সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ
শ্রীশ্রীঠাকুরের সেবা এবং দরিদ্র ও রোগী নারায়ণদিগের সেবার জন্য সত্যই যদি তোমার অন্তর আকৃষ্ট হইয়া থাকে, তাহা হইলে ঐ সকল কথায় ভীত, চিন্তিত বা বিচলিত হইবার কোন কারণ নাই। নির্ভয়ে কাজ করিয়া যাও, দেখিবে যাঁহার কাজ তিনিই উহাকে ও তোমাকে রক্ষা করিয়াছেন, করিতেছেন ও ভবিষ্যতে সর্বদা করিবেন।...আমাদিগের যখন কিছুই ছিল না তখন আমরা বরানগর মঠ কি করিয়া চালাইতাম, তাহা তুমি জান না। কোন দিন চাল নাই, ভিক্ষা করিয়া খাইলাম—এক সন্ধ্যা নূন-ভাত খাইয়া কতদিন গিয়াছে—কতদিন নূনও জোটে নাই, তরকারির কথা দূরে থাক। ঐরূপ দৃঢ় সঙ্কল্প থাকিলে এবং ঈশ্বরলাভ করাকেই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য বলিয়া বুঝিলে তবে ঐরূপ করিতে পারিবে। নতুবা এই দুই দিনের নশ্বর জীবনে ‘চোর’ বদ্নাম লইয়া যাইতে হইবে—ঈশ্বরলাভ ও শান্তি পাওয়া তো দূরের কথা। তোমাকে আমি বাস্তবিক স্নেহের চক্ষে দেখি এবং তোমাতে বাস্তবিকই অনেক সদ্গুণ আছে, তজ্জন্যই তোমাকে এত কথা লিখিতেছি। বিষয়ের এমনি মোহ যে, বুদ্ধিমান ব্যক্তিকেও মোহিত করিয়া ফেলে। দেখিও যেন তোমার ঐরূপ না হয়। তোমার ঐরূপ হইলে আমার মনে বিশেষ কষ্ট হইবে জানিবে। যদি বুঝ বিষয় দিনদিন তোমায় জড়াইয়া ফেলিতেছে, তাহা হইলে আশ্রমের কাজ হইতে সরিয়া দাঁড়াও। যে কার্য ঈশ্বরলাভের পথ রুদ্ধ করে ও দিনদিন অশান্তি বৃদ্ধি করে তাহা অকার্য। তাহাকে ছুঁড়িয়া ফেলিয়া দিবে। তুমি বুদ্ধিমান, তোমাকে অধিক বলা নিষ্প্রয়োজন।...আমি শ্রীশ্রীঠাকুরের নিকট প্রার্থনা করি, তুমি যেন আয়ের অধিক ব্যয় করিয়া, ঠাকুর-সেবার নিমিত্ত সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া বদ্নামের ভাগী না হও। যে কাজ ফাঁদা হইয়াছে তাহা উঠাইয়া দেওয়া কোনকালে আমার ভাল লাগে না। কিন্তু স্কুলে যদি ছাত্র না জোটে এবং সেবাশ্রমে রোগীর অভাব হয়, তাহা হইলে সে কার্য রাখিবার আবশ্যকতা নাই—আমি ঐভাবে তোমাদিগকে স্কুলের জায়গাটি ছাড়িয়া দিতে বলিয়াছিলাম। যদি দেখ বিদ্যালয়ে ছাত্রসংখ্যা বৃদ্ধি হইতেছে এবং সেবাশ্রমে রোগী আসিয়া উপকৃত হইতেছে, তাহা হইলে কার্য বন্ধ করিবে কেন?