সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
স্বামীজী বলেছেন, মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা ‘misnomer’ এখানে স্বাধীন ইচ্ছা—এটা একটা বাজে কথা। I am free in His freedom. তাঁর স্বাধীনতায় আমিও স্বাধীন। এ বোঝা ভারি কঠিন। তোরা ছেলে মানুষ বুঝবি না। স্বাধীন ইচ্ছা একটাই। সেখানে স্বাধীন এখানে নয়। এখানে স্বাধীন ইচ্ছা একটা বাজে কথা। ঠাকুর যেখানে বলছেন, আমি যন্ত্র তুমি যন্ত্রী, যেমন চালাও তেমনি চলি। সাধারণ মানুষ এ অবস্থার কথা কল্পনাও করতে পারবে না। অনুভবে যে কি হয়, তা কে বলবে?
ঠাকুর ডাঃ মহেন্দ্র সরকারের অতি সাধারণ কথাগুলিকেও এমন ভাবে গ্রহণ করলেন, যেন তার ভূমিতে নেমে এসে তাকে কৃপা করলেন। আমাদের খণ্ড দৃষ্টিতে এ সবের কোন দামই দিই না। ঠাকুর তাঁর অখণ্ড দৃষ্টি নিয়ে তার ভূমিতে নেমে গিয়ে তাকে কৃপা করলেন। আর যাকে কৃপা করবেন না, অখণ্ড দৃষ্টিতেই তিনি বুঝতেন এর এখন হবে না।
প্রশ্ন। মায়ের রূপ ভয়ঙ্কর আবার প্রসন্ন কি করে হয়?
মহারাজ। কেন, একদিক দিয়ে তিনিই মানুষকে মুগ্ধ করে রেখেছেন, আরেক দিক দিয়ে তিনিই বন্ধন খুলে দিচ্ছেন। ঠাকুরকেই দেখ না তিনি একজনকে কৃপা করছেন আর যাকে কৃপা করছেন না, তাকে নিষ্ঠুরের মত সরিয়ে দিচ্ছেন।
অদ্বৈত—দুই নয়। Negative way-তে বলা। Reasoning দিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায় না। একমাত্র অনুভবই তাঁর প্রমাণ। বেদ মানেও তাই। অনুভব।
Pessimism-এর কথা সব বলছি বলে মনে করিস না melancholy হয়ে থাকতে হবে, তা নয়। Melancholy ভাব মোটেই ভাল নয়। হাসি আমোদ থাকতে হবে। খালি বুঝতে হবে, গভীর ভাবে চিন্তা করতে হবে। এ জগতে সুখ নেই। সবটা দুঃখেই ভরা।
একটা বিরাট magnet লোহাকে সর্বদাই আকর্ষণ করছে। লোহার উপর মাটি থাকায় আকর্ষণটা লাগছে না। কৃষ্ণ মানেও তাই—আকর্ষণ। আমাদের কেবল মাটিটা সরিয়ে দেওয়া দরকার, আর কিছু না। এই জন্যই সন্ন্যাস গ্রহণ করা, সাধন ভজন করা। আকর্ষণটা খুব জোরেই আসছে। কিন্তু আমাদের কোন টানই লাগছে না। ‘মহম্ভয়ং বজ্রমুদ্যতং’ এই জগতের কারণ সেই পরমব্রহ্ম উদ্যত বজ্রের ন্যায় অতি ভয়ানক। তাঁর আকর্ষণটা অতি জোরে আসছে। আমরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য যেন ছুটছি।