নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পরবর্তী দফার ভোটে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম স্থির করতে গত মঙ্গলবার থেকে দফায় দফায় বৈঠক সারেন বিজেপি নেতারা। মূলত তৃতীয় ও চতুর্থ দফার প্রার্থীদের নাম স্থির করতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পাশাপাশি পরবর্তী আরও চারটি দফায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেখানে জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পর্যবেক্ষক এবং এমপিদের ডাকা হয়েছিল। তিনটি করে নাম চাওয়া হয়েছিল সেখানে। দলীয় সূত্রের খবর, অনেক জেলাই এই বৈঠকে সঠিকভাবে নাম নিয়ে আসেনি, যা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ । প্রসঙ্গত, প্রথম দু’দফার ভোটের জন্য বিজেপি যে ৫৯ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বিশেষ চমক নেই। চমক বলতে একমাত্র খড়্গপুর (সদর) থেকে অভিনেতা হিরণকে প্রার্থী করা। কারণ ওই কেন্দ্রে ফের দিলীপ ঘোষকেই প্রার্থী করতে চেয়েছিল জেলা পার্টি, যা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দীর্ঘ আলোচনা করে দিলীপ ঘোষকে বিধানসভায় না লড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত আদি কিংবা পুরনো দলীয় নেতা-কর্মীদের উপরই বেশি আস্থা রাখছে গেরুয়া পার্টি। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) ঘনিষ্ঠদের নামও রয়েছে টিকিট প্রাপকদের দলে। এদিকে, টালিগঞ্জে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জেলা নেতৃত্ব মিঠুন চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু মহাগুরু প্রার্থী হতে রাজি হননি। তিনি রাজ্যজুড়ে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে চেয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম, যিনি দিল্লিতে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা। আরএসএস এবং অমিত শাহের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তিনি। 
এদিকে, যাদবপুর কেন্দ্রে গেরুয়া পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে দেবজিৎ সরকারের নাম। তিনি গত লোকসভা ভোটে শ্রীরামপুর কেন্দ্রে থেকে পদ্ম প্রতীকে লড়েছিলেন। বিজেপি সূত্রের  দাবি, শুক্রবারই সম্ভাব্য এই নামের তালিকা নিয়ে দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন শীর্ষ বিজেপি নেতারা। সেখানে জাতীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত তালিকা পেশ করা হবে। মোদি-শাহের অনুমোদনের পর শনিবার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা 
হতে পারে।