Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। এভাবেই অদৃষ্টবাদের সঙ্গে সখ্য করে বেঁচে থাকি আমরা, মানে সমাজের অন্তত নব্বই শতাংশ মানুষ। ছন্নছাড়া, হা-হতোস্মি জীবনের মধ্যেও লক্ষ্মীছেলের মতো স্থায়ী সুখ অনুভব করতে শিখে গিয়েছি। আমরা কালী, শীতলা, শনিদেবের সঙ্গে মা লক্ষ্মীরও আরাধনা করি। প্রার্থনা করি ধনসম্পদের। সেই তাগিদেই আজ ঘরে ঘরে কোজাগরী পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা হবে। আমরা প্রার্থনা করব, ‘মাগো, ধন দাও, সম্পদ দাও! আমাদের লক্ষ্মীলাভ হোক।’ কিন্তু ঘরে ধন-সম্পদ আগমের জন্য যে উদ্যমটুকু দরকার, তার ধারকাছ দিয়েও আমরা ঘেঁষতে রাজি নই। 
অথচ সেই প্রাচীন কাল থেকেই আমরা লক্ষ্মীলাভের জন্য অধ্যবসায়ের সঙ্গে পরিশ্রম করে চলেছি। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের উদ্যমহীনতা ও দূরদৃষ্টির অভাবের কারণে লক্ষ্মী চঞ্চলা হয়েছেন। আমাদের বাংলার অতুল সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। প্রাচীন কালে যে ব্রাহ্মণ্য ধর্মশাস্ত্র দেখি, সেখানে মূলত তিনটি বৃত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, কৃষি, পশুপালন এবং বাণিজ্য। সেইসঙ্গে বাঙালি কারিগরি শিল্পেও নিজের দক্ষতার প্রমাণ রেখেছিল। বিভিন্ন প্রাচীন প্রমাণ থেকে কিংবা ইবন বতুতা সহ বেশ কয়েকজনের লেখা থেকে জানা যায় বাঙালির বাণিজ্য উদ্যমের কথা। আমাদের এই বাংলা থেকে বহু খাদ্যশস্য, মশলা, আখ, গুড়, পান, সুপুরি, চিনি, লবণ,এলাচ, লবঙ্গ, মসলিন বিদেশে রপ্তানি করা হতো। এছাড়া, তেজপাতা, সুগন্ধী তেল যেত মিশরের বিখ্যাত বন্দর আলেকজান্দ্রিয়ায়। বাঙালির কৃষিদক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ দক্ষতা, হস্তশিল্প সংক্রান্ত দক্ষতা ছিল অপরিসীম। কারুশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, অলঙ্কার শিল্প কাংসশিল্পে বাঙালির দক্ষতা ছিল সন্দেহাতীত। এছাড়া বয়নশিল্পে বাঙালির খ্যাতি ছড়িয়েছিল সারা বিশ্বে। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে বাংলার এন্ডি, মুগা এবং কার্পাসজাত বস্ত্রের সুখ্যাতি করা হয়েছে। মনসামঙ্গল ও চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে আমরা চাঁদ সদাগর ও ধনপতি সদাগরের বাণিজ্য যাত্রার কথা পাই। 
বাঙালির শিল্প ও বাণিজ্যের অবনতি ঘটতে থাকে মুঘল আমল থেকে। পরবর্তীকালে ইংরেজ আমলে সেই পতন ত্বরান্বিত হয়। বাংলার বাণিজ্যের মূল শক্তি ছিল গঙ্গা এবং সরস্বতী। সরস্বতী নদী যতদিন বহমান ছিল, ততদিনই সপ্তগ্রামের বন্দরে এসে দাঁড়াত অসংখ্য পণ্যবাহী জাহাজ। পাঠানরা বেশ কয়েকবার সপ্তগ্রাম লুট করেছিল। ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে মুঘলরা হুগলি দখল করার পর থেকেই সপ্তগ্রামের ধ্বংস শুরু হয়। পরবর্তীকালে দেখা যায় বাঙালি লক্ষ্মীর সাধনা ছেড়ে জমিদারি পত্তনের দিকে ঝুঁকল। পরিশ্রম কম, অথচ আয়েস বেশি। তাই অর্থবান বাঙালি বা঩ণিজ্যপ্রীতি হারিয়ে জমিদারির পায়রা ওড়ানো, বুলবুলির লড়াই আর বাঈনাচের মধ্যে জীবনের সারবত্তা খুঁজে পেল। আর মধ্যবিত্ত বাঙালি মাথা কুটতে লাগল একটা চাকরির জন্য। ফলে স্বদেশি শিল্পের ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘটতে লাগল।  
তা সত্ত্বেও পরবর্তীকালে আমরা পেয়েছি বহু বাঙালি উদ্যোগপতি। এঁদের মধ্যে আবার অনেকেই জমিদার শ্রেণির। লটারিতে টিকিট কিনে জয়ী হয়েছিলেন গোকুলচাঁদ মিত্র। তাঁর ছিল লবণের ব্যবসা। পাশাপাশি তিনি সাহেবদের পোষা ঘোড়ার জন্য খাদ্য সরবরাহ করতেন। লবণ ব্যবসায় পয়সা কামিয়েছিলেন দয়ারাম বসুও। তিনি ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লবণের পাবলিক সেলের চিফ এজেন্ট। 
জাহাজ ব্যবসা করে ঘরে লক্ষ্মীকে বেঁধে রেখেছিলেন রামদুলাল সরকার। দত্তবাড়ির পাঁচ টাকার বেতনের কর্মচারী নিজের বুদ্ধিমত্তায় কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন। তাঁর দুই পুত্র ছাতুবাবু ও লাটুবাবু। রামদুলালের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছিলেন নিমতলার গঙ্গাধর মিত্র। তাঁর পাঁচ ছেলের মধ্যে একজন হলেন প্যারীচাঁদ মিত্র। ডিরোজিওর ছাত্র প্যারীচাঁদ সেকালের এক বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। নিজের ব্যবসা ছাড়াও তিনি ইংরেজদের কয়েকটি কোম্পানি যেমন গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল, বেঙ্গল টি কোম্পানি, হাওড়া ডকিং কোম্পানি লিমিটেডের ডিরেক্টর হয়েছিলেন। 
ইংরেজ ব্যবসায়ী জোব চার্নককে কলকাতায় আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন সপ্তগ্রামের রাজারাম মল্লিক। তিনিও ছিলেন একজন বড় ব্যবসায়ী।  তাঁর পপৌত্র নিমাইচরণ মল্লিক বা নিমু মল্লিকও ছিলেন বড় ব্যবসায়ী। মহীশূর যুদ্ধের সময় ইংরেজরা তাঁর কাছ থেকে আটচল্লিশ লক্ষ টাকা ধার করেছিল। শর্ত ছিল ষাট টাকায় সুদ দিতে হবে চল্লিশ টাকা। নিমু মল্লিকের প্রপৌত্র ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ মল্লিক বা ডি এন মল্লিক। চায়ের ব্যবসা করে তিনি বিশাল সম্পত্তি বানিয়েছিলেন। বাঙালিদের মধ্যে তিনিই প্রথম রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করেন। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদু দ্বারকানাথ ঠাকুর ছিলেন ব্যবসায় অত্যন্ত বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তাঁকে বলা হয় আধুনিক কর্পোরেট মনস্ক মানুষ। আফিম, রেশম, কয়লা, লবণ চিনি থেকে জাহাজের ব্যবসা সবেতেই তিনি বিনিয়োগ করেছিলেন। ব্যাঙ্কের ব্যবসাও তিনি শুরু করেন। কার অ্যান্ড টেগোর কোম্পানিতেও তাঁর শেয়ার ছিল। তিনিই প্রথম মনে করেছিলেন বাঙালির বাণিজ্যের উন্নতির জন্য দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি দরকার।    
সেই সময়ের এক ব্যবসায়ী প্রীতিরাম মাড় বর্তমান ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের বাঁশ ঝাড় কিনে সেই বাঁশ বেচে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন। তিনি কাস্টমস হাউসে চাকরি করতেন এবং পাশাপাশি চালের ব্যবসাও করতেন। পরে তাঁরা দাস পদবি গ্রহণ করেন। প্রীতিরামের পুত্রবধূই হলেন রানি রাসমণি।
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বাঙালিকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য ব্যবসার কথা বলেছিলেন। তিনি জানতেন, বাণিজ্যই আমাদের সমৃদ্ধির দরজা খুলে দিতে পারে। বাঙালিকে আবার হীনমন্যতা দূর করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে গেলে বাণিজ্যের পথে যেতেই হবে। তিনি শুধু উপদেশ দিয়েই ক্ষান্ত হননি। নিজেও একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। বেঙ্গল কেমিক্যাল তৈরি করে হয়েছিলেন সফল উদ্যোগপতি। মাত্র ৭০০ টাকার পুঁজি নিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আজও সেই ব্যবসা এগিয়ে চলেছে।
১৮২০ সালের মধ্যে বড়বাজার হয়ে উঠল ভারতের বৃহত্তম পাইকারি ব্যবসার কেন্দ্র। এখান থেকে সারা দেশে মাল পাঠানো হতো। সে সময় দেখা যাচ্ছে, এখানে ৫৯ জন বড় ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। তাঁদের মধ্যে ২৩ জনই ছিলেন বাঙালি। মূলত ১৮৭৬ সালের পর থেকে সারা ভারতের বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখানে এসে ব্যবসার ঘাঁটি একে একে দখল করতে লাগলেন। তৎকালীন বোম্বাই, উত্তরপ্রদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসতে লাগলেন। এরপর এলেন গুজরাত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ থেকেও বহু ব্যবসায়ী। তারপর এল যোধপুর এবং মারওয়াড় থেকে। বড়বাজারের দখলদারি হারাতে থাকে বাঙালি।
১৮৩১ সালে কলকাতার ব্যবসার জগতে একটা বড় ধাক্কা নেমে আসে। একসময় নীল চাষের দৌলতে সাহেবরা এই শহরে বড়বাজারের আশপাশে অনেকগুলি এজেন্সি হাউস গড়ে তুলেছিল। তারা নীল ব্যবসায় প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু মন্দার কারণে নীলের দাম কমে গেল। বহু কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে বন্ধ করে দিল। এই সব এজেন্সির সঙ্গে ব্যবসা করতেন যেসব বাঙালি, তাঁরাও বিপাকে পড়ে গেলেন। একটা হিসাবে দেখা যাচ্ছে আনন্দমোহন পাল ও সুবলচন্দ্র পালের ক্ষতি হয়েছিল দেড় লক্ষ টাকা, রাধামোহন পাল ও কৃষ্ণমোহন পালের ক্ষতি হয়েছিল এক লক্ষ টাকা, গঙ্গাগোবিন্দ শীল ও হরগোবিন্দ শীলের ক্ষতি হয়েছিল আড়াই লক্ষ টাকা, বিশ্বম্ভর পাইন ও চন্দ্রকুমার পাইনের ক্ষতি হয়েছিল ষাট হাজার টাকা, রামনারায়ণ দে ও মাধবচন্দ্র দে’র ক্ষতি হয়েছিল আড়াই লক্ষ টাকা, মথুরামোহন সেনের ১৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছিল এবং সুবলচন্দ্র নন্দীর ক্ষতি হয়েছিল পঞ্চাশ হাজার টাকা। এই ক্ষতি বাঙালির ব্যবসা মানসিকতার ওপর চরম আঘাত হানল। অনিশ্চিত বাজার নিয়ে সংশয় দেখা দিল। তখন ইংরেজদের বহু ব্যবসা কলকাতার মারোয়াড়িরা কিনে নিতে থাকেন। বহু বাঙালি ব্যবসায়ীও আর ভরসা না করে ব্যবসা বিক্রি করে দেন। সেগুলিই কিনে নিতে থাকেন কলকাতার অবাঙালি ব্যবসায়ীরা। এভাবেই বাণিজ্য বসতে লক্ষ্মীর তত্ত্বকে জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিল বাঙালি। ব্যবসার অনিশ্চিত জীবন ছেড়ে বাঙালি ঢুকে পড়তে চাইল চাকরির নিশ্চিত খোপে। ক্রমে ক্রমে সরে গেল সে লক্ষ্মীর সাধনা থেকে।
অথচ বাঙালি খুব ভক্তিভরে ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর পুজো করে। কোজাগরী পূর্ণিমায় নিজের সামর্থ্যটুকু উজাড় করে মা লক্ষ্মীর পুজো করে। আলপনায় সাজায় তার ঘর, উঠোন, আঙিনা। লক্ষ্মীর পা আঁকে, ধানের ছড়া আঁকে, পদ্ম আঁকে, মাছ আঁকে। এই আলপনার মধ্য দিয়ে যেন বিমূর্ত ওঠে বাঙালির প্রার্থনা, এসো মা লক্ষ্মী, বোসো ঘরে, আমার এই ঘরে থেকো আলো করে কিংবা সেই শাশ্বত আর্তি প্রকাশ পায়, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে। আজ কোজাগরীর জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাতে বাঙালি তার লক্ষ্মী আরাধনার মধ্য দিয়ে এই সামান্য আর্তিটুকই মায়ের কাছে প্রকাশ করবে। ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে / সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।
16th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
একনজরে
প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...

শারদীয়া উৎসবে সর্বত্র বসেছিল অস্থায়ী দোকান। সকলে ভেবেছিলেন, পুজোর সময় সিঁথি সার্কাস ময়দান লাগোয়া বি টি রোডের ধারে যেমন বসে তেমনই হয়তো বসেছে দোকানগুলি। কিন্তু ...

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। ...

মাসে মোট রোজগার দেখিয়েছিলেন, সাত হাজার টাকা। আবেদনপত্রে তা উল্লেখও করেছিলেন। তারপর তরুণীর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন রূপশ্রীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখ কপালে প্রশাসনের কর্মীদের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM