ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী বসন্ত হেলা স্কুটার চালাচ্ছিলেন। পিছনে বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী। মানিকতলার দিক থেকে ব্যক্তিগত কাজে তাঁরা কাঁকুড়গাছির দিকে আসছিলেন। সেই সময় বেশ জোরেই স্কুটার চালাচ্ছিলেন বসন্তবাবু। স্কুটারটি ট্রামলাইনের উপর উঠতেই দুটি চাকা পিছলে যায় এবং গাড়িটি একদিকে হেলে পড়ে। ট্রামলাইনের উপরেই পড়ে যায় ওই দম্পতি। স্কুটারের পিছনেই ছিল ৪৪ নম্বর রুটের একটি বেসরকারি বাস। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, হঠাৎ করে স্কুটারটি সামনে পড়ে যাওয়ায়, বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। বাসের চাকা দম্পতির শরীরের উপর উঠে যায়। দু’জনেই মারাত্মকভাবে আঘাত পান। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। দেখা যায়, মহিলার মাথায় মারাত্মক আঘাত রয়েছে। তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে তাঁর শরীর। খবর পেয়ে আসে পুলিস। দম্পতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা রেশমাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় তাঁর স্বামী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এলাকার মানুষজন বাসটিকে ধরে ফেলেন। তাঁরাই চালককে পুলিসের হাতে তুলে দেন। তাঁর বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। চালক পুলিসকে বলেছেন, আচমকা গাড়ি এসে যাওয়ার কারণেই ঠিকমতো ব্রেক কষতে পারেননি তিনি। যে কারণে গাড়িটি থামানো যায়নি। সেটি হুড়মুড়িয়ে তাঁদের উপর উঠে যায়।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই এলাকায় প্রায়শই ট্রামলাইনে পিছলে যাচ্ছে গাড়ি। কয়েকটি জায়গায় লাইনের অবস্থাও ভালো নয়। যে কারণে স্কুটার বা বাইক চালাতে যথেষ্ট অসুবিধা হয়। রাস্তার উপর ট্রাম লাইন থাকার কারণে ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে এলাকায়। লাইনের উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের দাবি তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, এই এলাকায় সবসময়ে গাড়ির চাপ বেশি থাকে। যে সংখ্যক গাড়ি যাতায়াত করে, তার তুলনায় রাস্তা কম। তার মধ্যেই বাসগুলি মাঝেমধ্যেই রেষারেষি করে। এছাড়াও দ্রুতগতিতে বড় গাড়িও চলাচল করে। যা এই এলাকায় দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। গাড়ির গতি কমাতে এলাকায় বাড়তি পুলিস রাখা হবে বলে ট্রাফিক দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।