মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ... বিশদ
এদিন ছিল নেতাজির ১২৮ তম জন্মবার্ষিকী। মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্যদের মতো বারলাও এদিন সরকারি মঞ্চে সুভাষচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে মালা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। যদিও নমস্কার বিনিময় ছাড়া এদিন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনওরকম কথা হয়নি বলে খোদ বারলাই জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মমতার সঙ্গে সরকারি মঞ্চে একসঙ্গে হাজির থাকার পর বারলার তৃণমূলে যোগদান এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। শাসকদল সূত্রেও এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে এদিন বিজেপির এই বিদ্রোহী নেতাও একই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তৃণমূলে কবে যোগ দিচ্ছেন, প্রশ্নের উত্তরে মঞ্চে ওঠার আগে বিজেপির প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন,‘এটা সরকারি অনুষ্ঠান। সময় আছে। এই প্রশ্নের উত্তর সময় বলবে। ধৈর্য ধরুন। এখানে এয়ারপোর্ট আছে। বিমানবন্দরের জমির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক টেবিলে বসে কথা বলতে হবে।’
জেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে প্রাক্তন মন্ত্রী ফের আরও একবার তাঁর দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বারলা বলেন, ডুয়ার্সে বিজেপি শেষ। বিজেপিতে লোক নেই। ডুয়ার্সের আদিবাসী চা শ্রমিকরা এতদিনেও কোনও কেন্দ্রীয় প্যাকেজ পেলেন না। শ্রমিকরা পেলেন না কেন্দ্রের কোন স্কিমও। আমি আলিপুরদুয়ারের জন্য অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমার দলের লোকেরাই আমাকে কাজ করতে দিল না। দলের লোকেরা আমাকে আটকে দিল। এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ ছিল। দিল্লির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বরাদ্দও বন্ধ করে দিয়েছে। তাই গরিব মানুষ কাজের খোঁজে এখন ডুয়ার্স থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। বারলা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি এমপি মনোজ টিগ্গা বলেন, তৃণমূলই তো তাঁর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ওঁর জমি, বাড়ি, রিসর্ট নিয়ে একসময় চেঁচিয়েছিল। এখন ওরা চুপ কেন, প্রশ্ন মনোজের। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর শাসকদলে যোগদানের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বলেছেন, অনেকেই বিজেপিতে এসেছেন, তাতে দলের খুব একটা লাভ হয়েছে, এমনটা নয়। আবার চলে গিয়ে যে ক্ষতি হয়েছে তাও নয়। রাজনীতিতে এরকম চলতেই থাকে। কে থাকল, কে চলে গেল, পার্টির তাতে কিছু যায় আসে না। পার্টি নিজের জোরে দাঁড়িয়ে রয়েছে, থাকবেও। - নিজস্ব চিত্র