Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? নাকি অধিকাংশ আসনেই বিরোধীদের জামানত জব্দ হবে আবারও, বিশেষ করে হঠাৎ গা ঝাড়া দেওয়া বামেদের। আর গেরুয়া শক্তির তীরে এসে তরী ডুববে। যেমন হয়েছে উনিশে, একুশে এবং গত ৪ জুনের লোকসভা ভোটের ফলে। সাড়ে পাঁচ মাস পরও এই আবহে যদি বঙ্গবাসী মমতার জোড়া ফুলের পক্ষেই জনসমর্থন উজাড় করে দেয়, তাহলে বলতেই হবে এবারও বাংলার বদনাম করার ষড়যন্ত্র হার মানল রাজ্যবাসীর সম্মিলিত দৃঢ়তা ও সাহসের কাছে। জানি এরপরও কুৎসা চলবে। নানা ছুতোয় রাজ্যকে অশান্ত করতে চক্রান্তের জাল বোনা বন্ধ হবে না। এক্সিট পোল নানা আজগুবি ইঙ্গিত দেবে দেড় বছর দূরে থাকা বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বের সন্ধ্যায়। কিন্তু যেমন ফুটন্ত হাঁড়িতে একটি ভাত টিপেই বলে দেওয়া যায় সিদ্ধ হয়েছে কি না, তেমনই ৬ আসনের উপ নির্বাচনের ফলই বলে দেবে বাংলার ক্ষমতার অক্ষরেখার বিশেষ কোনও পরিবর্তনের পরিস্থিতি আদৌ কতটা তৈরি!
অভয়ার বিচারের দাবি কানাগলিতে হারিয়ে গিয়েছে সেই কবেই। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে গত দু’সপ্তাহের ঘটনাপ্রবাহ দেখলে বেশ বোঝা যাচ্ছে, নির্যাতিতার বিচারকে ছাপিয়ে গিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের দশ দফা দাবি। তার অনেকটাই কিন্তু মেনে নিয়েছে কিংবা কার্যকর করার আশ্বাস দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস, ওষুধ ও ডায়াগ্নোস্টিক কোম্পানির সঙ্গে সিন্ডিকেট বন্ধের কোনও দাবি সেখানে নেই কেন? জনমানসে প্রশ্ন একটাই, কোনও পরিকাঠামো নির্মাণ কি ২৪, ৪৮ কিংবা ৭২ ঘণ্টায় সম্ভব? কেন্দ্রীয় স্তরে রেফারাল ব্যবস্থা চালু করা, বেড খালির খতিয়ান, টানা ডিউটিতে ক্লান্ত ডাক্তারদের জন্য রেস্টরুম নির্মাণ, নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যামেরা বাড়ানো, ডাক্তারদের জন্য আলাদা টয়লেট, নিরাপত্তা বৃদ্ধি, কাজের পরিবেশের উন্নয়ন সারাবছরই চলতে থাকে। এসবই ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যা যথারীতি আজও চলছে। ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে এত কথা বলা হচ্ছে কিন্তু আজকের সিনিয়র ডাক্তারদের সবিনয়ে প্রশ্ন করি, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, এর এক ফোঁটাও কি ছিল না বাম আমলে জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের জমানায়? বিনা দ্বিধায় বলতে পারি, শুধু ছিলই না আরও কদর্যভাবে খুল্লামখুল্লা ছিল। এবং আজ যাঁরা প্রতিবাদে মুখর তাঁদের অনেকেই সেদিন ছিলেন ভয় দেখানো, হেনস্তা ও মারধরের প্রধান মুখ। আতঙ্কে কেউ মুখ খুলতে পারত না। যুগে যুগে এসবই ক্ষমতার বিষময় ফল। আবার কোনও উচ্চপদে আসীন ব্যক্তির দুর্নীতি ও অপরাধের দায় ষোলোআনা সরকারের উপর চাপানোও অনুচিত। কোনও একটা বিন্দুতে কিংবা সময় বেঁধে তাতে লাইন টেনে দেওয়াও সম্ভব নয়। স্বভাবতই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে লাটে তুলে রাজপথে টানা অনশন কতটা যুক্তিসঙ্গত? মানতেই হবে ঘটনার ১০০ ঘণ্টার মধ্যেই তদন্তভার ন্যস্ত হয়েছে সিবিআইয়ের কাঁধে। সেই থেকে অভয়ার খুন ও ধর্ষণের তদন্ত ও বিচার রাজ্যের হাতে নেই। সিবিআই ও সুপ্রিম কোর্টের হাতে। একাধিক কর্তা, সিনিয়র আমলাকে বদলি করা হয়েছে। একমাত্র স্বাস্থ্যসচিব বাদে। কাকে কোন দায়িত্বে রাখা হবে, তা একটা নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে বিচারের কতটুকু সম্পর্ক। যদি না বাইরে থেকে কোনও উস্কানি থাকে, বৃহৎ কোনও রাজনৈতিক এজেন্ডা কাজ করে থাকে তাহলে চিকিৎসকদের জীবন বাজি রেখে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা। সর্বনাশ হচ্ছে গরিবের। আর ফুলে ফেঁপে উঠছে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম। তাদের গত দু’মাসের ব্যবসা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। রোজগার বেড়েছে অনেক নামী চিকিৎসকের। মুখে না বললেও তাঁরা চাইছেন, এই অরাজকতা চলুক। কে না চায় এই মওকায় দৈনিক আয় দেড় থেকে দ্বিগুণ হোক, অকাল বসন্ত দীর্ঘায়িত হোক! আর নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণকে স্বতঃস্ফূর্ত আখ্যা দিয়ে ফসিল হয়ে যাওয়া বামেরা নতুন করে জেগে উঠতে চাইছে। কিন্তু স্বপ্ন দেখলেও বিশেষ ভরসা রাখতে পারছে না। পাছে লাল ঝান্ডা বের করলেই জমায়েত নিমেষে খালি হয়ে যায়!
