Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সবার হাতে কাজ ছাড়া ‘সবকা বিকাশ’ অসম্ভব, মন্দির-মসজিদে তো পেট ভরবে না
হিমাংশু সিংহ

২০১৯ প্রায় শেষের দিকে। নতুন বছর আসতে আর বাকি দেড় মাসের সামান্য বেশি। বছরের শুরুটায় আপামর দেশবাসী মেতেছিল সাধারণ নির্বাচন নিয়ে। পাঁচবছরের জন্য কে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে তা ঘিরে রাজনৈতিক দাপাদাপি আর তরজায় জমজমাট ছিল বছরের শুরুটা। মাঝে নরেন্দ্র মোদির অভূতপূর্ব জয় ও ২০২৪ সাল পর্যন্ত গেরুয়া বাহিনীর দেশ শাসনের ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে মজে থাকা। তারপর নতুন সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশনেই তিন তালাকের মতো বর্বর প্রথা বন্ধে আইন প্রণয়ন ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘিরে ব্যাপক প্রচার মোদি সরকারের সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে সাময়িকভাবে দেশবাসীর সমীহ আদায় করে নিয়েছিল। আর বছরের শেষ পর্বে শুরু হল দীর্ঘ ২৭ বছর পর অযোধ্যার মন্দির-মসজিদ রাজনীতির সমাধানের নয়া অধ্যায়। দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার দেশের মহামান্য প্রধান বিচারপতি এক ঐতিহাসিক রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির উপর রামলালার অধিকারকেই আইনি স্বীকৃতি দিয়েছেন। আদালতের রায়ে ওই জমির মালিকানা যাচ্ছে রামজন্মভূমি ন্যাসের হাতে। আগামী তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট তৈরি করে সেখানে দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষিত রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরুর নির্দেশও দিয়েছে ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। একইসঙ্গে মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিমদের অন্যত্র সরকারকে ৫ একর জমি দিতেও বলা হয়েছে। অর্থাৎ এই রায়ে একইসঙ্গে মন্দির ও মসজিদ নির্মাণের পথই সুগম হল। নিঃসন্দেহে এরকম দশকের পর দশক চলে আসা একটি সংবেদনশীল মামলায় দুই সম্প্রদায়কে যতটা সম্ভব খুশি রেখে ভারসাম্যের রায় স্বাগত। তার উপর বেঞ্চের ৫ সদস্যই সর্বসম্মত রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ রায় নিয়ে মহামান্য বিচারপতিদের মধ্যে কোনও দ্বিমত ছিল না। একমত হয়েই স্বাধীন ভারতের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ রায়ে পাঁচ মহামান্য বিচারপতি সই করেছেন। প্রাথমিকভাবে সবপক্ষ রায়কে স্বাগত জানালেও দেশজুড়ে আগাম সতর্কতা জারি হয়েছে। বহু জায়গায় আধাসেনা নেমেছে। সংঘাত-সংঘর্ষ এড়িয়ে শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখাই এই মুহূর্তে প্রতিটি নাগরিকের এবং ক্ষমতাসীন সরকারের একান্ত কর্তব্য হওয়া উচিত। পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের উচিত, রায় নিয়ে জয়-পরাজয়ের সঙ্কীর্ণ রাজনীতি না করা। ফায়দা লুটতে গিয়ে অযথা উত্তেজনায় ইন্ধন দিলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। যে কোনও মূল্যে তাই মানুষে মানুষে সম্প্রীতি রক্ষা জরুরি। বিশেষ করে অর্থনীতির অবস্থা যখন একেবারে তলানিতে, তখন এ ধরনের সংবেদনশীল ইস্যুতে অশান্তি কোনওমতেই বরদাস্ত করা যায় না। আর্থিক মন্দার বাজারে এমনিতেই বর্তমানে কর্মসংস্থানের অবস্থা তথৈবচ। নোটবন্দির পর তিনবছর কেটে গেলেও সেই দগদগে ক্ষত সারিয়ে এখনও বিধ্বস্ত আর্থিক কাঠামোর সুস্থ হওয়ার যেন লক্ষণই নেই, তার প্রমাণ ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র। বেশি খোঁজার দরকার নেই। সরকার প্রথমটায় না মানলেও, এখন ধীরে ধীরে নিজের অজান্তেই তা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর ঘনঘন উদ্বিগ্ন সাংবাদিক সম্মেলন ও কিছু বেপরোয়া ঘোষণা তারই অকাট্য প্রমাণ বহন করছে। সাধারণ মানুষের হাতে কাজ না থাকলে, মানুষ আর্থিকভাবে বিপন্ন হলে মন্দির মসজিদ দিয়ে ভুলিয়ে রাখা কি সম্ভব?
তিনবছর আগে প্রথমে নোটবন্দির ধাক্কা, আর তার পরে জিএসটির সাঁড়াশি চাপে সেই যে বাজার ঘুমিয়ে পড়েছে, তা আজও কাটেনি। সব হাতে কাজ নেই। সদ্যসমাপ্ত অক্টোবর মাসের বেকারত্বের হার রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৫ শতাংশে। ঠিক তার আগের মাসে এই হার ছিল ৭.২ শতাংশ। নোটবন্দির পর ২০১৭ সাল থেকেই দেশে বেকারত্বের হার ক্রমে বাড়তে থাকে। ওই বছর হার ছিল ৬.১ শতাংশ। একটি পরিসংখ্যান বলছে ৪৫ বছরে দেশে এমন বেকারত্ব দেখা যায়নি। এমনকী, জিএসটি থেকে আদায় প্রথম দিকে কিছু বাড়লেও এই উৎসবের মাসে সেটাও ৫.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। আর এইখানেই সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। অথচ, সরকারটা কিন্তু বেমালুম চলছে বিরোধীদের সবক্ষেত্রে কোণঠাসা করে। এমনকী, খোদ গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা পর্যন্ত পত্রপাঠ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হচ্ছে না। বিরোধীদের অসম্মান করে, কোণঠাসা করে প্রকৃত গণতন্ত্র
বাঁচতে পারে না। একদা কংগ্রেসও এই একই ভুল করেছে। আজও সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। সেটাই একান্ত দুঃখের।
তবে ধুরন্ধর শাসক যতই ফন্দি ফিকির করুন না কেন রাজনীতির সাফল্য তখনই সম্ভব হয় যখন অর্থনীতি চাঙ্গা থাকে। মরা, এমনকী ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিও দেশকে, দেশের মানুষকে কোনওদিন ভালো রাখতে পারে না। দেশকে ভালো রাখতে শিল্পোৎপাদন বাড়ানো তাই একান্ত জরুরি। আর সামগ্রিক চাহিদা বাড়লে তবেই উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। একমাত্র তখনই নতুন করে বিনিয়োগে আগ্রহী হন লগ্নিকারীরা। লগ্নি বাড়লে কর্মসংস্থানের পরিবেশও সুগম হয়। কিন্তু, নোটবন্দি ও জিএসটির জোড়া সঙ্কটে শিল্পের পরিবেশ ক্রমেই সঙ্কটজনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিল্পোৎপাদন কমছে। চাহিদা কমছে। এর ফলে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন আর বৃদ্ধির জায়গায় নেই। শিল্প ও উৎপাদন মার খেলে দেশের খেটে-খাওয়া শ্রমিক-কর্মচারীরা কোনওভাবেই ভালো থাকতে পারে না। অর্থনীতির এটাই সহজ পাঠ। তাই বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেউই এই কঠিন সময়ে কোনও স্বস্তি দিতে পারছে না। হঠাৎই গাড়ি শিল্পে এক ভয়ঙ্কর মন্দা নেমে এসেছে। কয়েক লক্ষ লোক এই উৎসবের মরশুমেই কাজ হারিয়ে বেকার। একই অবস্থা নির্মাণ ও আবাসন শিল্পেও। সেখানেও হাজার হাজার অসমাপ্ত প্রকল্প শত শত শ্রমিক কর্মচারীর মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে। বোনাস পাওয়া তো দূর অস্ত, প্রতি মাসে তাঁরা বেতনটুকুও পাচ্ছেন না। বিরোধীদের অভিযোগ, আসল সমস্যার সমাধান করতে না পেরেই ক্রমাগত অন্যদিকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এবারও একদিকে যখন কাশ্মীরি ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘিরে মোদি সরকার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে, তখনই আবাসন শিল্পের এই মন্দা হাজার হাজার শ্রমিককে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বহু প্রথম সারির কর্পোরেট সংস্থায় ব্যাপক ছাঁটাই পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে।
মাঝেমধ্যে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হওয়ার খবরে একশ্রেণীর বড়লোক খুশি হলেও এর কোনও প্রভাব খেটে খাওয়া আম জনতার কাছে পৌঁছয় না। গাড়ি শিল্পে যেমন ব্যাপক কর্মচ্যুতির সঙ্কট নেমে এসেছে, তেমনি নির্মাণ ও আবাসনের মতো অসংগঠিত ক্ষেত্রেও অবস্থা তথৈবচ। এমএ, পিএইচডি করেও বহু কৃতী ছেলেমেয়ে কম বেতনে অল্প যোগ্যতার চাকরিতে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি করছে নির্মাণ ও আবাসন শিল্পকে কিছুটা চাঙ্গা করতে। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি দেবে ১০ হাজার কোটি টাকা। আর স্টেট ব্যাঙ্ক ও এলআইসি দেবে বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, সারা দেশে আটকে থাকা বা অসমাপ্ত ১৬০০টি আবাসন প্রকল্পে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ফ্ল্যাট এই নয়া প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ হতে পারবে। কিন্তু, এনপিএ বা দেউলিয়া হয়ে যাওয়া আবাসন প্রকল্পে টাকা ঢেলে নতুন করে কি কোনও সুরাহা মিলবে, নাকি ফের ওই টাকাও জলে যাবে—তা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। এর উপর বেসরকারি ক্ষেত্রে যখন পরিস্থিতি সঙ্কটজনক তখনই বিএসএনএল-কে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সরকার এক স্বেচ্ছাবসর কর্মসূচি চালু করেছে। এটা একদা সরকারের অত্যন্ত লাভজনক সংস্থা বিএসএনএল-কে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা। এই পদক্ষেপ যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবে সরকারের মুখ পুড়তে বাধ্য। সব হাতে কাজ না-থাকলে সবার বিকাশ সম্ভব নয়। কাশ্মীর, ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারার অবলুপ্তি গত আগস্ট মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিঃসন্দেহে একটা গতি দিয়েছে, তার সংস্কারমুখী ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। যদিও ব্যাপক প্রচার চললেও তার কোনও প্রতিফলন আমরা মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার নির্বাচনের ফলে দেখিনি। এখন আবার অযোধ্যার রায় এসে গিয়েছে। আগামী কিছুদিন তাই অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ই জাতীয় রাজনীতির মূল চালিকা শক্তি হয়ে দাঁড়াবে। মানুষ ভুলে যাবে অর্থনীতির সঙ্কটের কথা। ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির কথা। পেঁয়াজের দাম যে কোন জাদুতে ৮০ টাকা কেজি হল, সেই রহস্যের কথা। বেকারত্ব, কাজহারা মানুষের বিলাপ, আর্তনাদ
এসব ছাপিয়ে আবার মন্দির-মসজিদ নিয়ে আমরা মেতে উঠব! রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও তার ফায়দা তুলতে কসুর করবেন না। কিন্তু, সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ যে তিমিরে সেই তিমিরেই দিন কাটাবে। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি আগামী তিন-চার মাস কোন পথে চলে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এক প্রতীক্ষা।
নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটি মুখে যাই বলুন, বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে তাঁরাও যে উদ্বিগ্ন তার হাতে গরম প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলেছে। আর সেই উদ্বেগের ধাক্কাতেই চাকরি ও কর্মসংস্থান নিয়ে মোদি সরকার সম্প্রতি ব্যাংককে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সই করা থেকে পিছু হটেছে।
১৬টি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হয়েও শেষ পর্যন্ত ওই চুক্তিতে সই করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সবাইকে অবাক করেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তরাত্মার ডাকেই একাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যতই জাহির করুন না কেন, বিরোধীদের চাপ এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণেই তিনি যে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন, তা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। অন্যথায় চীনাসহ অন্যসব বিদেশি সামগ্রীতে বাজার আরও ছেয়ে যেত। ভারতীয় জিনিস কেনার আর কেউ থাকত না। কাজ হারাত এ দেশেরই অসহায় শ্রমিকরা। যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ডাক দিয়ে নরেন্দ্র মোদি দেশীয় শিল্পকে নতুন করে উৎসাহ দেওয়ার কৌশল নিয়েছিলেন তা মাঠে মারা যেত। তবে আগামী দিন যে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হতে চলেছে তার ইঙ্গিত দেশের আম জনতা, খেটে-খাওয়া মানুষ ইতিমধ্যেই পেতে শুরু করে দিয়েছে। অযোধ্যা বা মন্দির-মসজিদ দিয়ে ভোটের আসর সাময়িক মাত করা যায়, কিন্তু তা দিয়ে গরিবের পেট ভরে না। এই আপ্তবাক্য আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতারা কবে বুঝতে পারবেন? ভোটের নাগপাশ থেকে বেরিয়ে কবে তাঁরা মানুষের স্বার্থে উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করবেন, তা ঈশ্বরই জানেন।  
10th  November, 2019
সংবিধানই পথ
সমৃদ্ধ দত্ত

 তিন বছর ধরে সংবিধান রচনার কাজ অবশেষে যখন সমাপ্ত হল, তখন ১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতীয় সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া পেশ করে সংবিধান-সভায় তাঁর সর্বশেষ বক্তৃতায় সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান ড.ভীমরাও আম্বেদকর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ভারতের এই সংবিধানের মূল সুর এবং গণতন্ত্র কি আদৌ শেষ পর্যন্ত আগামী দিনে রক্ষা করা সম্ভব হবে? বিশদ

পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বুড়ো হবার সব লক্ষণ একেবারে স্পষ্ট। 
বিশদ

14th  November, 2019
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে। বিশদ

13th  November, 2019
ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। বিশদ

13th  November, 2019
অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। 
বিশদ

12th  November, 2019
প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড!  
বিশদ

11th  November, 2019
ক্ষমতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে কমনিষ্ঠ পার্টি অব মৃত্যুলোকের নয়া পরিকল্পনা
সন্দীপন বিশ্বাস

হাতের চুরুটটা নিভতে নিভতেও আগুন ছুঁয়ে আছে। আর কমরেট প্রমোদিয়েভ ঝিমোতে ঝিমোতেও জেগে আছেন। ওদিকে কমরেট জ্যোতোভস্কি আরাম কেদারায় হেলান দিয়ে টেবিলে পা তুলে দিয়ে টিভি দেখছেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। এখনও অন্য কমরেটরা আসেননি। 
বিশদ

11th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

 পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
বিশদ

09th  November, 2019
ফজলুর রহমানের উত্থান, ইমরানের মাথাব্যথা
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা টলমল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! সরকারের অপদার্থতা, ভোটে রিগিং এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জমিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান।  
বিশদ

08th  November, 2019
ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব: ফিরে দেখা
জিষ্ণু বসু

৭ নভেম্বর মধ্যরাত্রে বলশেভিকরা এই ডুমার সদস্যদের হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। ত্রোৎস্কির নেতৃত্বে বলশেভিকদের এই অভিযানে সহায়তা করেছিলেন ‘জার্মান গোল্ড’ দিয়ে কেনা সরকারি আধিকারিক ও সৈনিকদের একাংশ। গণতন্ত্র সমাপ্ত হওয়ার পরে, ৮ নভেম্বর অজ্ঞাতবাস থেকে আত্মপ্রকাশ করেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিওনভ ওরফে লেনিন।
বিশদ

07th  November, 2019
ঘরে ঘরে হানাদার 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উওটার স্লটবুম আমস্টারডামের একটি কাফেতে ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ডাচ সাংবাদিক। কাফেতে ওয়াই-ফাই চলছে। স্লটবুম একটি চেয়ার টেনে বসে তাঁর ল্যাপটপটা খুললেন। পাশে ছোট কালো রঙের একটা ডিভাইস।  বিশদ

05th  November, 2019
মর্ত্যলোক থেকে ঘুরে গিয়ে শিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিল টিম-দুর্গা
সন্দীপন বিশ্বাস

মর্ত্য থেকে ফিরে প্রতিবারই শিবের কাছে টিম-দুর্গা একটা করে রিপোর্ট জমা দেয়। ‘পিতৃগৃহং পরিক্রমণং সন্দেশম্‌’ ফাইলে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে এবং শিব সেই রিপোর্ট পড়ে মর্ত্যধামের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হন। এবারও যথারীতি প্রত্যেকে তাঁদের রিপোর্ট ‘মহাদেব অ্যাট কৈলাস ডট কমে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওটা শিবের ই-মেল অ্যাড্রেস। 
বিশদ

04th  November, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রশান্ত কিশোরের দাওয়াই মেনে এবার ইস্তাহার উপনির্বাচনেও। দলের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও উপনির্বাচনে ভোটারদের কাছে পৌঁছতে এলাকা ভিত্তিক ইস্তাহার প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিল ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তর পূর্ব ভারত থেকে আসছে নিষিদ্ধ মাদক ট্যাবলেট ইয়াবা। এই কারবারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে জাল নোটও। তদন্তে নেমে এই তথ্য হাতে পেল ...

 বেঙ্গালুরু, ১৪ নভেম্বর (পিটিআই): যোগ দেওয়ার দিনই বরখাস্ত হওয়া ১৩ বিধায়ককে উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল কর্ণাটক বিজেপি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা ঘোষণা করে দিলেন, জয়ী হয়ে এলে এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য করা হবে। ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: ঘোষণাই সার, বেআইনি টোটো বন্ধ হয়নি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। এনিয়ে একদিনের জন্যও কোনও অভিযান চালাতে দেখা যায়নি আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরকে। ফলে টোটোযন্ত্রণা নিয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.২৯ টাকা ৭৩.০০ টাকা
পাউন্ড ৯১.০০ টাকা ৯৪.৩২ টাকা
ইউরো ৭৭.৯২ টাকা ৮০.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ কার্তিক ১৪২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩৪/৪৩ রাত্রি ৭/৪৬। মৃগশিরা ৪৩/১৮ রাত্রি ১১/১২। সূ উ ৫/৫২/৪৬, অ ৪/৪৯/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩৭ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে।
২৮ কার্তিক ১৪২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩৩/৪৬/২৯ রাত্রি ৭/২৪/৪৫। মৃগশিরা ৪৪/২৬/৪৪ রাত্রি ১১/৪০/৫১, সূ উ ৫/৫৪/৯, অ ৪/৫০/১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৪/১৯ গতে ৫/৫৫ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩৮/৭ গতে ১০/০/৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/০/৬ গতে ১১/২২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৬/৩ গতে ৯/৪৪/৪ মধ্যে।
 ১৭ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। বৃষ: বন্ধুবান্ধব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৫৩৩: ইনকা সভ্যতার রাজধানী কুঝকোয় পদার্পণ করলেন ফ্রান্সিসকো পিজারিও১৬৩০: জার্মান ...বিশদ

07:03:20 PM

কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা অমিতাভ বচ্চনের 

05:20:00 PM

প্রথম টেস্ট: দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত ৪৯৩/৬ (৩৪৩ রানের লিড) 

05:05:49 PM

মালদহের সুজাপুরে ২০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার 
২০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার হল মালদহের কালিয়াচক এলাকার সুজাপুরে। ...বিশদ

03:53:52 PM

দ্বিশতরান মায়াঙ্ক আগরওয়ালের, ভারত ৩৬৫/৪

03:51:23 PM