বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
উল্লেখ্য, সংসদীয় যত কমিটি রয়েছে, তার মধ্যে পিএসি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটি বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। কারণ সরকারের যাবতীয় রাজস্ব, খরচ সম্পর্কীত বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে সরকারকে পরামর্শ দেয় এই কমিটি। দেশের যাবতীয় অর্থনৈতিক সংস্থাকেও এই কমিটি চাইলে যেকোনও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকতে পারে। সাধারণত বিরোধী দলের পক্ষ থেকেই পিএসি’র চেয়ারম্যান করা হয়। কংগ্রেসের পক্ষে গতবার ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। গতবার তিনি লোকসভায় কংগ্রেসের নেতাও ছিলেন।
খাড়গে এবার কর্ণাটক থেকে নির্বাচনে দাঁড়ালেও হেরে গিয়েছেন। তবে রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে দলে যে টানাপোড়েন চলছে, তা সামাল দিতে আপাতত মল্লিকার্জুন খাড়গেকেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে এআইসিসি সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, শীঘ্রই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। এবং সেখানেই অন্তবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে খাড়গেকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। যতদিন না নতুন সভাপতির নির্বাচন হয়, ততদিন প্রাক্তন এই রেলমন্ত্রী কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। পাশাপাশি দু’জনকে কার্যকরী সভাপতি করা হতে পারে। কংগ্রেসের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণের কমিটি সিডব্লুসি এ ব্যাপারে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্যদিকে, মোদিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। সব মিলিয়ে সারা দেশে ৪২১টি আসনে লড়ে জিতেছে মাত্র ৫২টি। দু’টি আসন কম থাকায় লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদও পায়নি। তবে তার জন্য হতাশ না হয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে আগের চেয়ে আরও আক্রমণাত্বক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। কেরলের ওয়ানাড় থেকে জিতে সংসদে এলেও এতদিনের আমেথিতে হেরে যাওয়ায় হতাশ রাহুল গান্ধী। সংসদে তিনি ম্রিয়মান। তাই সক্রিয় হয়েছেন খোদ সোনিয়া গান্ধী।
কংগ্রেসের ‘ওয়াররুম’ নামে পরিচিত ১৫ গুরদোয়ারা রকাবগঞ্জ রোডের বাংলোয় নবনির্বাচিত এমপিদের ডেকে ভোকাল টনিক দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী। বলেছেন, সংখ্যা যতই কম হোক, সরকারের সমালোচনার স্বর যেন দুর্বল না হয়। আগের চেয়ে আরও বেশি আক্রমণাত্বক হতে হবে। প্রতিদিন সংসদে সরকারকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে হবে। যাতে মানুষ ফের কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়ায়। সেই মতো আজ কর্ণাটক ইস্যুতে তেড়েফুঁড়ে নামে কংগ্রেস। ওয়েলে নেমে স্লোগান সহ বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস, ডিএমকে, এনসিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং আরএসপি। নিজের আসনে বসে স্লোগানে গলা মেলান রাহুল গান্ধীও।
স্পিকার ওম বিড়লা ওয়েলে নেমে স্লোগান দেওয়ার জন্য বিরোধী এমপিদের সতর্কও করেন। বলেন, শেষবারের মতো বলছি। এই আচরণ চলতে থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেব। যদিও তাতেও থেমে থাকেনি বিরোধীরা। কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের টালামাটাল অবস্থার জন্য মোদি অমিত শাহর দলকে চোরাশিকারি বলে আক্রমণ করেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। প্রতিবাদে লোকসভা থেকে ‘ওয়াকআউট’ও করে পাঁচ বিরোধী দল।