সরকার বিরোধী কুৎসা পিছু ছাড়েনি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতেও। পুজোর রাতে মণ্ডপে ভিড় বেশি না ধর্মতলার অনশন মঞ্চে, তা নিয়েও চলেছে বিস্তর আলোচনা। বলা হয়েছে, মা দুর্গাকে দেখতে হলে ধর্মতলা যান। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, আন্দোলনকারীরা বিচার চাইছেন না ক্ষমতা বদল। ক্ষমতা বদল ভারতের মতো কোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের এক অঙ্গরাজ্যে এভাবে হয় না। এটা বাংলাদেশ নয়। পাকিস্তানও নয়। সম্ভবত এই কথাটা তাঁরা হয় ভুলে গিয়েছেন কিংবা ইচ্ছে করে ভুলতে এবং ভোলাতে চাইছেন। সব জেনেও স্বার্থান্বেষী কোনও চক্র তাঁদের বিপথে চালিত করছে। আন্দোলনকারীদের মাথায় ঘুরছে হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকার মাটিতে সংগঠিত ‘দ্রোহ’ পর্বের পুনরাবৃত্তির অবাঞ্ছিত নেশা। সেই কারণেই সিবিআই তদন্ত, বিচার প্রক্রিয়া, সর্বোচ্চ আদালতের উপর আস্থা না রেখে রাজপথে দ্রোহের কার্নিভালের অবতারণা। রেড রোডকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা কার্নিভালের আসল ওজন বোঝা যাবে ভোটের ফলে, নাগরিক পদচারণায় নয়! ‘রাজপথ ছাড়ি নাই’ বলে সদর্পে হুঙ্কার দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। কিন্তু গণতন্ত্রে পথই কি বিচার আদায় করে নেওয়ার আদর্শ মঞ্চ? বোধহয় নয়। তাই এবার অপেক্ষা ভোটের কার্নিভালের, নির্বাচনী মহোৎসবের। অভিশপ্ত ৯ আগস্টের পর তিন মাস পেরিয়ে আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভা আসনে উপ নির্বাচন। গুরুত্বপূর্ণ মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটের পাশাপাশি বাংলা ও উত্তরপ্রদেশের ১৫টি বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনের অপেক্ষা। সবিনয়ে প্রশ্ন করি, এতকিছুর পরও রাজ্যের ৬টি আসনের মধ্যে ক’টায় লড়াই দেওয়ার মতো জায়গায় বিরোধীরা? নাকি তাঁরা ভেবে বসে আছেন ডাক্তারদের অনশন মঞ্চেই বুথ হবে, সেখানেই নিষ্পত্তি হবে কার জনসমর্থন বেশি।
কলকাতার লাগোয়া নৈহাটি ও হাড়োয়া। মেদিনীপুর, তালডাংরা। এবং উত্তরবঙ্গের সিতাই ও মাদারিহাট। আপাতত এই ৬ কেন্দ্রই পাখির চোখ। এক্সিট পোলের বিস্তর কেরামতি বাংলার মানুষ দেখেছে গত জুন মাসে। প্রায় অধিকাংশ সমীক্ষক দলই বুথ ফেরত সমীক্ষায় শাসক দলকে হারিয়ে দিয়েছিল সিংহভাগ আসনে। কিন্তু তার বিন্দুমাত্র কোনও প্রভাব দেখা যায়নি আসল ফলাফলে। বেশিদিন আগের কথা নয়। ৪ জুন বেরিয়েছিল লোকসভার ফল। ৪২-এর মধ্যে ২৮টিতে জিতে শুধু বিরোধীদেরই নিশ্চিহ্ন করেনি শাসক তৃণমূল, ভোট পণ্ডিতদেরও মাথা হেঁট করে দিয়েছে। এক্সিট পোল পণ্ডিতদের মাথা অবশ্য হেঁট হয়েছে সাম্প্রতিক হরিয়ানার ফলেও। একটি নয়, একাধিকও নয় প্রায় সবকটি এক্সিট পোলই সেখানে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। হলফ করে বলতে পারি, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গেও সমীক্ষকদের পূর্বাভাস মিলবে না। তিন সপ্তাহের সামান্য বেশি ব্যবধানে ৬টি কেন্দ্রে ভোট। একুশের ফল অনুযায়ী ছয় আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল পাঁচটিতে। একটি মাত্র আসন আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে বিজেপি জেতে। এত আন্দোলন, দ্রোহ কার্নিভাল, পথে প্রান্তরে বিচার ছিনিয়ে নেওয়ার আকুতির পর কি সেই ফলের কোনও হেরফের হবে? নাকি ৫-১ বদলে এবার শাসকদলের পক্ষে ৬-০ ফল হবে। ভোটটা কিন্তু নাগরিক সমাজ লড়বে না। লড়তে হবে রেজিস্টার্ড রাজনৈতিক দলকে ঝান্ডা কাঁধে নিয়ে। সন্দেশখালি নিয়ে লাগাতার প্রচারের পরও বসিরহাট লোকসভায় ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল। একদা নিরাপদ আসন বলে পরিচিত কোচবিহার লোকসভা