ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
জ্যোতিপ্রিয়বাবুকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ৯ তারিখ মহাজাতি সদনে গুরুদাসবাবুর স্মরণসভার জন্য আমরা সিপিআইয়ের কাছ থেকে কোনও টাকা নিচ্ছি না। ওইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওরা ওদের প্রয়োজন মতো হল ব্যবহার করতে পারবে। এটা পুরোপুরি সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যবোধের কারণে। নবান্ন থেকে এই মর্মে এদিনই তাঁর ইচ্ছার কথা আমাকে জানানো হয়। তাঁর নির্দেশেই অছি পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছি মাত্র। সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী তথা হল কর্তৃপক্ষের এই সৌজন্যবোধকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা হল ভাড়া মকুবের জন্য কোনও আবেদন করিনি। প্রথমে ১০ তারিখ স্মরণসভা করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেইমতো চিঠি দেওয়া হয়। পরে ৯ তারিখ হল ফাঁকা রয়েছে জেনে, আমরা তা বুক করি। হল ভাড়া বাবদ আমরা ব্যাঙ্ক ড্রাফট করে তা জমা দেওয়ার জন্য এদিন লোক পাঠাই। কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই ড্রাফট তারা নিতে পারবে না। বিনামূল্যেই আমাদের সেদিন হল ব্যবহারের অনুমতি সংক্রান্ত নথিও তারা দিয়ে দেয়। আমরা এই সৌজন্য দেখানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গুরুদাসবাবুর স্মরণসভায় বক্তব্য রাখার জন্য সিপিআই নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই বিজেপি ও তৃণমূল সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাতে দলগুলির কাছে নেতা-প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধও জানানো হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই সভায় দলের তরফে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেতে পারেন। বিজেপি কাউকে পাঠাবে কি না, তা এদিন পর্যন্ত ঠিক করেনি নেতৃত্ব। তবে গুরুদাসবাবু প্রয়াত হওয়ার পর তাঁর মরদেহে মাল্যদান করে দলের তরফে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। সিপিএম সহ বামফ্রন্টের শরিক এবং ফ্রন্টের বাইরে থাকা বাম দলগুলির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রয়াত নেতার স্মরণে রাজধানী দিল্লিতেও ১৩ তারিখ একটি স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এদিকে, উপনির্বাচনের প্রচার তুঙ্গে থাকাকালীন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা দলের প্রবাদপ্রতিম নেতা ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত’র জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে রাজ্য সিপিআই দু’দিনের কর্মসূচি পালন করতে চলেছে খড়্গপুরে। ইন্দ্রজিৎবাবুর রাজনীতির অন্যতম পীঠস্থান বলেই তাঁকে স্মরণের জন্য এই শিল্প-শহরকে বেছে নিয়েছে নেতৃত্ব। আগামী ১৬-১৭ তারিখ এই কর্মসূচি হবে। প্রথমদিনে রক্তদান সহ নানা ধরনের জনসংযোগমূলক উদ্যোগ নেবে তারা। পরের দিন হবে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক আলোচনা। ওইদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা ছাড়া কেবল বামফ্রন্ট নেতাদেরই তারা ডেকেছে বক্তব্য রাখার জন্য।