Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। সবাই সবাইকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। তাড়া করছে অর্ন্তঘাত তত্ত্বও। ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তনের পরও কোনও রাজ্যে খুলেআম চোখ ধাঁধানো বিজয় উৎসবে মাততে দেখেছেন কি দলটাকে? কংগ্রেসকে মুছে ফেলার হুঙ্কার দিতে আর শোনা গিয়েছে কি গত দেড় সপ্তাহে? ঠোঁটে বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে ‘পাপ্পু’ কিংবা ‘রাহুল বাবা’ বলে মশকরায় মাততে দেখেছেন কি অমিত শাহদের? 
জয়ী শাসকের অন্দরেই এত টানাপোড়েন আর আত্মসমালোচনার ধুম শেষ কবে দেখেছে দেশ? এক্স হ্যান্ডেল থেকে একদা প্রধানমন্ত্রীরই আহ্বানে গড়ে ওঠা ‘মোদি কা পরিবার’ বাদ দেওয়ার আবেদনই-বা কীসের ইঙ্গিত? এ কি ‘আমিত্বে’র পাপক্ষালন কিংবা নৈতিক পরাজয় মেনে নিয়ে শুভবুদ্ধির উদয়? ১৯৬২ সালের পর তাঁর টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অভাবনীয় কীর্তিকে দুয়ো দিয়ে নিজেই ভক্তদের বলছেন, ‘মোদি পরিবার’ লেখা বন্ধ করুন। বাস্তবের মাটিতে গোত্তা খেয়ে নামা চারশো পারের প্রকাণ্ড বেলুনের কী নির্মম পরিণতি! এক ঝটকায় ‘মোদির গ্যারান্টি’ খোলস ছেড়ে আজ এনডিএ’র প্রতিশ্রুতি! উল্টোদিকে দেখুন, সরকার গড়তে না পারলেও কংগ্রেস বিজয় উৎসব পালনে বেরিয়ে পড়েছে। সেঞ্চুরিও হয়নি, জুটেছে মাত্র ৯৯! তবু যেন কিছুই হারাবার নেই। পুরোদস্তুর লাভই হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ আর মহারাষ্ট্র থেকেই দলটার পুনরুজ্জীবন ঘটেছে এমন ভাব। সঙ্গী পাঞ্জাব আর হরিয়ানার কৃষক বিক্ষোভ। অনুগত মাঝারি মাপের এক অপরিচিত নেতাকে দিয়ে আমেথি পুনরুদ্ধার করে মৃগয়ায় মেতেছে গান্ধী পরিবার। ওয়েনাড়ের সঙ্গে রায়বেরিলিও অক্ষুণ্ণ। ব্যবধান যথাক্রমে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার এবং ৩ লক্ষ ৯০ হাজার। উত্তরপ্রদেশের ৪০৩ বিধানসভা আসন ছুঁয়ে জনসংযোগ যাত্রায় বেরবার এই তো সঠিক সময়। সে-কথাই ঘোষণা করা হয়েছে এআইসিসির পক্ষ থেকে। দলিত, ওবিসি, আদিবাসী ও মুসলিমরা ইন্ডিয়া জোটের দিকে হাত বাড়িয়েছে। আর গেরুয়া শিবির হতোদ্যম, কতদিন পাল্টুরাম জোট শরিকদের দিয়ে-থুয়ে তাঁবে রাখা যাবে, তা নিয়েই কাটাকুটি খেলা চলছে। ভয় এতটাই যে অযথা কাউকে কোনও বিষয়ে মন্তব্য করতে পর্যন্ত নিষেধ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। ছোট-বড় সবার মুখে তালা। এমনকী, প্রথম কলিঙ্গ জয়ের সাফল্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করার মনটাও যেন মরে গিয়েছে। এর শিক্ষা একটাই, বেলুন বেশি ফোলাতে নেই। তাতে বিপদ দুই প্রকার—হয় লোক হাসিয়ে সশব্দে ফাটবে, না-হয় তো হাতের সুতো ছিঁড়ে তা আকাশের দু’শো অচেনা তারার মধ্যিখানে হারিয়ে যাবে! বিজেপির ঠিক সেই দশা, অতিদর্পে হাতের রশিটাই কখন চুরি হয়ে গিয়েছে। এখন আদর্শের চুলোচুলি চলছে দল ও আরএসএসের থিঙ্কট্যাঙ্কের মধ্যে। সঙ্ঘ এতদিন চুপ ছিল। এখন ঘোমটা নামিয়ে সরাসরি বলছে, ভগবান রাম ঔদ্ধত্যের শাস্তি দিয়েছেন, অযোধ্যা থেকে সীতাপুর, দক্ষিণে রামেশ্বরম কোথাও প্রসন্ন হননি রামসেবকদের ওপর। ২৪০ আসনে থেমে যাওয়া তারই প্রমাণ!
