উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এমএলএ হস্টেলে বিধায়কদের জন্য সাধারণ ঘরের ভাড়া মাসে মাত্র এক টাকা। সেই সামান্য টাকা এখন একলপ্তে মিটিয়ে বিধানসভার সচিবালয় থেকে শংসাপত্র সংগ্রহ করছেন তাঁরা। কিন্তু মন্ত্রীদের মধ্যে কয়েকজন পড়েছেন মহা ফ্যাসাদে। তাঁরা এমএলএ হস্টেল চত্বরে বিলাসবহুল গেস্ট হাউসে এসি ঘর বা স্যুইট ভাড়া নিয়ে বসবাস করেছেন। ওই এসি রুম ও স্যুইটের দৈনিক ভাড়া যথাক্রমে ১২০০ এবং ১৫০০ টাকা। সেই হিসেব কষলে বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়াবে কয়েক লক্ষ টাকা। সচিবালয় থেকে এই বকেয়া মেটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের নোটিস পাঠানো হয়েছে।
ভোটের মুখে এই নোটিস পেয়ে চিন্তায় পড়েন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। এঁদের মধ্যে অনেকেই এই বকেয়া যথাসম্ভব মকুব করা বা কিস্তিতে মেটানোর জন্য আবেদন করেন অধ্যক্ষের কাছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ওই মন্ত্রীদের সিংহভাগ বকেয়া মকুবের নির্দেশ দিয়েছেন। একদিনে যে টাকা ভাড়া হয়, সেই টাকাই সারা মাসের ভাড়া হিসেবে নাকি নেওয়া হচ্ছে। এই ফর্মুলায় সর্বোচ্চ ছাড় পাবেন মন্ত্রী-বিধায়করা।
বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার সব মিলিয়ে বকেয়া ছিল ২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে, তাঁকে পরিশোধ করতে হয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। মন্টুরামবাবু বলেন, কাকদ্বীপ থেকে প্রার্থী হয়েছি। ফলে বিধায়ক আবাসনে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। টাকার অঙ্কে কিছুটা যাতে ছাড় মেলে, তার জন্য অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁর বক্তব্য, কিছু টাকা বকেয়া ছিল, তা পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিরাম মাহাত, গোলাম রব্বানি, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, অসীমা পাত্ররাও বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন।
অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তকে দু’হাত তুলে স্বাগত জানিয়েছেন মন্ত্রী-বিধায়করা। এবিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, সমস্যার কথা বিবেচনা করে সাময়িকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এটা মোটেও স্থায়ী সিদ্ধান্ত নয়। তাই এই নয়া রেট আগামী দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে না।