মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল সাতসকালে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানা এলাকায় ওই গোল্ড লোন সংস্থায় হানা দেয় চারজনের একটি ডাকাত দল। সংস্থার কর্মীদের বন্দুকের ডগায় রেখে প্রায় এক কোটি ৮০ লক্ষ টাকার সোনাদানা এবং বেশকিছু টাকা নগদ নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুর্বৃত্তরা। তাতে এলাকায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। তদন্তে নামে খড়দহ থানার পুলিস। বেশকিছু দিন পরে জানা যায়, ডাকাতির পিছনে রয়েছে ‘বিহার গ্যাং’। ওই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে, সেসময়ই, নাম উঠে আসে কুখ্যাত সুবোধের। বিহার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
কিছুদিন পর বিহারের মগধ ও শেরঘাঁটি থানা থেকে বিপুল পরিমাণ সোনাদানা সহ চার দুষ্কৃতীর গ্রেপ্তারের খবর আসে। বিহার পুলিসের সিজার লিস্টে ১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা মূল্যের সাড়ে পাঁচ কেজি সোনার উদ্ধারের তথ্য নথিভুক্ত হয়।
কিন্তু ঘটনাটি যেহেতু খড়দহ থানার, বারাকপুর নিম্ন আদালত বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটকে পুনরায় সিজার লিস্ট প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়। এরপর নিম্ন আদালতে মামলা চলছিল। অভিযোগ, কিছুদিন পর বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের তরফে যে চার্জশিট পেশ করা হয় তাতে দেখা যায় কোনও সোনা উদ্ধারের তথ্য উল্লেখ নেই। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে উদ্ধার হওয়ার পর ওই বিপুল পরিমাণ সোনা কোথায় উধাও হয়ে গেল! বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে কোনও উত্তর না মেলায় শেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই গোল্ড লোন প্রদানকারী সংস্থাটি।
শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলাটি উঠলে বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়, বিহারের ওই দুই থানা থেকে কোনও সোনা উদ্ধারের তথ্য পাওয়া যায়নি। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, বিহারের ওই দুই থানা যে সিজার লিস্ট পেশ করেছে, তাতে সাড়ে পাঁচ কেজি সোনা উদ্ধারের নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। তারপর কী করে ওই সোনা উধাও হয়ে গেল! এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের নির্দেশমতো পুনরায় সিজার লিস্ট আদৌ তৈরি হয়েছে কি না, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।