শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
বহু কল্যাণের পথ খুলে দেয় অনুতাপ; অথচ সামান্য অসংযমে তাকে তাড়াতাড়িই হারানো যায়।
স্বর্গ থেকে নিজের নির্বাসনের কথা ভেবে, আত্মার অজস্র বিপদের কথা বিবেচনা ক’রেও মানুষ যে ইহজীবনে কোনো সময় আনন্দ করতে পারে—তা কিন্তু বড়ই আশ্চর্যের ব্যাপার।
হৃদয়ের চপলতার আর নিজেদের দোষত্রুটি সংশোধনের অবহেলার জন্যে আমরা আমাদের প্রকৃত দুঃখ বুঝতে পারি না; যেখানে প্রকৃতপক্ষে ক্রন্দনের কারণ যথেষ্ট আছে সেখানে আমরা প্রায়ই অর্থহীন আমোদে হেসে উঠি। একমাত্র শুদ্ধ বিবেক আর ভগবৎভীতিই প্রকৃত স্বাধীনতা, এবং সত্যিকার আনন্দের ভিত্তি।
ধন্য সে-ই যে অন্তরের অনুশোচনার নিবিড়তায় বিপদগমনের সকল আকর্ষণের বাধাবিঘ্ন হেলায় চূর্ণ ক’রে নিজেকে সংহত করতে পারে।
বিবেক-কে যা-কিছু মলিন কিংবা ভারাক্রান্ত করে তা থেকে নিজেকে যে ছিন্ন করতে পারে, সে ধন্য। বীরপুরুষের মতো সংগ্রাম কর: অভ্যাস অভ্যাসের দ্বারাই পরাজিত হয়। নিজের নিজের পছন্দ মতো অন্যদের চলতে দাও, তারাও তোমার কর্মে বিঘ্ন উৎপাদন করবে না।
অপরের বিষয় নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত ক’রো না, জড়িত হ’য়ো না গুরুজনের ব্যাপারে। নিজের ওপরেই নজর রাখ; নিজেকেই উপদেশ দাও, বন্ধুবান্ধবকে নয়। লোকজনের অনুগ্রহ লাভ করতে না পারলে, তার জন্যে ব্যথা পেয়ো না; বরং তোমার আচরণ যে প্রকৃত ঈশ্বর-সেবক বা আদর্শ সন্ন্যাসীর মতো হচ্ছে না, এই জেনে উৎকুণ্ঠিত হও। এই জীবনে অনেক সুখ ও লৌকিক সান্ত্বনা লাভ না করাই মানুষের পক্ষে বেশি কল্যাণকর ও নিরাপদ।
ঐশ সান্ত্বনা যদি লাভ করতে না পারি, অথবা কদাচিৎ তার আস্বাদ পাই, তবে বুঝতে হবে তার জন্যে হয়ত আমরাই দোষী; তার কারণ আমরা আন্তর অনুশোচনার অন্বেষণ করি না, পরিপূর্ণভাবে ত্যাগ করি না অসার ও বাহ্য ভোগতৃপ্তির মোহ।
ফাদার দ্যতিয়েনের অনুবাদিত ‘খ্রীষ্টানুকরণ’ থেকে