উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুরে ওই শিশুটিকে চাষের জমির পাম্প মেশিনের জলে তার বছর পঁয়তাল্লিশের কাকা ইছার স্নান করতে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত শিশুটিকে সাইকেলে বসিয়ে চাষের জমি অনেকটা ভেতরের দিকে ফাঁকা একটি জায়গায় ওই শিশুটিকে নিয়ে যায়। সেখানেই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর কাকাই তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। ঘটনায় মারত্মকভাবে জখম হয় শিশুটি। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রানাঘাট থেকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতলে স্থানান্তরিত করা হয়।
নিগৃহীতার বাবা পেশায় একজন দিনমজুর। বর্তমানে তিনি তাঁর পঞ্চম স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ওই গ্রামেই থাকেন। শিশুটির বাবার সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তার কাকা রানাঘাটে থাকত। সম্প্রতি শিশুটির বাবা ও কাকার মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। কয়েকদিনের জন্য কাকা ধানতলায় বেড়াতে এসেছিল। শিশুটির মা বলেন, বর্তমানে মেয়ের শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। তবে মাত্র পাঁচ বছরের মেয়ের উপর যেভাবে পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে তাতে মেয়ের জীবন সংশয়ের বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। ওর যৌনাঙ্গে সাতটি সেলাই পড়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন চাঁদপুর এলাকা থেকেই থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর গত সোমবার তাকে আদালতে তোলা হয়। বিষয়টি নিয়ে রানাঘাট মহকুমা আদালতের আইনজীবী রাজশ্রী বেহুরা বলেন, নির্যাতিতা শিশুটির গোপন জবানবন্দি নেবে আদালত। আগামী ২৭ তারিখ পর্যন্ত অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।