গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
রবিবার পুঞ্চের মেনধার এলাকায় ন্যাশানাল কনফারেন্সের রোড শো ছিল। অনন্তনাগের দলীয় প্রার্থী মিয়াঁ আলতাফ রাজৌরিকে নিয়ে রোড শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন ফারুক। সেই সময় ভিড়ের মধ্যে ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। জখম অবস্থায় তিনজনকে মেনধের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের রাজৌরি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তবে হামলার ঘটনায় কতজন জড়িত ছিল, তা স্পষ্ট নয়। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতারা।
অন্যদিকে, শনিবার জঙ্গি হামলার প্রথম ঘটনাটি ঘটে অনন্তনাগের ইয়াননারে। রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা তাবরেজ খান ও তাঁর স্ত্রী ফারহা কাশ্মীরে ঘুরতে এসেছিলেন। জঙ্গিদের গুলিতে ওই দম্পতি গুরুতর জখম হন। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাবরেজের বাবা আসলাম খান জানিয়েছেন, ওই দম্পতি ১৩ মে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন। শনিবার রাতে দু’জনে যখন হোটেলে যাচ্ছিলেন, তখন আচমকা দুই ব্যক্তি বাইকে চেপে এসে গুলি চালায়। কাশ্মীর পুলিস এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনার আধ ঘণ্টার মধ্যেই সোপিয়ানের হিরপোরা এলাকায় প্রাক্তন সরপঞ্চ আইজাজ শেখ গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যান তিনি। মৃত আইজাজ বিজেপির কর্মী ছিলেন। ওই ঘটনাতেও অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি এক্স হ্যান্ডলে পর্যটকদের উপর হামলা ও প্রাক্তন সরপঞ্চকে খুনের নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি, উপত্যকায় শান্তি ফেরানোর বিষয়ে কেন্দ্রের দাবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
দলের কর্মীকে খুনের জন্য আবার পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, শ্রীনগরে ব্যাপক ভোট পড়ায় জঙ্গিরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে এই খুন করেছে। দু’টি ঘটনার তদন্তেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন ফারুক আবদুল্লা। তিনিও দাবি করেন, কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়ানোয় মদত দিচ্ছে পাকিস্তান।