Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মর্ত্যলোক থেকে ঘুরে গিয়ে শিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিল টিম-দুর্গা
সন্দীপন বিশ্বাস

মর্ত্য থেকে ফিরে প্রতিবারই শিবের কাছে টিম-দুর্গা একটা করে রিপোর্ট জমা দেয়। ‘পিতৃগৃহং পরিক্রমণং সন্দেশম্‌’ ফাইলে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে এবং শিব সেই রিপোর্ট পড়ে মর্ত্যধামের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হন। এবারও যথারীতি প্রত্যেকে তাঁদের রিপোর্ট ‘মহাদেব অ্যাট কৈলাস ডট কমে’ পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওটা শিবের ই-মেল অ্যাড্রেস। শিব প্রথমে অসুরের রিপোর্ট পড়তে শুরু করলেন।
অসুর লিখেছেন, ‘বাবা, আমি মুখ্যুসুখ্যু সাধারণ মানুষ। খুব বেশি কিছু বুঝি না। তবে মনে হল, এক সাংঘাতিক সময় আসতিসে। দ্যাশের মানুষের আর দ্যাশ বলে কিছু থাকবে নি। এক কলমের খোঁচায় সব অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবে। সবার মধ্যে দেকতে পাচ্ছি এনআরসি আতঙ্ক। শুনলাম ওখানে নাকি বড় বড় খাঁচা বানাচ্ছে। সেখানে মানুষকে পুরে রাখবে। ডিটিনশন ক্যাম্প নাকি কী যেন বলছিল সব। ওরাই বলছিল, কে যেন এক হিটলার অমনই এক ক্যাম্প বানিয়েছেল। আমি তো ছোটজাত। অসুর। লোকে ঘেন্না করে আমায়। জানি না, সামনের বছর আর আমাকে মায়ের বাপের বাড়ি ঢুকতে দেবে কিনা! কে জানে হয়তো ওই ডিটিনশন ক্যাম্পেই আটকে রেখে দেবে। বড় ভয় বাবা, বড় ভয়!’
অসুরের রিপোর্ট পড়ে শিব চিন্তায় পড়লেন। ভাবলেন নন্দী-ভৃঙ্গী যুগলকে একবার মর্ত্যে পাঠিয়ে ডিটেলস রিপোর্ট সংগ্রহ করবেন।
পরের রিপোর্ট গণেশের। পড়তে শুরু করলেন শিব। ‘বাবা, বিশ্বকর্মাকাকু ফিরে এসে বলেছিলেন, দেশের সর্বত্রই শিল্পের দফারফা চলছে। চাঙ্গা একমাত্র চৌর্যশিল্প। যে যেখানে পারছে হাত মেরে কামাচ্ছে। তবে অধিকাংশ রাজনীতিক এবং ব্যবসায়ী এ ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত। দুজনে লতায় পাতায় একেবারে মাসতুতো ভাই। এ বলে আমায় দ্যাখ, ও বলে আমায় দ্যাখ। প্রায় সর্বত্র লুটেপুটে খাওয়ার চিহ্ন স্পষ্ট। আমি গিয়ে সেটাই দেখলাম। ব্যাঙ্ক থেকে ব্যবসার জন্য টাকা নিয়ে গণেশ উল্টে সবাই বিদেশে পালাচ্ছে। এই ‘গণেশ ওল্টানো’ শব্দটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ওটা যে আমার কাছে কতটা অপমানজনক তা বলে বোঝাতে পারব না। ইচ্ছে করে সব ক’টাকে শুঁড়ে জড়িয়ে আছাড় মারি। এর সঙ্গে এবার যে মহা ঝামেলার ব্যাপার দেখলাম তা হল রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ব্রিজের টলোমলো অবস্থা। সর্বত্র একটা আতঙ্ক। এই বুঝি ভেঙে পড়ল। ঘরপোড়া গোরু তো সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পাবেই। ’
রিপোর্ট পড়ে শিব একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। একবার বিশ্বকর্মাকে পাঠাতে হবে। সব ব্রিজের একটা তদন্ত রিপোর্ট অবিলম্বে তাঁর চাই।