আসনটাও হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। তাই সিতাইয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নও বাস্তবায়িত হওয়া কঠিন। মেদিনীপুর, তালডাংরা এবং নৈহাটিতে অঘটনের আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। তার উপর গত আড়াই মাসের আন্দোলনে তৃণমূল বিরোধী ভোট আরও একটু বেশিই কাটাকুটি হবে, আশঙ্কা এমনই। অভয়া আন্দোলন বিজেপির সিলেবাসের বাইরে। এটা মূলত বাম আর অতি বাম নকশালদের কিসসা। সঙ্গে দু’আনা এসইউসি। এই বিচিত্র ভোট কাটাকুটিতে শাসক দলেরই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা। বলা বাহুল্য, বিরোধীদের বুথ সংগঠন জেলায় জেলায় এখনও অত্যন্ত দুর্বল। তাই যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড, গড়িয়া, বাগুইআটি, ধর্মতলায় বিচারের দাবিতে ভিড় হলেও তার প্রভাব দূর জেলার ভোটযন্ত্রে কতটা পড়ল, তা জানার জন্য ২৩ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে আমাদের।
একটা ধারণা আছে, সাধারণত উপ নির্বাচনে শাসকদলই জেতে। কারণ, এই ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার বদলের সুযোগ থাকে না। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গেও ওই ৬টি আসনের ফলাফলে ক্ষমতার হাত বদলের কোনও শঙ্কা কিংবা সম্ভাবনা নেই। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বের পরে রাজ্যে তিনটি বিধানসভার উপ  নির্বাচনে সিপিএম তথা বামেদের পরাস্ত করে জিতেছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। দেড় দশক আগে ২০০৯ সালে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে জিতেছিলেন খগেশ্বর রায়। ওই বছরই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর পশ্চিম আসন (পুনর্বিন্যাসের পরে ওই কেন্দ্রটি এখন আর নেই) থেকে জিতেছিলেন মদন মিত্র। সিপিএম নেতা তথা তৎকালীন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী প্রয়াত হন ২০০৯ সালের আগস্টে। তাঁর কেন্দ্র পূর্ব বেলগাছিয়া (পুনর্বিন্যাসের পরে এই কেন্দ্রটিও এখন আর নেই) সিপিএম প্রার্থী করেছিল সুভাষ-পত্নী রমলা চক্রবর্তীকে। তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে রমলাকে পরাস্ত করেছিলেন সুজিত বসু। সুজিতবাবু এখন বিধাননগর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের দাপুটে দমকল মন্ত্রী। সেরকম কোনও আশার আলো কি এই মুহূর্তে বাম কিংবা গেরুয়া শক্তি দেখতে পাচ্ছে? যদি সত্যি পেত, তাহলে নাগরিক আন্দোলনের আড়ালে মুখ ঢেকে টানা তিন মাস অক্সিজেন খুঁজত না। মুখোমুখি সামনে এসে দাঁড়াত পতাকা হাতে। সেই হিম্মত কিংবা মুরোদ নেই বলেই লাজুক লাজুক মুখ করে তারা স্রেফ সুযোগের সন্ধানে। ভগবান কিন্তু ডরপোক নয়, সর্বদা সাহসীদের সঙ্গেই থাকে। ২৩ নভেম্বর তা আবারও প্রমাণ হবে। বাংলার মানুষ কিন্তু চক্রান্তের জাল কেটে ভোটযন্ত্রে ‘বিচার’ পেতে মরিয়া।
20th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
একনজরে
ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। ...

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় এবার খালি করে দেওয়া হল বকখালি এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেল। বুধবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনও বুকিং নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে ...

মাসে মোট রোজগার দেখিয়েছিলেন, সাত হাজার টাকা। আবেদনপত্রে তা উল্লেখও করেছিলেন। তারপর তরুণীর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন রূপশ্রীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখ কপালে প্রশাসনের কর্মীদের। ...

প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM