ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
ত্রিপুরার রামনগর ১০ নম্বর রোডে বাড়ি ওই কিশোরের। তার বাবা উজ্জ্বল চক্রবর্তী পেশায় স্কুল শিক্ষক। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সে। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলায় ঝোঁক রয়েছে। ব্যাট হাতে প্রতিদিন প্র্যাকটিস করে। কিন্তু বাবা মা চাইতেন পড়াশোনায় মন দিক ছেলে। এ নিয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে তার বচসা বাধে। গত শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাউকে না জানিয়ে টিউশন যাওয়ার নাম করে উদয়ন ব্যাট, প্যাড, গ্লাভসের ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে আগরতলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ে কলকাতার উদ্দেশে।
ছেলে টিউশন থেকে বাড়ি না ফেরায় শনিবার থেকেই খোঁজ শুরু করে দেন বাবা। কোথাও ছেলের হদিশ না পেয়ে রাতে রামনগর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। ত্রিপুরার হ্যাম রেডিও ক্লাব দেশের সর্বত্র ছাত্র অপহরণের বার্তা ছড়িয়ে দেয়। পশ্চিমবঙ্গের সোদপুর হ্যাম রেডিও ক্লাবেও সেই বার্তা আসে। ক্লাব সদস্যরাও খোঁজখবর শুরু করতে থাকেন। আরপিএফ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে শহরে নবাগত ছাত্র কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। সে স্টেশনে থাকা আরপিএফ কর্মীদের কাছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ি কীভাবে যাওয়া যায়, তা জানতে চায়। আরপিএফ কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। প্রথমে আরপিএফকে কিছু বলতে চায়নি ওই ছাত্র।
এদিকে সোদপুর হ্যাম রেডিও ক্লাবের কর্তাদের কাছেও খবরটি পৌঁছয় ‘অপহৃত’ ছাত্রটিকে পাওয়া গিয়েছে বলে। ক্লাব সদস্যরা শিয়ালদহে এসে ছাত্রটির পুরো পরিচয় দেন। ফোন করা হয় ছাত্রের বাবাকে। ছেলের খবর পেয়ে মঙ্গলবার উজ্জ্বলবাবু বিমানে কলকাতায় পৌঁছন। আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার রামনগর থানার এক পুলিস অফিসারও ছেলের বাবার সঙ্গে এসেছিলেন। সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পর বাবার হাতে ছেলেকে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ হ্যাম রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, ত্রিপুরা থেকে রেডিও ক্লাবের সদস্যরা ছাত্র অপহরণের খবর দিয়েছিল। আমরা খোঁজ চালাচ্ছিলাম। এরই মাঝেই শিয়ালদহ আরপিএফ ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে। ছাত্রের বাবা উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, ছেলেকে অবশেষে পাওয়া গিয়েছে। খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ও এবার ক্রিকেটও খেলুক পড়াশোনার পাশাপাশি।