কে না জানে, দিল্লি দখল করার চাবিকাঠি লুকিয়ে উত্তরপ্রদেশের ফলাফলেই। গত দশবছর উত্তরপ্রদেশে একাধিপত্যের জোরেই সরকার ও দল সর্বত্র বিরোধীদের থোড়াই কেয়ার মনোভাব ছিল মোদিজির। সেই ‘বাস্তিল’ দুর্গের পতন হয়েছে দীর্ঘ একদশক পর। ৪০ বছর পর সবাইকে চমকে এলাহাবাদ আসনে আবার জয়ী হয়েছে রাহুল ও সোনিয়ার কংগ্রেস। ১৯৮৪ সালে শেষবার কংগ্রেসের টিকিটে এলাহাবাদে জয়ী হয়েছিলেন মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। তারপর দীর্ঘ শূন্যতা। নেহরুর স্মৃতিবিজড়িত শহরটি শুধু হাতছাড়াই হয়নি, কংগ্রেসের আধিপত্যও গোটা রাজ্যে ধীরে ধীরে অস্তমিত হয়ে যায়। এবার কংগ্রেসের উজ্জ্বল রামন সিং ৫৮ হাজার ভোটে হারিয়েছেন বিজেপির নীরজ ত্রিপাঠীকে। গান্ধী পরিবারের গড় বলে পরিচিত আমেথি ও রায়বেরিলিতেও বিজয় উৎসব করছে কংগ্রেস। পাঁচবছর আগে রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে আমেথির দখল নেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। অসুস্থতার কারণে রায়বেরিলিতে এবার সোনিয়াজি দাঁড়াননি। শেষ মুহূর্তে নেমেও আসনটি পুনরুদ্ধার করেছেন রাহুল। অনেক টানাপোড়েনের পর আমেথিতে প্রার্থী করা হয় ১০ জনপথের একান্ত অনুগত কিশোরীলাল শর্মাকে। কিশোরী জেতেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার ভোটে। কংগ্রেসিরা সেই দেখেই আশায় বুক বাঁধছেন। বলছেন যদি প্রিয়াঙ্কা দাঁড়াতেন তাহলে শুধু আমেথি নয় বারাণসী আসনটিও দখলে চলে আসত—নির্ঘাত হারতেন ৫৬ ইঞ্চি! এমনই দাবি উজ্জীবিত কংগ্রেসের। উত্তরপ্রদেশে জাগলেই তা সংক্রামিত হবে সারা দেশে।
এবার কংগ্রেসের সরকার গড়া হয়নি ঠিকই, কিন্তু দলের আসzন সংখ্যা একলাফে ৫২ থেকে বেড়ে ৯৯ হয়েছে, সঞ্জীবনী বটিকা এটাই। তারও আগে চোদ্দো সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪টি আসন। আর বিভিন্ন রাজ্যে সার্বিক আসন সমঝোতা না-হলেও ইন্ডিয়া জোট ২৩৫ আসন জিতে বিজেপির ঘাড়ে ক্রমাগত নিঃশ্বাস ফেলছে। রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা করে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দাঁড় করানো গেলে ২৪০ আসনও পেত না গেরুয়া শিবির। জাতীয় রাজনীতির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে জোট গড়ে লড়ে বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দিতে সমর্থ হয়েছে কংগ্রেস ও অখিলেশ জোট। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেও এই নৈতিক পরাজয়টাকে কিছুতেই অস্বীকার করতে পারছেন না মোদিজি। 
সভা-সমিতি, চায়ের আড্ডা ও সান্ধ্য আলোচনায় গত ছ’মাস ধরে একমাত্র আলোচ্য ছিল—উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপি গতবারের ৬২ আসন ছাপিয়ে ঠিক কত-য় থামবে? ফল বেরতে দেখা গেল, ৬২ পেরনো দূর, ৯ শতাংশ ভোট হারিয়ে বিজেপি থেমে গিয়েছে ৩৩ আসনে! আর অখিলেশ-কংগ্রেস জোট সবাইকে তাক লাগিয়ে পেয়েছে ৪৩টি আসন। এইটুকু পড়ে অনেকে ভাবতেই পারেন ফল বেরনোর ১২ দিন পর এই তথ্য তো ইতিমধ্যেই বাসি হওয়ার পথে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, যদি মায়াবতী ভোট কেটে অখিলেশের যাত্রাভঙ্গ না করতেন তাহলে আরও অন্তত ১৬টি আসন বিজেপিকে হারতে হতো, থামতে হতো ১৭-য়! সেক্ষেত্রে সরকার গড়ার স্বপ্ন পরিণত দুঃস্বপ্নে। যেমন ধরুন, ফতেপুর সিক্রিতে বিজেপি জিতেছে ৪৩,৪০৫ ভোটে। অথচ ওই আসনে মায়াবতীর বিএসপি পেয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার ভোট। একই অবস্থা আলিগড়, ফারুকাবাদ ও আমরোহার। আলিগড়ে বিজেপি জিতেছে মাত্র ১৫,৬৪৭ ভোটে। ওই কেন্দ্রেও বিএসপি পেয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ভোট। ফারুকাবাদের চিত্র আরও কঠিন। মাত্র আড়াই হাজারের সামান্য কিছু বেশি ভোটে বিজেপি আসনটি দখল করেছে। হাড্ডাহাড্ডি সেই লড়াইয়ে মায়াবতীর দলের প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ৪৫ হাজার। বিজেপির কাছে এই ভোট কাটাকুটি নিঃসন্দেহে আশীর্বাদ? সব অর্থেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন মায়াবতী। না-হলে তৃতীয়বার শপথ নেওয়াই সম্ভব হতো না মোদি-অমিত শাহ বাহিনীর। উত্তরপ্রদেশে হেরে কুর্সির দৌড় থেকে ছিটকেই যেতেন ‘বিশ্বগুরু’।
