বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। ১৯৯৩ সালে ভারতের মুম্বইতে সিরিজ বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত এই জঙ্গি কোথায়, কী করছেন তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক কৌতুহল। এবার সেই দাউদের বর্তমান অবস্থান নিয়েই উঠে আসছে একাধিক তথ্য। দাউদের মতো অপরাধীকে দিনের পর দিন নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। যদিও দাউদ সম্পর্কে পাকিস্তানের দাবি, তারা জানেন না এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন কোথায় রয়েছে। এদিকে,এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, গোয়েন্দাদের সাম্প্রতিক সূত্রের দাবি, পাকিস্তনে বহাল তবিয়তেই এখন রয়েছে দাউদ। তার নতুন ও এক্সক্লুসিভ ছবি প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, গোয়েন্দা বিষয়ক এজেন্সিগুলো এসব ছবি পেয়েছে। তিনি যখন তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগী জাবির মোতিওয়ালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন, তখনই এসব ছবি তোলা হয়েছে। ডি-কোম্পানি হিসেবে পরিচিত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের প্রধানদের অন্যতম জাবির মোতিওয়ালা। ওই ছবিতে ক্লিন সেভ করা দাউদ ইব্রাহিমকে দেখা যায় মোতিওয়ালার সঙ্গে আলাপরত অবস্থায়।
দাউদ ইব্রাহিম গত ২৫ বছর আত্মগোপনে। একসময়ে বলা হয়, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। হাঁটুতে মারাত্মক আঘাতে ভুগছেন তিনি। কিন্তু নতুন ছবিতে তাকে বেশ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী দেখা যায়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, দাউদ ইব্রাহিম এখন থাকে করাচিতে একটি বাড়িতে। তার পাশেই কোনও একটি বাড়িতে বাস করে মোতিওয়ালা। দাউদের ইব্রাহিমের পরিবার অর্থাৎ স্ত্রী মেহজাবিন ও ছেলে মঈন নওয়াজের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে মোতিওয়ালা।
জাবির মোতিওয়ালাকে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই অর্থ পাচার, তোলাবাজি ও হেরোইনের মতো অবৈধ বস্তু আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। এরপর থেকে মার্কিন সরকারের অনুরোধে ব্রিটেনের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট গ্রেপ্তার করে তাকে। তাকে আমেরিকার হাতে তুলে দিতে বৃটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এফবিআই, যাতে তার বিচার করা যায়। এফবিআইয়ের মতে, পাকিস্তানে দাউদ ইব্রাহিমের উপস্থিতির বিষয় প্রায় ফাঁস করে দিয়েছে মোতিওয়ালা। এফবিআই দাবি করেছে, দাউদের সব থেকে কাছের লোক জাবির। দাউদ ও তার নেটওয়ার্ক-এর যাবতীয় তথ্য রয়েছে জাবিরের কাছে। ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্সির দাবি, ডি নেটওয়ার্ক-এর সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-এর গোপন আঁতাত রয়েছে। আফবিআই-এর তদন্তে উঠে এসেছে আর এক তথ্য। জাবিরের কাছে ব্রিটেনের দশ বছরের ভিসা রয়েছে। সেই ভিসার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৮-এ। তবে গত কয়েক মাস ধরে জাবির অ্যান্টিগুয়া ও বারমুডার নাগরিকত্ব নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। যার জন্য দুবাইয়ের এক এজেন্সিকে ২ লাখ মার্কিন ডলার দিয়ে রেখেছিল জাবির। জানা গিয়েছে,জাবিরকে বাঁচাতে লন্ডনের পাকিস্তানি হাই কমিশন আসরে নেমেছে।
পাকিস্তানি হাই কমিশন ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার কোর্টের বিচারকের কাছে চিঠি লিখেছে। তাতে বলা হয়েছে, মোতিওয়ালা একজন সম্মানিত ব্যবসায়ী। ডি-কোম্পানির সঙ্গে তার কোনও যোগসূত্র নেই। ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে, মোতিওয়ালাকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে পাকিস্তান ভয় পাচ্ছে এ জন্য যে, তাতে দাউদ ইব্রাহিম কোথায় আছেন তা প্রকাশ হয়ে পড়বে বিশ্ববাসীর সামনে। এফবিআইয়ের মতে, আমেরিকায় মোতিওয়ালা শুধু মাদক পাচার করেন এমন নয়। একই সঙ্গে তিনি কালো টাকাকে সাদা করার সঙ্গেও যুক্ত। তাকে ফাঁদে ফেলার জন্য এফবিআই তার সঙ্গে হেরোইন ব্যবসার একটি চুক্তি করে। তা ছাড়া অর্থ পাচার বিষয়েও তার কাছ থেকে তথ্য চেয়েছে এফবিআই। আদালতে মার্কিন সরকারের এক আইনজীবী বলেছেন, মোতিওয়ালা বহুবার পাকিস্তানে গিয়েছে এবং সাক্ষাৎ করেছে দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে। এমন খবরে ডি-কোম্পানির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এফবিআইয়ের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার জন্য যোগাযোগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় এজেন্সিগুলো।