও এই বঙ্গে তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এমন নেতা বা নেত্রী নেই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র মানুষ যেভাবে ডিটেনশন ক্যাম্পের অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন তাতে বিজেপির উপর মোহভঙ্গ হওয়া স্বাভাবিক। সুপ্রিম কোর্টই অসমে এনআরসি করতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু অমিত শাহরা বিশেষ উদ্দেশে তা সারা দেশে কার্যকর করতে মরিয়া। গত বৃহস্পতিবার যখন রাজ্যে দলের ভরাডুবির খবর আসছে তখনও একটি সাক্ষাৎকারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গোটা দেশে তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি হবেই। বিজেপির এই হুঙ্কার ও গোটা দেশকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পরিণত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে চাইছে। অনুপ্রবেশকারী ও শরণার্থীর বিভেদ করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে সেই কারণে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনার চেষ্টাও চলছে সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই। এই অনিশ্চয়তা থেকে রাজ্যের আপামর জনসাধারণকে মুক্তি দিতে পারেন, বাঁচাতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বাংলার মানুষের গত তিন দশকের প্রতিদিনের লড়াইয়ে তিনি সামনের সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গিয়েছেন। এনআরসির বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে গেলে সামনে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই যে দরকার তা রাজ্যের মানুষ বিলক্ষণ জানেন। তিনি ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার একজনেরও গায়ে এনআরসির নাম করে হাত দেওয়া যাবে না। আপাতত তাঁর এই বরাভয়কে রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস করছে, তার উপর আস্থা রাখছে। মানুষের এই আস্থাই নেত্রীর শক্তি। যা ২০২১ সালে ব্যাপক জনসমর্থন হয়ে নবান্নের সামনে লাল গালিচা বিছিয়ে দেবে।
বিজেপির এই হঠকারী রাজনীতি শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, গোটা দেশের মানুষকেই ক্রমশ খেপিয়ে তুলছে। কী দরকার ছিল প্রয়োজনীয় সমর্থন নেই জেনেও রাতের অন্ধকারে যাবতীয় সাংবিধানিক রীতিনীতিকে বিসর্জন দিয়ে ওইভাবে মহারাষ্ট্রে ৭২ ঘণ্টার জন্য একটা সরকারকে খাড়া করা? সংবিধানের ৭০ বছরের ইতিহাসে এমন কলঙ্কজনক ঘটনা তো খুব বেশি ঘটেনি। কথায় কথায় নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা যে কংগ্রেস আমলের অগণতান্ত্রিক কাজকর্মের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মহারাষ্ট্রের ঘটনা তাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমনিতে দেশের মানুষ আর্থিক সঙ্কট, মন্দা, জিএসটি এবং ২০১৬ সালের নোটবন্দির ক্ষতই এখনও সারিয়ে উঠতে পারেননি। তার উপর বিজেপির এই নেতিবাচক রাজনীতি এবং কথায় কথায় দেশপ্রেমের ধ্বজা উড়িয়ে শত্রুকে দেশদ্রোহী বলে দেগে দেওয়ার বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে। এই কারণেই গতবছর থেকে একের পর এক বড় রাজ্য হাতছাড়া হয়েছে অমিত শাহদের। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় যেমন হাতছাড়া হয়েছে তেমনি অতি সম্প্রতি মহারাষ্ট্রও গেরুয়া রং হটিয়ে নয়া জোটের হাতে পড়েছে। সামনে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচন তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি ঝাড়খণ্ডেও বিজেপির সরকার গড়ার স্বপ্ন ধাক্কা খায় তাহলে ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ ভারত গড়া তো দূরের কথা মোদি-অমিত শাহকে বড় রাজনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হবে। এমনও শোনা যাচ্ছে, গোয়ার একটি বড় দলও নাকি শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে লোকসভা ভোটের পর মনে হয়েছিল এককথায় অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু গত কয়েক মাসের রাজনীতি প্রমাণ করছে, রাজনীতিতে শেষকথা বলে কিছু হয় না। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীও নিজেকে অপরাজেয় ভাবতে শুরু করেছিলেন। ’৭৭-এর নির্বাচনে দেশের মানুষ তার মোক্ষম জবাব দিয়েছিলেন। তাই সময় থাকতে মোদি-অমিত শাহেরও উচিত সাবধান হওয়া। সংবিধানের অবমাননা বন্ধ করা। 
01st  December, 2019
কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
উপনির্বাচনের ফল ও বঙ্গ রাজনীতির অভিমুখ
তন্ময় মল্লিক

জনতা জনার্দন। ফের প্রমাণ হয়ে গেল। মাত্র মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন দখল করে গেরুয়া শিবির মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাকেই তারা দখল করে নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই বঙ্গেই তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একেবারে উল্টো হওয়া বইয়ে দিল মানুষ।
বিশদ