সেক্ষেত্রে ইতালিতে চলতি জি-৭ গোষ্ঠীর বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতেন কে, তা কোটি টাকার প্রশ্ন।
পাঁচবছর আগে ২০১৯ সালের রাজ্যওয়াড়ি ভোটের ফলে উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র দুই রাজ্যেই একটি, দুটি করে আসন পেয়ে কংগ্রেস প্রায় আইসিইউতে চলে গিয়েছিল। এবার উত্তরপ্রদেশে ৬টি এবং মহারাষ্ট্রে ১৩টি আসন মিলেছে তাদের। অখিলেশ জিতেছেন ৩৭টি। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশে ৪৩টি আসন জিতে অমিত শাহদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। আর বিজেপির সৌজন্যে বত্রিশভাজা মহারাষ্ট্র রাজনীতিও মুখ ফিরিয়েছে। হরিয়ানাতেও ইন্ডিয়া জোট ভালো করেছে। কেরলেও কংগ্রেসের অভূতপূর্ব সাফল্যে প্রায় নিশ্চিহ্ন বামেরা। মূলত বিহার, ওড়িশা, অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানাই এবার মুখরক্ষা করেছে নরেন্দ্র মোদির। তা না-হলে দু’দশক পর বাজপেয়ি আমলের ‘শাইনিং ইন্ডিয়া’র মুখ থুবড়ে পড়ার রিপ্লে দেখতে হতো আম জনতাকে। এই দেওয়াল লিখনটাই বিজেপিকে জয় উপভোগ করতে বাধা দিচ্ছে। কোথায় যেন পা টেনে ধরছে। তামিলনাড়ুতে প্রায় প্রতি সপ্তাহে গিয়েও আস্ত অশ্বডিম্ব প্রসব করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আসন তো মেলেইনি, উল্টে রাজ্য বিজেপি প্রধান আন্নামালাইয়ের সঙ্গে আর এক হেভিওয়েট নেতা তামিলসাইয়ের বিরোধ সামনে চলে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের এই ফল সরাসরি মোদিজির প্রতি অনাস্থা, না পদে পদে উপেক্ষিত হয়ে যোগীজির প্রতিশোধ, সেই জল্পনাও চলছে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের সাতমহলা পার্টি অফিসে।
বহুমুখী চাপ আর অস্বস্তির মুখে দেশে নানা কারণে বিজয় উৎসব করার সুযোগ না পেলেও প্রধানমন্ত্রী বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। ইতালির জি-৭ মঞ্চে তাঁর বিশ্বগুরু ভাবমূর্তি কতটা উজ্জ্বল হবে জানি না। তবে বিশ্বনেতা জেলেনস্কি, মেলোনি, সুনাকের সঙ্গে করমর্দনে মিলিত হয়েও তাঁর মন নির্ঘাত পড়ে রয়েছে দেশে, সাউথ ব্লকের অলিন্দে। আধো অন্ধকারে তিনি ভূত দেখছেন গিরিধর গোমাংয়ের। ১৯৯৯ সালে গিরিধরজির একটি ভোটেই ১৩ মাসের মাথায় পড়ে গিয়েছিল অটলজির সরকার। গিরিধর তখন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সাংসদ পদে ইস্তফা দেননি। সটান সংসদে গিয়ে বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে বাজপেয়ি সরকার ফেলে সেদিন অনর্থ ঘটিয়েছিলেন তিনি। মোদিজি কি গিরিধরের ছায়া দেখছেন শরিকদের মধ্যে? বছর শেষে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট। অন্তত দুটি রাজ্যে জিততে না-পারলে বিজেপির রাজনৈতিক কর্তৃত্ব খতম হতে বাধ্য। তাই সরকার গড়লেও মোদিজি স্বস্তিতে নেই মোটেই। হিন্দুত্বের এজেন্ডা, এক দেশ এক নির্বাচন, দেশকে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করার চেয়েও তাঁর সামনে সরকার টিকিয়ে রাখাই এই মুহূর্তে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আপাতত বেলুনওয়ালার বিদায়, গেরুয়া রাজনীতির ধ্রুবপদ একটাই—আপনি বাঁচলে বাপের নাম!
16th  June, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
একনজরে
এবার আর জি কর কাণ্ডের মধ্যেই মুখ খুললেন আর-এক ডাক্তারি পড়ুয়া। কল্যাণী মেডিক্যালের ওই পড়ুয়া কলেজের ছাত্রনেতাদের (বর্তমানে ছ’মাসের জন্য বহিষ্কৃত) হাতে নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ। ...

ইপিএলে নিশ্চিত পরাজয় এড়াল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। রবিবার নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর সংযোজিত সময়ের সপ্তম মিনিট পর্যন্ত ২-১ এগিয়ে ছিল আর্সেনাল। ...

বর্ধমান থেকে ৬৫কিলোমিটার দূরে রয়েছে কালিকাপুর রাজবাড়ি। গুসকরা থেকে জঙ্গলে ঘেরা পথ দিয়ে সহজেই আসা যায় এই রাজবাড়িতে। সেই রাজা নেই। ...

সেনা আধিকারিককে লকআপে ঢুকিয়ে থানার মধ্যেই তাঁর বাগদত্তাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। নিগৃহীতা প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ারের মেয়ে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা বা সাংকেতিক ভাষা দিবস
১৮৪৬: সোলার সিস্টেমের অষ্টম গ্রহ নেপচুন আবিষ্কার 
১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৬: বিশিষ্ট ইতালীয় ফুটবলার পাওলো রোসির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৮ টাকা ৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৫৩ টাকা ১১৩.১১ টাকা
ইউরো ৯১.৭৫ টাকা ৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  September, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
21st  September, 2024

দিন পঞ্জিকা

৭ আশ্বিন, ১৪৩১, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ষষ্ঠী ২০/৫৫ দিবা ১/৫১। রোহিণী নক্ষত্র ৪১/৩৮ রাত্রি ১০/৮। সূর্যোদয় ৫/২৯/১২, সূর্যাস্ত ৫/২৮/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৮/৪১ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ১১/৫ মধ্যে পুনঃ ২/১৭ গতে ৩/৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ২/২৮ গতে ৩/৫৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৫৮ গতে ১১/২৮ মধ্যে।   
৬ আশ্বিন, ১৪৩১, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৭/২৭। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/২৩। সূর্যোদয় ৫/২৯, সূর্যাস্ত ৫/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৯ মধ্যে ও ৮/৪১ গতে ১০/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৭ গতে ১০/৫৭ মধ্যে ও ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ২/৩১ গতে ৪/১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/০ গতে ১১/৩০ মধ্যে। 
১৯ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুনেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ২

03:18:00 PM

৩৭৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

03:11:00 PM

বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটে এসেছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার

02:51:00 PM

আজ বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

02:50:00 PM

ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই নিজেকে বাঁচাতে জল ছেড়ে দেয়: মুখ্যমন্ত্রী

02:39:00 PM

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা শস্যবিমার টাকা পাবেন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

02:38:00 PM