সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
কেউ কেউ মনে করেন যে ভগবদনুসন্ধানের জন্য সাধককে অপরের দুঃখ-কষ্টে উদাসীন হতে হবে; কিন্তু একথা সত্য নয়। আমাদের প্রেমভক্তি যতই ভগবানের প্রতি প্রবাহিত হবে ততই অপরের দুঃখকষ্ট আমাদের প্রাণে বাজবে এবং তাদের সাহায্যে আমরা উন্মুখ হব। আমাদের অনুভব হবে যে একই আত্মা যেমন আমাদের মধ্যে তেমনি অপরেরও মধ্যে। আমাদের সুখ যেন অপরের দুঃখের কারণ না হয়। আমরা যেন কখনও অপরের মর্মবেদনার হেতু না হই। মহারাজ বলতেন: ‘‘ সাধনভজন কর, ধ্যানজপ কর। তখন দেখবে সকলের প্রতি সহানুভূতিতে তোমার হৃদয় প্রসারিত হচ্ছে।’’
এই শ্রেয়ের স্বার উন্মুক্ত করে প্রবেশ কর। কারণ ধ্বংসের পথ বিস্তৃত, স্বারও প্রশস্ত এবং অধিকাংশ লোক এই ভয়ংকর পথের পথিক।
আর শ্রেয়ের পথ অপ্রশস্ত, স্বারও সংকীর্ণ। এ পথ শেষ হয়েছে অমরত্বে। খুব কম লোকই এ পথের সন্ধান পায়।
যীশু আমাদের সাবধান করে বলছেন যে ভগবানলাভ খুব সহজ নয়। দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে মানুষ পবিত্রতা অর্জন করে। কঠ উপনিষদে রয়েছে: ‘‘মেধাবিগণ বলেন যে, ক্ষুরের তীক্ষ্ণীকৃত অগ্রভাগ অতিক্রম করা যেমন বিপদসঙ্কুল তেমনি এ পথ ভয়ংকর দুর্গম।’’ ঐ উপনিষদে আরও বলা হয়েছে, ‘‘ভগবান ইন্দ্রিয়সমূহকে বহির্মুখী করে সৃষ্টি করেছেন। তাই মানুষ বহির্বিষয় দর্শন করে। কোনও বিবেকী অমৃতত্বের অভিলাষী হয়ে ইন্দ্রিয়সমূহকে সংযত করে অন্তরাত্মাকে দর্শন করেন।’’ মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে প্রশস্ত ইন্দ্রিয়ের দরজা দিয়ে বেরিয়ে জগতের ভোগসুখে মগ্ন হওয়া। আর আধ্যাত্মিক সাধনার কর্তব্য হচ্ছে জীবনের সমস্ত গতিকে বিপরীতমুখী করে শ্রেয়ের দ্বার দিয়ে অন্তর্জগতে প্রবাহিত করান।
‘শ্রেয়ের দ্বার’-এর অর্থ যোগশাস্ত্রের কুণ্ডলিনী জাগরণের মাধ্যমে সুন্দরভাবে বোঝা যেতে পারে। ভারতীয় যোগীদের মতে মানুষের মেরুদণ্ডের ভিতর দিয়ে তিনটি নাড়ী-পথ রয়েছে; এদের নাম ইড়া, পিঙ্গলা, সুষুম্নার।