হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
পুণ্যশাস্ত্রের সূত্রাবলী, জ্ঞানীজনের উক্তিসমূহ কণ্ঠস্থ ক’রে থাকলেও, ভগবানের প্রসাদ ও কৃপা-ই তুমি যদি না অর্জন কর—তবে সবই তো নিষ্ফল। সবই অসার—ভগবৎভক্তি ব্যতীত; সবই অনর্থক—ঐশ সেবা ব্যতিরেকে। সংসার তুচ্ছ জেনে স্বর্গরাজ্য—অভিযানই চূড়ান্ত প্রজ্ঞা-নিদর্শন।
ক্ষয়শীল ঐশ্চর্যের সন্ধান, অল্পায়ু সম্পদে আস্থা—মহা মূর্খতার পরিচয়। সংসারসুলভ সম্মানের অন্বেষণ, উচ্চপদের লিপ্সা—মহা মূর্খতার পরিচয়। ইন্দ্রিয়লালসার চরিতার্থতা, দণ্ডনীয় সমস্ত বাসনা—মহা মূর্খতার পরিচয়। সৎজীবনযাপনে যত্নবান না হয়ে দীর্ঘায়ুর আকাঙ্ক্ষা—মহা মূর্খতার পরিচয়। পরলোকের কথা ভুলে ইহলোকেই মনোনিবেশ—মহা মূর্খতার পরিচয়। ক্ষণস্থায়ীর মোহে চিরানন্দের অভিযানে পরাঙ্মুখতা—মহামূর্খতার পরিচয়। ‘‘দর্শনে চোখ লাভ করে না তৃপ্তি, শ্রবণে কান লাভ করে না তুষ্টি’’—প্রবাদটা তুমি সর্বদাই মনে রাখবে। এমনি ভাবে দৃশ্য সব-কিছুরই প্রতি অনুরাগ থেকে নিবৃত্ত হয়ে তুমি অদৃশ্য সত্তার অনুধাবন করবে। যারা ইন্দ্রিয়পরবশ, আপন বিবেক কলুষিত ক’রে তারা ঐশ প্রসাদে বঞ্চিত হয়।
বিনয়
মানুষমাত্রই স্বভাবত জ্ঞানান্বেষী; কিন্তু ধর্মভীরুতা-বিচ্যুত জ্ঞানে লাভ আছে কী? আত্মাভিমানভরে আকাশমণ্ডল পর্যবেক্ষণে নিরত হয়ে আপন পরিত্রাণ বিষয়ে যে-জ্ঞানী অনবহিত, ধর্মভীরু ঈশ্বরসেবক গ্রামবাসী মানুষ তার চেয়ে অনেক ভালো। আত্মজ্ঞানের প্রকৃত ফল: আপন অযোগ্যতার উপলব্ধি, স্তুতিবাদের প্রতি বিতৃষ্ণা।
ভগবৎপ্রেম-বিরহিত জ্ঞান ব্রহ্মাণ্ডব্যাপী হলেও, ভগবানের দৃষ্টিতে তা মূল্যহীন: জ্ঞানের নয়, কর্মের ভিত্তিতেই তিনি আমাদের বিচার করেন।
ফাদার দ্যতিয়েন অনুবাদিত ‘খ্রীষ্টানুকরণ’ থেকে