ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
ছটপুজোকে কেন্দ্র রবীন্দ্র সরোবর বা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুণ্যার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে তাণ্ডবলীলার অভিযোগ উঠেছে। পুলিস কার্যত পুতুল হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে এই তাণ্ডবকে প্রশ্রয় দিয়েছে বলেও পরিবেশকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। রাজনীতির জাঁতাকলে পড়েই পুলিস নিষ্ক্রিয় থেকেছে বলে সব মহলেরই দাবি। দেদার শব্দবাজি ফাটানো থেকে ডিজে এবং সাউন্ড বক্সের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে গেরুয়া ও তৃণমূল শিবির, দু’পক্ষই পুণ্যার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এনজিটি যেখানে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো একেবারে নিষিদ্ধ করেছে, সেখানে পুলিস বা প্রশাসন পুণ্যার্থীদের আটকালো না কেন? উত্তরে ফিরহাদসাহেব স্পষ্ট বললেন, এবার এনজিটি’র নির্দেশের জন্য বিকল্প ১৫টি ঘাটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। লাগাতার লিফলেট বিলি ও অটোতে প্রচার করাও হয়েছিল। যে কারণে অনেক পুণ্যার্থী সেই বিকল্প ঘাটে গিয়েছেন। কিন্তু যাঁরা এসেছেন, তাঁদেরকে তো আমরা লাঠি চার্জ করে বা টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে আটকাতে পারি না। কারও ভাবাবেগ-ধর্মাচরণকে পুলিস দিয়ে আটকানোর বিপক্ষে আমি। পুণ্যার্থীদের আটকানো হলে কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে রাজনীতি করতে নামত। তবে আশা করছি, সচেতনতা প্রচারে বহু মানুষকে যেভাবে বিকল্প জায়গায় পাঠানো গিয়েছে, তেমনই আগামী দিনে সরোবরে আসা মানুষগুলিকেও সেখানে পাঠানো যাবে।
সুভাষবাবু অবশ্য বলেছেন, কোথায় লেখা রয়েছে যে, তাসা-ব্যান্ড পার্টি এবং দেদার বাজি ফাটিয়ে ছটপুজো করতে হবে। এটা অত্যন্ত নিষ্ঠার পুজো। প্রশাসন চুপচাপ ছিল। তাই যা খুশি করে পুজো চলেছে। কেউ বাধা দেওয়ার নেই। ছটপুজোর পর রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবর বা অন্যান্য বিকল্প ঘাটগুলির সাফাই কাজের শ্লথ গতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এদিন সেই সব ঘাট ও দুই সরোবরের সাফাইয়ের চিত্র পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ছবি আকারে সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেন। মাছের মড়ক এবং কচ্ছপের মৃত্যুর বিষয়টিও এদিন তুলে ধরেন মেয়র। তিনি বিষয়টিকে রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বলেন, কেওড়াতলা শ্মশানে তো প্রতিদিন প্রচুর মানুষের শেষকৃত্য হচ্ছে। তাঁরা কি দূষণের জন্য মরছেন? রবীন্দ্র সরোবরে লক্ষ লক্ষ মাছ রয়েছে। যার মধ্যে দু’-তিনটি মারা গেল, আর পরিবেশকর্মীরা ‘গেল গেল’ রব তুলে দিলেন। এত বড় সরোবরে প্রাকৃতিক নিয়মেই মাছ মরতেই পারে। এটা নিয়ে অযথা বিতর্ক হচ্ছে বলেই আমি মনে করি।