Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, যাক, এবার আমাদের হাতে একটা অস্ত্র এল। সরকার পাশে দাঁড়াল। আইন সঙ্গ দিল। কিন্তু তাঁদের অনেকেই জানতে পারেননি, এ ছিল এক দীর্ঘ লড়াই। তাঁদেরই মতো এক যুবতীর। ছ’বছর বয়সে বিয়ে হয়ে আসা, চার সন্তানের মা, সরকারি প্রকল্পে কাজ করা দিনমজুর এবং সমাজের অবক্ষয় নিয়ে সরব হওয়া এক নারী। ভাঁওয়ারি দেবী। রাজস্থানের ছোট্ট এক গ্রামের বধূ। শিশু বয়সে বিয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। ‘নিচু জাতে’র হয়েও গুজ্জর পরিবারের মাত্র ন’মাসের মেয়ের বিয়ে আটকে দিয়েছিলেন তিনি। ফল ভোগ করতে হয়েছিল তাঁকেই। মাঠে কাজ করার সময় পাঁচজন গণধর্ষণ করেছিল ভাঁওয়ারি দেবীকে। তারপর? পুলিস এফআইআর নেয়নি। হাসপাতাল স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেনি। যতক্ষণে জয়পুরের হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষার সুযোগ মিলল, ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করেও লাভ হল না। নিম্ন আদালতে মুক্তি পেয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। কোর্ট বলেছিলে, স্বামী গণধর্ষণ দেখেনি। তথ্য-প্রমাণও নেই। উপরন্তু মহিলা একইসঙ্গে কাকা এবং ভাইপোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। আমাদের দেশের সংস্কার এমন নয়। ভাইপোর সামনে কাকা কখনও ধর্ষণ করতে পারে না। একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন ভাঁওয়ারি দেবী। মায়ের সৎকারেও অংশ নিতে পারেননি তিনি। কিন্তু লড়াই থামাননি। আরও উঁচু আদালতে। আর সমাজেও। তারই ফল ছিল বিশাখা গাইলডাইন। সমাজের নানা স্তরে বাল্যবিবাহ আর মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রচার। সাহসিকতার জন্য পরবর্তীকালে সরকারি পুরস্কারও। ভাঁওয়ারি দেবী জানতেন, নিজের জন্য লড়ছেন না তিনি। তাঁর লড়াই সিস্টেম, সামাজিক অশিক্ষা এবং অশুভের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে তাঁকে জিততেই হবে। 
আজ? আমাদের চিন্তা শুধু স্বার্থের জালে নিজেদের আরও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলা। সবার প্রশ্ন তো একটাই—দিনের শেষে কী পাব? জ্ঞানযোগ, ভক্তিযোগ, ধ্যানযোগ বা কর্মযোগ নয়। একমাত্র প্রাপ্তিযোগ। আগে ওই হিসেবটা করে নিতে হবে। প্রথমেই অবশ্য আসল দাবিটা জানানো যাবে না। একটা মুখোশ সে জন্য সব সময় রেডি রাখতে হবে। বৃহত্তর স্বার্থ জাতীয় কিছু আর কী। যা দেখে স্বার্থপর দুনিয়ার বিবেক নাড়া দিয়ে উঠবে। সে ভাববে, আহা, এতো সবার স্বার্থ ভাবছে! ধীরে ধীরে চাহিদা নির্দিষ্ট হবে। তখন আর সমষ্টি নয়, শুধুই ব্যক্তি। ততদিনে জমিটা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই প্রবণতা যুগে যুগে চলে এসেছে। গণতন্ত্র হোক বা স্বৈরতন্ত্র, কলিকালের এই অভ্যাস বদলানোর নয়। এতে কি সমাজের কোনও উন্নতি হয়? কোনও বদল? না, হয় না। তবে রাজনীতি হয় বিস্তর। আমি, আমার ঘর-সংসার, সন্তান, ভবিষ্যৎ... ভাবতে তো হবেই। তাই তো মানুষ সামাজিক জীব। এটা স্বার্থচিন্তা। কিন্তু নিজের উন্নতির জন্য অন্যের পথে কাঁটা ছড়াতে হয়, তাহলে তা মনুষ্যত্ব নয়। স্বার্থপরতা আর পরশ্রীকাতরতার অদ্ভুত মিশ্রণ। 
এটাই অশুভ, যা সমাজের অন্দরমহলকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। আমরা কিন্তু চিহ্নিত করতে পারছি সেই অশুভ শক্তিকে। কিন্তু দমন করছি না। উল্টে সযত্নে তারই লালন পালন চালিয়ে যাচ্ছি। আর তাই দু’টি বিষয় আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে—সচেতনতা, সঠিক শিক্ষা। চারটে বই পড়লে বা দুটো ডিগ্রি জোগাড় করলেই শিক্ষা মেলে না। শিক্ষিত আমরা তখনই, যখন নিজেদের শুভ এবং অশুভের ফারাক করতে পারব। পরবর্তী প্রজন্মকে শেখাতে পারব স্বার্থচিন্তা ও স্বার্থপরতার তফাৎ। চেনাতে পারব অশুভ শক্তিকে। শ্রীবিষ্ণুর কানের মল থেকে জন্ম হয়েছিল মধু ও কৈটভের। দুই দৈত্য। শ্রীবিষ্ণু তখন যোগনিদ্রায়। দীর্ঘ সময় তপস্যার পর দেবীর বর পেয়েছিল তারা। সুরাসুর কেউ তাদের বধ করতে পারবে না। তারপরই শুরু হয়েছিল মধুকৈটভের উৎপাত। এমনকী স্বয়ং ব্রহ্মাকে হত্যা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল তারা। আতঙ্কিত ব্রহ্মা চেষ্টা করেছিলেন স্তব করে শ্রীবিষ্ণুর যোগনিদ্রা ভাঙাতে। কিন্তু পারেননি। তখন তিনি শুরু করেছিলেন মহামায়ার আরাধনা। কারণ, যে যোগনিদ্রা নারায়ণকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল, তিনি দেবী স্বয়ং। 
খড়্গিনী শূলিনী ঘোরা গদিনী চক্রিনী তথা।
শঙ্খিনী চাপিনী বাণভূসণ্ডীপরিঘায়ুধা।।
আপনি খড়্গধারিণী, ত্রিশূল শোভা পায় আপনার হাতে। এক হাতে নরশির... আপনি ভয়ঙ্করী। গদাধারিণী, চক্রধারিণী, শঙ্খধারিণী, ধনুর্ধারিণী এবং বাণ, ভূশণ্ডী (পুরাণের সেই ত্রিকালদর্শী কাক) ও পরিঘাস্ত্রধারিণী (মুগুরের মতো প্রাচীন অস্ত্র)। এসেছিলেন মহামায়া। ভুবনমোহিনী রূপে দেখা দিয়ে বাধ্য করেছিলেন মধুকৈটভকে শ্রীবিষ্ণুর সামনে নতশির হতে। বধ্য হতে। কী পরিচয় ছিল মধু ও কৈটভের? শুধুই দুই অসুর? কে ছিল মহিষাসুর? বুঝতে হবে... আজকের যুগে দাঁড়িয়ে এরা স্রেফ প্রতীক। অশুভের। সামাজিক অবক্ষয়ের। তারা জানান দিচ্ছে, অজেয় কেউ নয়। অমর কেউ নয়। অহঙ্কার এবং লোভের পথে হাঁটলে গন্তব্য শুধুমাত্র পতনে। আজ না হোক কাল, পতন হবেই। বিচার মিলবেই। শুধু