শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
হ্যাম রেডিও ক্লাবের সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের আদর্শনগর কলোনি থেকে রাজেশ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। হ্যাম রেডিওর সাহায্যে উত্তরপ্রদেশের পাসোয়ান পরিবার তাঁদের সন্তানকে ফিরে পেয়েছিলেন। ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পেরে, পরিবারের লোকজনও নিশ্চিত হয়েছিলেন ছেলে বেঁচে রয়েছে। ফলে, আর সময় নষ্ট না করে ছেলেরা ভোটার কার্ড, আধার কার্ড নিয়ে সোজা কলকাতার মানসিক হাসপাতালে তাঁরা হাজির হন। সেখান থেকে ডানকুনির এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথাও বলেছিলেন। খাওয়াদাওয়া সেরে তাঁরা ঘুমোতে যান।
সকালে উঠে তাঁরা দেখেন, দরজা হাট করে খোলা। রাজেশ ফের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন। হ্যাম রেডিওয়ার ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস এবং রেডিও ক্লাবের সভাপতি সুবীর দত্ত বলেন, ছেলে হাসপাতালে বেঁচে আছে জেনে তাঁর বাবা বিজেন্দ্র পাসোয়ান ও রাজেশের আর এক ভাই সঞ্জয় কলকাতায় আসেন। রাজেশকে পার্ক স্ট্রিটের ওই মানসিক হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার পর একটি ছবি আমাদের পাঠাতে বলেছিলাম। ওর বাবা ছেলের সঙ্গে একটি ছবি আমাদের পাঠিয়েছিল। ছেলেকে ফিরে পাওয়ায় আমরা খুবই খুশি ছিলাম। কিন্তু, তারপর এভাবে ফের ও পালিয়ে যাবে তা ভাবতি পারিনি। ওরা সব সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যে ছবি ওরা আমাদের পাঠিয়েছিল, সেই ছবি দিয়ে তারা পোস্টার তৈরি করছে। কারণ, যে জামা পড়ে শেষ ছবি তোলা হয়েছিল, তার ছবি পোস্টারে থাকলে তাকে খুঁজে পেতে সহজ হবে। আমরাও রেডিও ক্লাবের পক্ষ থেকে চারিদিকে ওই যুবকের খোঁজে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের কাছেও ওই যুবকের ছবি রয়েছে। সেই ছবিও চারিদিকে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।