সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
অন্য সময়ে গান্ধীজীর সম্বন্ধে মহাপুরুষ মহারাজ বলিয়াছিলেন, “স্বামীজীর দেশপ্রীতিটা গান্ধীজীকে ভর করেছে। গান্ধীজীর চরিত্র সকলের অনুকরণীয়। দেশে দেশে ঐ রকম লোক জন্মালে তবে শান্তির একটা ব্যবস্থা হবে।”
ঐ বৎসর মাদ্রাজের ভক্তগণের অক্লান্ত পরিশ্রমে শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন একটা বাড়ির নির্মাণকার্য সমাপ্ত হইলে দক্ষিণ ভারতের সাধুভক্তগণের সমবেত আহ্বানে স্বামী ব্রহ্মানন্দ ঐ গৃহের দ্বারোদ্ঘাটন করিবার জন্য ১লা এপ্রিল মাদ্রাজ রওনা হইলেন। মহারাজের বিশেষ ইচ্ছায় মহাপুরুষজীও তাঁহার সঙ্গে গিয়াছিলেন। তাঁহারা পথে ভুবনেশ্বরে ষোল দিন এবং ওয়ালটেয়ারে এক সপ্তাহ কাটাইয়া ২৫শে এপ্রিল মাদ্রাজে পৌঁছিলেন। কে জানে—হয়তো কোন দৈব ইঙ্গিতেই স্বামী ব্রহ্মানন্দ তাঁহার ভাবী উত্তরাধিকারীকে দক্ষিণ ভারতের ভক্তমণ্ডলী ও বিভিন্ন কেন্দ্রের সহিত পরিচিত করিয়া দিবার জন্য এবং শ্রীশ্রীপ্রভুর মহিমা দিকে দিকে কতকটা ঘোষিত হইয়াছে তাহা আরও নিবিড়ভাবে হৃদয়ঙ্গম করাইবার জন্য তাঁহাকে এইবার সঙ্গে আনিয়াছিলেন। শিবানন্দ ইতঃপূর্বে শেষ মাদ্রাজে আসিয়াছিলেন ১৮৯৭ সালে—স্বামীজীকে অভ্যর্থনা করিয়া মঠে লইয়া যাইবার জন্য। এতদিনে যুগাবতারের ঐশী প্রভাব দক্ষিণ ভারতে আরও বিস্তার লাভ করিয়াছে। এখন ঘরে ঘরে শ্রীরামকৃষ্ণ ভগবানরূপে পূজিত হইতেছেন।