30th  November, 2019
ওভার কনফিডেন্স
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সব থেকে প্রিয় হবি হল পরিবর্তন। তাঁরা স্থিতাবস্থায় বিশ্বাস করেন না। তাঁরা বদলের বন্দনাকারী। পরিবর্তন কি খারাপ জিনিস? মোটেই নয়। বরং পরিবর্তনই তো সভ্যতার স্থাণু হয়ে না থেকে এগিয়ে চলার প্রতীক।   বিশদ

29th  November, 2019
উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। বিশদ

28th  November, 2019
পাওয়ারের শক্তিপরীক্ষা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এখন সত্যিই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, বালাসাহেব থ্যাকারে বেঁচে থাকলে কী করতেন! আগের রাতে শুনে ঘুমাতে গেলেন, শিবসেনার জোট সরকার হচ্ছে এবং ছেলে উদ্ধব সেখানে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরদিন সাতসকালে ঘুম ভেঙে দেখলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন।
বিশদ

26th  November, 2019
মহারাষ্ট্রে টানটান সিরিয়ালের নায়ক কে
সন্দীপন বিশ্বাস

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অবসান হয়েছে। যুধিষ্টিরের অভিষেক পর্বও হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি, রাজধর্ম নিয়ে শিক্ষা নিতে তিনি গেলেন শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের কাছে। ভীষ্ম তাঁকে সেদিন যে উপদেশ দিয়েছিলেন তা আদর্শ রাজধর্ম এবং রাজনীতি বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু আজকের যুগের স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতি দেখলে মনে হয় এই রাজনীতি যেমন নীতির রাজা নয়, তেমনই রাজার নীতিও নয়। 
বিশদ

25th  November, 2019
একনজরে
বিএনএ, মেদিনীপুর: খড়্গপুরে এসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উন্নয়নে ৩৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ২৯টি নয়া প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন তিনি। বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল সাফল্যে খড়্গপুরবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে ৯ ডিসেম্বর আসছেন মুখ্যমন্ত্রী।  ...

হায়দরাবাদ, ৬ ডিসেম্বর (পিটিআই): হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শুক্রবার চার অভিযুক্তের মৃত্যু হল পুলিসি এনকাউন্টারে। যবনিকা পতন ঘটল এক বর্বরোচিত অপরাধের। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, গত দশ দিনে কোন পথে এগিয়েছিল ঘটনাক্রম।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাইনি হুন্ডাইয়ের উদ্যোগে ২৯তম ফ্রি কার কেয়ার ক্লিনিকের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে সেই ক্লিনিক শুরু হয়েছে। তা চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: সমস্ত দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে এবার ব্লক অফিসে গিয়ে বৈঠক করে কাজের হালহকিকত খতিয়ে দেখতে শুরু করলেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য। বৃহস্পতিবার তিনি সাঁকরাইল ব্লকে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। এর আগে তিনি আমতা-২ ব্লকেও প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৭২: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল ন্যাশনাল থিয়েটার
১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবারে বোমাবর্ষণ
১৯৮৪: বরুণ সেনগুপ্তের সম্পাদনায় আত্মপ্রকাশ করল ‘বর্তমান’  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৯ টাকা ৭২.১৯ টাকা
পাউন্ড ৯২.২০ টাকা ৯৫.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.৭৫ টাকা ৮০.৭৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, দশমী ১/৭ দিবা ৬/৩৪। রেবতী ৪৭/৫০ রাত্রি ১/২৮। সূ উ ৬/৭/৩৪, অ ৪/৪৮/২, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫১ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৩ গতে ৯/৪১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪৮ গতে ২/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৬/২৮ মধ্যে পুনঃ ৪/২৬ গতে উদয়াবধি। 
২০ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, একাদশী ৬০/০/০ অহোরাত্র। রেবতী ৪৭/৫০/২৭ রাত্রি ১/১৭/৯, সূ উ ৬/৮/৫৮, অ ৪/৪৮/৩৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ৭/৪৩ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫২ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে, কালবেলা ৭/২৮/৫৫ মধ্যে ও ৩/২৮/৩৮ গতে ৪/৪৮/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮/৩৯ মধ্যে ও ৪/২৮/৫৬ গতে ৬/৯/৩৭ মধ্যে। 
৯ রবিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মিথুন: উপার্জন ভাগ্য ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৭২: কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল ন্যাশনাল থিয়েটার১৯৪১: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পার্ল হারবারে ...বিশদ

07:03:20 PM

আলিপুরে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান বাড়ির একাংশ 
আলিপুর রোডে ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ...বিশদ

05:05:00 PM

মালদহে মহিলার রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ বিজেপির 

03:51:00 PM

মালদা, বালুরঘাট, কোচবিহার বিমানবন্দর নবীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী 
মালদা, বালুরঘাট, কোচবিহারের মতো অব্যবহৃত বিমানবন্দর ও বিমান স্ট্রিপগুলির নবীকরণের ...বিশদ

03:34:00 PM

একনজরে গতকালের ম্যাচের রেকর্ডগুলি 
গতকাল হায়দরাবাদে প্রথম টি-২০ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দারুণ জয় ...বিশদ

02:35:02 PM