Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। ফলে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিসে’র স্লোগানে গলা মেলানো অনেক সাধারণ মানুষও মনে করছে, অভয়ার খুন এবং ধর্ষণ পাশবিক শক্তি ও ব্যক্তি লালসার নির্মম পরিণতি। কোনও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র নেই। স্রেফ অভয়ার জাস্টিসই আন্দোলনের লক্ষ্য হলে এতদিনে সব স্বাভাবিক হয়ে যেত। পরিসমাপ্তি ঘটত অনশন আন্দোলনের। কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ এই আন্দোলনের মুখ জুনিয়র ডাক্তাররা হলেও আড়কাঠিটা নাড়ছেন রাজনীতির কারবারিরা। আর এখন এটা অনুমান নয়, প্রমাণিত সত্য।
অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে যখন আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখন তা ছিল একেবারেই অরাজনৈতিক। দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে রাজ্যের মানুষ এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছিল। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছিল। তাই চিকিৎসকদের আন্দোলন হয়ে উঠেছিল গণআন্দোলন। সেই কারণেই বেশিরভাগ জুনিয়র ডাক্তার এই আন্দোলনকে ‘অরাজনৈতিক’ রাখার পক্ষে। তাঁরা প্রাণপণে রাজনৈতিক ছোঁয়াচ এড়িয়ে চলার চেষ্টা চালিয়েছেন। তার প্রমাণও মিলেছে। সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই গ্রেপ্তার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ‘পাশে আছি’ বার্তা দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুনেছিলেন ‘গোব্যাক’ স্লোগান। একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলেরও। 
জুনিয়র ডাক্তাররা বিজেপি নেতৃত্বকে বারবার প্রত্যাখ্যান করায় আম জনতার চোখেও এই আন্দোলন ছিল ‘অরাজনৈতিক’। ফলে সমর্থন বেড়েছিল লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু তাল কাটে অপরাধীর শাস্তির চেয়েও পুলিস ও স্বাস্থ্য কর্তাদের সরানোর দাবি উচ্চকিতে উচ্চারিত হতেই। তখন অনেকে বলেছিলেন, ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’। তবুও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পাঁচ দফার মধ্যে তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে অধিকাংশ চিকিৎসক সন্তুষ্ট হয়ে কাজে যোগ দিলেও খুশি হননি রাজনীতির কারবারিরা। মূলত তাঁদের উস্কানিতেই পুজোর ভরা মরশুমে শুরু হয়েছিল আমরণ অনশন। 
ধর্মকে আফিম মনে করা কমিউনিস্টরা পুজোর সময় বইয়ের স্টল দিলেও তারা পুজোয় বিশ্বাসী নয়। তাই ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকলেও সরকারিভাবে পুজো বা উৎসবকে প্রোমোট করেনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেই সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে নিজ নিজ ধর্ম এবং উৎসব পালনে উৎসাহিত করেছেন। পুজোর পথে অর্থ যাতে অন্তরায় না হয়, তারজন্য অনুদান দিয়েছেন। কার্নিভালের আয়োজন করে দুর্গোৎসবকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সামনে রেখে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোকে ঘেঁটে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিল সিপিএম। 
তবে, এসব করে সিপিএমের কতটা লাভ হল, সেটা সময় বলবে। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে সিপিএমের অতি সক্রিয়তায় ঝুলি থেকে বেড়ালটি বেরিয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন পর্দার আড়ালে থেকেই সিপিএম এই আন্দোলনে অক্সিজেন জোগাচ্ছিল। কিন্তু বিজেপির মতো তারা সামনে আসেনি। পুজোর সময় সেলিম সাহেবদের ভুল চালে পর্দার আড়ালটা সরে গিয়েছে। 
উৎসবপ্রিয় বাঙালি পুজোর সময় আন্দোলনে পাশে থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশনস্থলে ভিড় কমছিল। তাই জুনিয়র ডাক্তাররা মানুষকে পাশে থাকার ডাক দি঩তেই সিপিএমের ঘোষণা, দলীয় পতাকা ছাড়াই কমরেডরা থাকবেন ডাক্তারদের পাশে। তাতে আন্দোলনস্থলে কিছুটা প্রাণের সঞ্চার হলেও ‘গণআন্দোলনে’র গায়ে পাকাপাকিভাবে লেগে যায় রাজনীতির রং। 
জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ সিপিএমের সঙ্গে মাখামাখির বিষয়টি মানতে পারেনি। এই নিয়ে তীব্র মতভেদ হয়। সেই ক্ষোভেরই বিস্ফোরণ ঘটে ডাঃ কিঞ্জল নন্দের ভাষণে। আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল অনশনের মঞ্চে বলেন, ‘একটি কথা খুব দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা ডব্লুবিডিজেএফের পক্ষ থেকে বলতে চাই, আমাদের এই কর্মসূচিকে কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের কর্মসূচি বলে প্রচার চালিয়েছে। তাদের এই প্রচেষ্টাকে আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই।’
কিঞ্জলের এই কথার মধ্যে কোনও অন্যায় ছিল না। তিনি কেবল আন্দোলনের ‘অরাজনৈতিক’ ইমেজটা বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। কারণ তিনি জানেন, রাজনীতির রং লাগলে তা আর ‘গণআন্দোলন’ থাকে না। তাই তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের ‘স্ট্যান্ড’ স্পষ্ট করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমাদের ভাই-বোনেরা মানসিক দৃঢ়তার সঙ্গে আমরণ অনশনে বসে আছে। সেই অনশনকে কাজে লাগিয়ে যদি কোনও রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কথা ভাবতে চায়, তাহলে ডব্লুবিডিজেএফ হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখছে, যে বা যারা এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রঙে রাঙানোর চেষ্টা করছে তাদের তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে।’ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টি হল, কিঞ্জল কিন্তু একটিবারের জন্যও সিপিএমের নাম মুখে আনেননি। 
গ্রাম বাংলায় একটা প্রবাদ চালু আছে, ‘পড়ল কথা হাটের মাঝে/ যার কথা তার বুকে বাজে।’ কিঞ্জল নন্দ হুঁশিয়ারি দেওয়া মাত্র সিপিএমের লোকজন রে রে করে মাঠে নেমে পড়ল। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিঞ্জলবাবুর ভূত, ভবিষ্যৎ নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু হয়ে গেল। নীচে নামানোর জন্য কেউ কেউ তাঁর শ্বশুরকে নিয়েও টানাটানি শুরু করে দিলেন। তবে, তাতে এতদিন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পিছনে যে বাম এবং অতি বামেদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল, তা প্রমাণ হয়ে গেল। অনেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকানোর ছবি পোস্ট করে বোঝাতে চাইলেন, সিপিএমের জন্যই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এই উচ্চতায় পৌঁছেছে। সিপিএম পাশে না থাকলে নাকি জুনিয়র ডাক্তারদের ফুটেজ জুটত না। আবার কেউ কেউ ডব্লুবিজেডিএফ প্যাডে কিঞ্জলকে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বসলেন। কদর্য ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণও চলল। 
কিঞ্জলের কথায় শুধু সিপিএমের ইয়ং ব্রিগেডই চটেনি, দলের প্রাজ্ঞ, প্রবীণরাও রুষ্ট হয়েছিলেন যথেষ্ট। প্রয়াত বিনয় কোঙারের বড় ছেলে সুকান্ত কোঙারও সোশ্যাল মিডিয়ায় উগরে দিলেন তাঁর ক্ষোভ। তাঁর করা দু’টি পোস্টে মিশেছিল ব্যঙ্গ ও আক্রমণ। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘কোন আন্দোলনে কে অংশগ্রহণ করবে, তা ঠিক করার অধিকার আন্দোলনকারীদের নেই।’ এই পোস্ট করে প্রবীণ সিপিএম নেতা কী বোঝাতে চাইলেন? জুনিয়র ডাক্তারবাবুরা যতই আপত্তি করুন না কেন, গণআন্দোলনের কৃতিত্বে তাঁরা ভাগ বসাবেনই।
জুনিয়র ডাক্তাররা ‘থ্রেট সিন্ডিকেটে’র বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে কারা থ্রেট সিন্ডিকেট চালাত তার তালিকা আন্দোনলকারীরা জমা দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে রাজ্য সরকার তদন্ত চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রীর কলেজে ঢোকার ও ক্লাস করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অনেকে সাসপেন্ডও হয়েছেন। এই সব সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চাপের মুখে নেওয়া হয়েছে, নাকি অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে, তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। তবে, সেই সব বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখেও একটা প্রশ্ন অনায়াসেই তোলাই যায়, কিঞ্জল কি ‘থ্রেট সিন্ডিকেটে’র শিকার হলেন না?
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা কেন রাজনৈতিক দলকে এড়িয়ে চলতে চাইছেন, তার ব্যাখ্যাও কিঞ্জল দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, মূল লক্ষ্য ছিল ন্যায় বিচার। প্রত্যেকটি মানুষ নিজেদের দলীয় রং-কে বাইরে রেখে এক হয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন। এরপর আমাদের আন্দোলন জনসাধারণের আন্দোলন হয়ে ওঠে। সেই বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষের একটাই রং ছিল...সত্য।  
এই ‘সত্যে’র জোরেই চিকিৎসকদের আন্দোলন ‘গণআন্দোলন’ হয়ে ওঠে। কিন্তু ক্ষীর খাওয়ার লোভে ‘অরাজনৈতিক’ আন্দোলনের গায়ে রাজনীতির রং লাগাতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিপিএম। তাতে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে কিঞ্জল ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার কোনও কথা যদি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সোশ্যাল মিডিয়াতে এতদিন একদল আক্রমণ করেছে, এখন আর এক দল করছে, বাকিরাও বাদ রাখবেন কেন?’ কিঞ্জলের ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি গোপন নেই। কারণ সিপিএমের এক সিনিয়র চিকিৎসক তাঁর ক্ষমা চাওয়ার কথা ফলাও করে প্রচার করেছেন। 
‘থ্রেট সিন্ডিকেটে’র বিরুদ্ধে লড়তে নেমেছিলেন কিঞ্জল। এখন তিনি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন, সিপিএমের ‘থ্রেট’ কী! একথা তিনি প্রকাশ্যে বলতে পারবেন না, কিন্তু মরমে মরমে হয়তো উপলব্ধি করবেন আজীবন।
19th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
একনজরে
প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...

গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার তদন্ত নিয়ে ভারতের উপর চাপ বজায় রাখল আমেরিকা। বুধবার ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ভারতের তদন্ত যথাযথ ভাবে হচ্ছে এটা না দেখা পর্যন্ত তারা সন্তুষ্ট হবে না। ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন মুলুকে খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করেছিল ...

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। ...

শারদীয়া উৎসবে সর্বত্র বসেছিল অস্থায়ী দোকান। সকলে ভেবেছিলেন, পুজোর সময় সিঁথি সার্কাস ময়দান লাগোয়া বি টি রোডের ধারে যেমন বসে তেমনই হয়তো বসেছে দোকানগুলি। কিন্তু ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM