উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। গত ডিসেম্বর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা বা মিছিল শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটছে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনাও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা রাজনৈতিক গোলমাল ঠেকাতেই পুলিসকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে। যে কারণে ‘ক্রাইম প্রিভেনশন’ শিকেয় উঠেছে। পুলিস কর্মীর অপ্রতুলতার কারণে রাতে টহল বন্ধ অধিকাংশ জেলায়। রাজ্য পুলিসের হিসেব বলছে, দুই ২৪ পরগনা, নদীয়া, বীরভূম, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের মতো জেলায় অপরাধ বেড়েছে। রাতে পথে পুলিস না থাকার সুযোগ নিয়ে পণ্যবাহী লরি, সাধারণ গাড়ি বা বাইক আরোহীকে থামিয়ে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা এবং মূল্যবান সামগ্রী। গাড়ি নিয়ে রাস্তার একধারে দাঁড়িয়ে থাকছে অপরাধীরা। গাছের গুঁড়ি বা কোনও কিছু দিয়ে পথ আটকানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অপরাধীরা আবার পিছু ধাওয়া করে সামনের গাড়ির পথ আটকে বিভিন্ন সামগ্রী লুট করছে। এমন অভিযোগও আসছে। বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটছে হাইওয়ে বা তার সংযোগকারী রাস্তায়।
গত শতাব্দীর নয়ের দশকে এই ‘রোড রবারি’ চিন্তা বাড়িয়েছিল প্রশাসনের। গভীর রাতে গাড়ি নিয়ে ফেরার সময় রাস্তায় দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়েননি এমন মানুষের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। এরপর আস্তে আস্তে তা কমতে শুরু করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে এই ধরনের অপরাধ কমলেও গত কয়েক বছরে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে। রাজ্য পুলিসের পরিসংখ্যান বলছে, গত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২৩টি ‘রোড রবারি’র ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বাড়িতে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুটের মামলা রুজু হয়েছে তিনটি। এর বাইরে পেট্রল পাম্প, জুয়েলারি দোকান এবং চলন্ত ট্রেন মিলিয়ে মোট পাঁচটি লুটের ঘটনা ঘটেছে। অপরাধের সময় গুলিও ছুঁড়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েনি।
অপরাধীদের নাগাল পাওয়া তো দূর, কারা এই ঘটনাগুলি ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে পারেননি পুলিস অফিসাররা। সাজা খেটে বেরনো এমন অপরাধীর পরিসংখ্যানও ভোটের কারণে রাখতে পারছেন না তাঁরা। তাই কিনারা না-হওয়া অপরাধে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে সিআইডিকে সাহায্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি। পেশাদার এই সংস্থার কাছে অপরাধীদের ডেটাবেস রয়েছে। সেইসঙ্গে তারা শুধু তদন্ত করে থাকে। তাই তাদের পক্ষে সহজে অপরাধীদের গ্যাংকে চিহ্নিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন পুলিসের বড় কর্তারা।