শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
কালনা-বৈচি রোড দিয়ে সহজে যাওয়া যায় দুর্গাপুর হাইওয়ে, জিটি রোড সহ আসাম রোড। এই রোডের কালনা ও হুগলি সীমান্ত এলাকায় রয়েছে ডিভিসি ক্যানেল। এই ক্যানেলের উপর রয়েছে একটি প্রাচীন সংযোগকারী লকগেট সেতু। এর উপর দিয়ে যাতায়াত করে কয়েকটি রুটের বাস। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত সেতুটির নীচের পিলারে ফাটল ধরে বিপদজনক হয়ে পড়ায় বছর দুয়েক ধরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুটির উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রাস্তার উপর লোহার পিলার বসানো হয়। ফলে, ভারী যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। বাস চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় কাটা রুটে পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রেখে বাস মালিকরা বাস পরিষেবা চালিয়ে আসছেন। যাঁরা কালনা থেকে বৈচিতে বাসে যান তাঁদের সেতুর কালনার দিকের অংশে নেমে গিয়ে হেঁটে সেতু পার হয়ে অপর প্রান্তে গিয়ে ফের বাস বা অন্য যানে চড়তে হয়। এর ফলে একদিকে যেমন যাতায়াতে সময় বেশি লাগছে, তেমনি অতিরিক্ত খরচ ও হয়রানির শিকারও হচ্ছেন যাত্রীরা। উভয়দিকের বাসিন্দাদের বক্তব্য, সেচদপ্তর, পূর্ত ও সড়ক দপ্তরের টানাপোড়েনে সেতু সংস্কার হচ্ছে না। আত্মশাসনে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ফের বাস চলাচল শুরু হতে পারে এই আশায় বাস মালিকরা চান সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা হোক। বর্ধমান জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, দীর্ঘ দিনের এই সমস্যার জন্য আমরা বারবার হুগলি ও বর্ধমান প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। এমনকী নবান্নে গিয়েও সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু, কোনও সমাধান সুত্র দেখতে পাচ্ছি না। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ইরিগেশন দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভোট ও করোনা পরিস্থিতির কারণে সমস্যা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আশা করি সমস্যা মিটে যাবে।