শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
তবে, এই ঘোষণা কর্মীদের মধ্যে ততটা অক্সিজেন জোগাতে পারেনি বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে। আসানসোলের এক নেতা বলেন, প্রার্থী বদল না হলে তৃণমূলের সুবিধা হবে। তারা আমাদের দেওয়া গতবারের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে ভোটের ময়দানে নামবে। অনেক ইস্যুতেই মানুষকে জবাব দেওয়া যাবে না। অন্য কেউ হেভিওয়েট প্রার্থী হলে দলের পক্ষে ভালো হতো।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি জয়ী হওয়ার পিছনে তাদের নেতাদের একাধিক প্রতিশ্রুতি কাজ করেছিল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তাদের মতে, ভোট প্রচারে এসে বিজেপি নেতারা রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্থান কেবলসে উৎপাদন চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এমনকী বাবুল সুপ্রিয়র কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে এখানকার কর্মীরা মিষ্টিমুখ করে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন। কিন্তু বিজেপি জয়ী হওয়ার পরে ওই কারখানায় উৎপাদন চালু তো হয়নি, উল্টে কারখানাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে বার্নপুরের বার্নস্ট্যান্ডার্ডও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিজেপির প্রতিনিধি জয়ী হয়ে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেটাও সব জায়গায় বাস্তবায়িত হয়নি। তৃণমূল এসব ইস্যুগুলিকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন দাসু বলেন, ওরা যাকেই প্রার্থী করুক না কেন, আমরা জিতবই। বিজেপি ক্ষমতায় এসে অনেক বড় বড় কথা বলেছিল। কিন্তু কোনও কথা রাখেনি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শিল্পাঞ্চলে গেরুয়া শিবিরের একটা অংশ দীর্ঘদিন ধরে এই কেন্দ্রে নতুন মুখ আনার পক্ষে সওয়াল করছিলেন। শিল্পাঞ্চলের ওই নেতারা এখনও হাল ছাড়তে নারাজ। তাঁরা এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আসানসোলে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। বেশ কয়েকজন নেতা নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। তাঁরা এবার প্রার্থী বদলের আশা করেছিলেন।
বাবুলবাবু অবশ্য বলেন, ২৮ফেব্রুয়ারি পরিবার নিয়ে আমি আসানসোল আসছি। সম্প্রতি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া এক নেতা বলেন, ঘাগুরবুড়ি মন্দিরে বাবুল সুপ্রিয়র জয়ের কামনা করে পুজোও দিয়েছি।