পরের মেলটা সরস্বতীর। খুলে পড়তে শুরু করলেন শিব। ‘একটা কথা বলতেই হয়। সেটা হল শিক্ষার দৈন্যদশা সর্বত্র চলছে। শিক্ষার থেকে রেজাল্ট বড়। ভালো রেজাল্ট করার জন্য যা চলছে তা মোটেই কাম্য নয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বইয়ের ব্যাগ বইতে বইতে পিঠের শিরদাঁড়া বেঁকে যাওয়ার জোগাড়। আবার দেখলাম বহু পণ্ডিত পুরাণ, শাস্ত্রকে ইতিহাস আর বিজ্ঞান বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ তো সমস্ত ওষুধের বিকল্প হিসাবে গোময় এবং গোমূত্রকে চালানোর পক্ষে সওয়াল করছেন। সব ঘেঁটে ঘ হয়ে যাচ্ছে। ওদিকে আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিন্য নিয়ে গর্ব করার মতো দিন ছিল আমাদের। সেই কৌলিন্য যেন ধুলোয় লুটিয়ে যেতে বসেছে। শিক্ষাঙ্গনে যা যা হচ্ছে তা আমি তোমাকে সব বলতে পারব না। রাজ্যের মানুষ তা জানে। রাজনীতি এক জিনিস, কিন্তু নোংরামি অন্য। শিক্ষার দেবী হয়ে লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাওয়ার জোগাড়। আমি শুধু বলতে পারি এই অশিক্ষার পরিবেশ অবিলম্বে দূর করা দরকার। সব থেকে ভালো হয়, যদি তুমি কাউকে আলাদা পাঠিয়ে একটা ডিটেলস রিপোর্ট তৈরি করাও।’
শিব ভাবলেন, সেটা করা দরকার। নিজের মনেই বললেন, একবার অশ্বিনীকুমার ভাইদের পাঠাবো ভাবছি।
এবার তিনি কার্তিকের পাঠানো রিপোর্ট পড়তে শুরু করলেন। ‘এবার ঘুরে এসে থেকে একটা ব্যাপার আমার মাথায় ঘুরছে। শুনে এলাম কেন্দ্রীয় সরকার সব নাকি বেসরকারি হাতে বেচে দেবে। রেল, ব্যাঙ্ক, বিমা, বিমান আরও অনেক কিছু। আমি ঠিক করেছি, সরকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেচলেই আমি কিনে নেব। শুনলাম রাশিয়া, আমেরিকা, চীন, ফ্রান্স নাকি লাইনে আছে। ঘোষণা হলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। পুরো দেশের প্রতিরক্ষা আমিই চালাব। আর মাঝে মাঝে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করব। লোকে আমার নামে ধন্য ধন্য করবে। তবে একটা কথা আমার মনে হয়েছে, যত টাকার অস্ত্র কেনা হয়, তার বড় অংশ যদি দেশের স্বাস্থ্য খাতে আর পরিবেশ খাতে ব্যয় করা যেত, তবে দেশটা অন্যরকম হত।’
শিব পড়ে মুচকি হাসলেন। নিজের মনেই বললেন, প্রতিরক্ষা শক্তি তো বাড়াতেই হবে। অস্ত্র কেনাটা সব সরকারেরই একটা অভ্যাস। সব ডিলই মোক্ষম ডিল। তাই অস্ত্র কেনাটা জরুরি কর্তব্য।
পরের ই-মেল লক্ষ্মীর। শিব পড়তে শুরু করলেন। ‘সব দেখলাম ভাঁড়ে মা ভবানী। রাজকোষ বাড়ন্ত। সরকার আর্থিক দুর্বলতার কথা স্বীকার না করলেও দেশের মানুষ সব জানে। ফেসবুকে ফেসবুকে এনিয়ে কত যে ব্যঙ্গ, মিম চলছে তা বলে বোঝানো যাবে না। আর সরকার বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছে, আর্থিক সূচক ঊর্ধ্বমুখী এবং আর্থিক অগ্রগতি বোঁ বোঁ করে ছুটছে। সরকার বলছে, দেশে নোট বদলের প্রভাব তেমন দেখা যায়নি। সরকারের এখন সবথেকে বড় মাথাব্যথা হল, আর্থিক ক্ষেত্রটাকে মসৃণ রাখা। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যেসব নিয়মনীতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাতে অনেকেই অসন্তুষ্ট। কিন্তু শুধু সংখ্যার জোরে সরকার অনেক কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে। বিরোধী বলে কিছু নেই। তাই পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
শিব বললেন, ‘যে দেশটা স্বাধীনতার পর থেকেই আকণ্ঠ দুনীর্তিতে ডুবে আছে, তার পরিণতি তো এমনই হবে। দুনীর্তিই হল দেশের মূল শত্রু।’
এবার দুর্গার ই-মেল খুলে পড়তে শুরু করলেন শিব। ‘একদিন আমি অসুর মেরে সমস্ত স্বর্গলোককে রক্ষা করেছিলাম। কিন্তু বারবার বাপের বাড়ি গিয়ে যেসব অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি ফিরে আসি, তাতে মনে হয়, আমি ব্যর্থ। কিছুই করতে পারলাম না। কত অসুর যে মর্ত্যলোকে ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে, আমি দেখেও কিছু করতে পারি না।
একটা সাজানো অসুরকে আমি প্রতি বছর বধ করে দেশের মানুষের পূজিত হই। অথচ সমাজে কত অসুরের দল বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি দেখেছি অনেক রাজনৈতিক অসুর। তারা সমাজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা মেয়েদের মর্যাদা দেয় না। রাজনৈতিক ক্ষমতার বলে বলী হয়ে কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করে। পুলিস অভিযোগ নেয় না। উল্টে তাদের বাড়ি গিয়ে শাসায়। সাক্ষীকে মাঝপথে ট্রাক চালিয়ে পিষে মেরে ফেলে। ধর্ষণ, পীড়ন চৌর্যবৃত্তির পর তাদের আত্মরক্ষার বর্ম হল রাজনীতি। ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের মধ্যেও এইসব অসুরকে আমি দেখেছি। আবার শিক্ষক অসুরও আছে। কন্যাসম ছাত্রীদের তারা শ্লীলতাহানি করে। এতটুকু বিবেক, মানবিকতা তাদের নেই। তাছাড়া প্রোমোটার অসুর, ডাক্তার অসুর, আইনজীবী অসুরদেরও আমি দেখেছি। এসব দেখে খুব হতাশ লাগে। অসুর আমার পায়ের কাছে বসে বলে, মা সব দেখছো তো? আমি বলি, সব দেখছি বাবা। কিছু করা যাবে না। যাদের হাতে ক্ষমতা, তাদের ধ্বংস হতে সময় লাগবে। তাছাড়া এখন চারিদিকে মানবাধিকার কর্মীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবাই আমাকে ফাঁসিয়ে দেবে। তোদের সময় মানবাধিকার ব্যাপারটা ছিল না বলেই তোকে বধ করতে পেরেছি। নাহলে তুইও বেঁচে যেতিস। অসুর আমায় বলেছিল, আমি তো বেঁচে আছি মা। তুমি তো আমাকে মারতে পারনি। রক্তবীজের মতো আমি মানুষের মধ্যে বেঁচে আছি। ক্ষমতায়, বাহুবলে, হিংসায়, লোভে, কামনায়, প্রবৃত্তিতে, লুণ্ঠন মানসিকতায়, পাপবোধে, আগ্রাসনে। আমরা মানুষের সব শুভবোধকে শেষ করে দেব। এই পৃথিবীকে করে তুলব অসুরদের বাসভূমি। তাই শুনে আমি বলেছি, তা আমি হতে দেব না। সুযোগ হলেই আমি তোদের বিনাশ করব। চণ্ডীর সইে শ্লোকটা জানিস তো! ইত্থং যদা যদা বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি / তদাতদাবতীর্য্যাহং করিষ্যামি অরিসংক্ষয়ম। আসুরিক অত্যাচারে এই ধরা পীড়িত হয়ে উঠলে আমি আবির্ভূত হয়ে সেই অসুরিক শক্তিকে বিনাশ করব। অসুরদের দমন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমি আসবই।’
শিব অস্ফুটে বললেন, ‘তুমিই পারবে দুর্গা। নারীশক্তি যখন অপমানিত হয়, তখনই তো শুরু হয় ধ্বংসের খেলা। আমি সেই ধ্বংসের ছবি মানস চক্ষে দেখতে পাচ্ছি।’
 কার্টুন সুব্রত মাজী 
04th  November, 2019
সংবিধানই পথ
সমৃদ্ধ দত্ত

 তিন বছর ধরে সংবিধান রচনার কাজ অবশেষে যখন সমাপ্ত হল, তখন ১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর ভারতীয় সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া পেশ করে সংবিধান-সভায় তাঁর সর্বশেষ বক্তৃতায় সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান ড.ভীমরাও আম্বেদকর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, ভারতের এই সংবিধানের মূল সুর এবং গণতন্ত্র কি আদৌ শেষ পর্যন্ত আগামী দিনে রক্ষা করা সম্ভব হবে? বিশদ

পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। বুড়ো হবার সব লক্ষণ একেবারে স্পষ্ট। 
বিশদ

14th  November, 2019
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নীতির
কাছে ভারতের স্বার্থটাই সবার উপরে
অমিত শাহ

 মোদিজির নেতৃত্বাধীন উন্নতশির ভারতের কথা বিবেচনা করে আরসিইপি সদস্য রাষ্ট্রগুলি বেশিদিন আমাদের এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তারা আমাদের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে রাজি হবে। এর মধ্যে আমরা এফটিএ মারফত আসিয়ান রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্করক্ষায় সফল হয়েছি। আরসিইপি প্রত্যাখ্যান করে চীনের সম্ভাব্য গ্রাস থেকে আমাদের শিল্পকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে সুরক্ষা দিতে পেরেছি। আমাদের জন্য ভারতের স্বার্থটাই সবার আগে। বিশদ

13th  November, 2019
ভাষা বিতর্কে জেইই মেনস
শুভময় মৈত্র

পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসেন, তাঁরা মোটামুটি ভালোভাবেই ইংরেজি পড়তে পারেন। তার জন্যে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল বা বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। সারা দেশের মধ্যে বাঙালিরা যে শিক্ষা সংস্কৃতিতে বেশ এগিয়ে আছে সেটা বোঝার জন্যে প্রচুর পরিসংখ্যান আছে, যেগুলো জায়গামতো ছাপা হয় না। বিশেষ করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এরাজ্যের ছেলেমেয়েরা ঐতিহ্যগতভাবে ভালো, ঔপনিবেশিক কারণে ইংরেজিতেও। সেখানে জেইই মেনসের মতো পরীক্ষার প্রশ্ন বাংলায় করতে হবে বলে বাংলার পরীক্ষার্থীদের না গুলিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। বিশদ

13th  November, 2019
অস্তাচলে মন্দির রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

সালটা ১৯৯২। লালকৃষ্ণ আদবানির ‘রথযাত্রা’ শুরু হওয়ার ঠিক আগের কথা...। কথোপকথন চলছে বিজেপি নেতার সঙ্গে বজরং দলের এক নেতার। ‘বাবরির কলঙ্ক মুছে দিতে পারবে না?’ বজরং দলের সেই নেতা উত্তর দিলেন ‘আপনার নির্দেশের অপেক্ষাতেই তো বসে আছি। 
বিশদ

12th  November, 2019
প্রেমময় শ্রীকৃষ্ণের মধুর রাসলীলা
চিদানন্দ গোস্বামী

বিশারদ সর্ব বিষয়ে। বাঁশিতে, রথ চালনায়, চৌর্যকর্ম, কূটনীতি, যুদ্ধবিদ্যা, ছলচাতুরি—সবকিছুতেই বিশারদ। আর প্রেমপিরিতে তো মহা বিশারদ। এবং, কলহ বিতর্ক বাগযুদ্ধ যুক্তি জাদু, অপমান উপেক্ষা করতেও কম যায় না। অথচ পরমতম প্রেমিক পুরুষ। হ্যাঁ, এমন প্রেম জানে ক’জনা! আর, সেই প্রেমেও কত না কাণ্ড!  
বিশদ

11th  November, 2019
ক্ষমতায় ফিরে আসার লক্ষ্যে কমনিষ্ঠ পার্টি অব মৃত্যুলোকের নয়া পরিকল্পনা
সন্দীপন বিশ্বাস

হাতের চুরুটটা নিভতে নিভতেও আগুন ছুঁয়ে আছে। আর কমরেট প্রমোদিয়েভ ঝিমোতে ঝিমোতেও জেগে আছেন। ওদিকে কমরেট জ্যোতোভস্কি আরাম কেদারায় হেলান দিয়ে টেবিলে পা তুলে দিয়ে টিভি দেখছেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি। এখনও অন্য কমরেটরা আসেননি। 
বিশদ

11th  November, 2019
সবার হাতে কাজ ছাড়া ‘সবকা বিকাশ’ অসম্ভব, মন্দির-মসজিদে তো পেট ভরবে না
হিমাংশু সিংহ

২০১৯ প্রায় শেষের দিকে। নতুন বছর আসতে আর বাকি দেড় মাসের সামান্য বেশি। বছরের শুরুটায় আপামর দেশবাসী মেতেছিল সাধারণ নির্বাচন নিয়ে। পাঁচবছরের জন্য কে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে তা ঘিরে রাজনৈতিক দাপাদাপি আর তরজায় জমজমাট ছিল বছরের শুরুটা। বিশদ

10th  November, 2019
পঞ্চাশোর্ধ্বে বানপ্রস্থ?
অতনু বিশ্বাস

 পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই হয়ে একটা প্রায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধ ভাব এসেছে আমার মধ্যে। সেটা খুব অস্বাভাবিক হয়তো নয়। এমনিতেই চারপাশের দুনিয়াটা বদলে গিয়েছে অনেক। চেনা-পরিচিত বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো হঠাৎ যেন বড় হয়ে গিয়েছে। আমাকে ডাকনাম ধরে ডাকার লোকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।
বিশদ

09th  November, 2019
ফজলুর রহমানের উত্থান, ইমরানের মাথাব্যথা
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা টলমল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের! সরকারের অপদার্থতা, ভোটে রিগিং এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন জমিয়াত উলেমা-এ-ইসলামের প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান।  
বিশদ

08th  November, 2019
ঐতিহাসিক নভেম্বর বিপ্লব: ফিরে দেখা
জিষ্ণু বসু

৭ নভেম্বর মধ্যরাত্রে বলশেভিকরা এই ডুমার সদস্যদের হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। ত্রোৎস্কির নেতৃত্বে বলশেভিকদের এই অভিযানে সহায়তা করেছিলেন ‘জার্মান গোল্ড’ দিয়ে কেনা সরকারি আধিকারিক ও সৈনিকদের একাংশ। গণতন্ত্র সমাপ্ত হওয়ার পরে, ৮ নভেম্বর অজ্ঞাতবাস থেকে আত্মপ্রকাশ করেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিওনভ ওরফে লেনিন।
বিশদ

07th  November, 2019
ঘরে ঘরে হানাদার 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

উওটার স্লটবুম আমস্টারডামের একটি কাফেতে ঢুকলেন। সঙ্গে একজন ডাচ সাংবাদিক। কাফেতে ওয়াই-ফাই চলছে। স্লটবুম একটি চেয়ার টেনে বসে তাঁর ল্যাপটপটা খুললেন। পাশে ছোট কালো রঙের একটা ডিভাইস।  বিশদ

05th  November, 2019
একনজরে
 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...

বিএনএ, সিউড়ি: সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ভোটার তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ায় ৯৯ শতাংশ সাফল্য আসায় নজির গড়েছে বীরভূম। কিছুদিন আগে পর্যন্ত ভোটার তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার গতি শ্লথ ছিল। কিন্তু, বর্তমানে তা লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছে গিয়ে পৌঁছেছে।  ...

গাজা সিটি, ১৪ নভেম্বর (এপি): টানা বহু মাস ধরে গাজার ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি বাহিনী এবং ইজরায়েল সেনাবাহিনীর লাগাতার গোলাগুলির লড়াইয়ের পর অবশেষে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: ঘোষণাই সার, বেআইনি টোটো বন্ধ হয়নি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। এনিয়ে একদিনের জন্যও কোনও অভিযান চালাতে দেখা যায়নি আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরকে। ফলে টোটোযন্ত্রণা নিয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.২৯ টাকা ৭৩.০০ টাকা
পাউন্ড ৯১.০০ টাকা ৯৪.৩২ টাকা
ইউরো ৭৭.৯২ টাকা ৮০.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৮৭৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৪৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৫,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৫,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ কার্তিক ১৪২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩৪/৪৩ রাত্রি ৭/৪৬। মৃগশিরা ৪৩/১৮ রাত্রি ১১/১২। সূ উ ৫/৫২/৪৬, অ ৪/৪৯/৩০, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৮/৩৭ গতে ১১/২১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে।
২৮ কার্তিক ১৪২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, তৃতীয়া ৩৩/৪৬/২৯ রাত্রি ৭/২৪/৪৫। মৃগশিরা ৪৪/২৬/৪৪ রাত্রি ১১/৪০/৫১, সূ উ ৫/৫৪/৯, অ ৪/৫০/১, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ মধ্যে ও ৭/৩১ গতে ৯/৩৯ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২১ গতে ৪/৫০ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৪/১৯ গতে ৫/৫৫ মধ্যে, বারবেলা ৮/৩৮/৭ গতে ১০/০/৬ মধ্যে, কালবেলা ১০/০/৬ গতে ১১/২২/৫ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৬/৩ গতে ৯/৪৪/৪ মধ্যে।
 ১৭ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। বৃষ: বন্ধুবান্ধব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৫৩৩: ইনকা সভ্যতার রাজধানী কুঝকোয় পদার্পণ করলেন ফ্রান্সিসকো পিজারিও১৬৩০: জার্মান ...বিশদ

07:03:20 PM

কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা অমিতাভ বচ্চনের 

05:20:00 PM

প্রথম টেস্ট: দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত ৪৯৩/৬ (৩৪৩ রানের লিড) 

05:05:49 PM

মালদহের সুজাপুরে ২০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার 
২০ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার হল মালদহের কালিয়াচক এলাকার সুজাপুরে। ...বিশদ

03:53:52 PM

দ্বিশতরান মায়াঙ্ক আগরওয়ালের, ভারত ৩৬৫/৪

03:51:23 PM