সময় দিতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। দার্শনিক প্লেটো ‘রিপাবলিক’-এ ‘ট্রু ফলসহুড’ সম্পর্কে লিখেছিলেন। কোনও মিথ্যা যদি মানুষের মনে অভেদ্য হয়ে বসে যায়, সত্যিটাকে সে আর দেখতে পায় না। মনে মনে সে তখন একটা যুক্তি তৈরি করে নেয়। পারিপার্শ্বিক প্রমাণ বা তথ্য যদি সেই যুক্তির বিরুদ্ধে যায়, তাহলে তাকে মিথ্যা হিসেবেই মনে করে সেই ব্যক্তি। দোষী বলে যাকে মেনে নেয়, সে সাজা না পেলে ভেবে বসে, ন্যায়বিচার হয়নি। অশুভ যে এটাও! মিথ্যার কারাগারে বন্দি হয়ে পড়েছে আমাদের মনন। কারণ, সময় বদলেছে। অশুভের চরিত্র বদলায়নি। মিথ্যাকে নানা সূত্র থেকে সত্যি বলে চালানোর অপপ্রচার, ফেক নিউজ সমাজের কাঁধে পাহাড়প্রমাণ বোঝা হিসেবে চেপে বসেছে। প্রতিদিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে অশুভ শক্তি। জনসংখ্যা আরও বাড়বে, পৃথিবীর বুকে জমে থাকা রিসোর্স কমবে, আর সেইসঙ্গে শিখর ছোঁবে প্রতিযোগিতা। বেঁচে থাকার। আদিম প্রবৃত্তি আরও বেআব্রু হবে। মনুষ্যত্ব ফিকে হবে প্রতি মুহূর্তে। এটাও কি অশুভ নয়?
অথচ অশুভের বিনাশ করতেই বারেবারে আবির্ভূতা হয়েছেন মহামায়া। পুজো হয়তো আমাদের কাছে একটা উৎসব। আনন্দ। অপেক্ষার চারটে দিন। বছরভরের চাপ থেকে মুক্তির। খানিক বেশি উপার্জনের। কিন্তু দুর্গাপুজো একটা অভ্যাসও। পাড়ার মণ্ডপের পাশের গাছে বাঁধা মাইকে ভেসে আসা চণ্ডীস্তোত্র... মনে করিয়ে দেওয়া, শিকড় ভুললে চলবে না। কর্মকে ভুলে যাওয়া যাবে না। সর্বভূতে বিলীন ‘মা’কে অস্বীকার করা যাবে না। দুর্গাপুজো মানে অশুভের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়েরও। মহামায়ার আরাধনা শুধুই ‘রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি’ নয়। দেবী রূপ, জয়, যশ দেবেন। শত্রুরও বিনাশ ঘটাবেন। কিন্তু কর্ম ও দুষ্কর্মের ভার নিক্তি দিয়ে মেপে। সেখানে স্বার্থসিদ্ধি একমাত্র লক্ষ্য হবে না। তিনি মাকে দেখেছেন... শ্রীরামকৃষ্ণ ঠাকুর বলেছিলেন নরেনকে। ‘ঠিক যেভাবে তোকে দেখছি’। আজ আমরা কি দেখতে পাই তাঁকে? অনুভব করতে পারি? না, পারি না। কারণ, এখন আমাদের কাছে সমষ্টির থেকে স্বার্থ বড়। নিবৃত্তির থেকে প্রবৃত্তি বড়। খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ... বাতাস ভারী হয়ে যাচ্ছে। কারা এরা? কেমন অপরাধী? কোনও রাজনৈতিক দলের? বিকারগ্রস্ত? সমাজের বাইরের কেউ? প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তরই কিন্তু ‘না’। এরা কেউ দাদা, প্রতিবেশী কাকু, কিংবা সহকর্মী। আমরা মিছিল করছি, অবস্থানে বসছি, স্লোগান তুলছি... কিন্তু আমাদের ঘরের ভিতর অন্ধকার কোণ তৈরি করে বসে থাকা অপরাধের বীজটাকে হত্যা করছি না। মা, বোন, স্ত্রী হয়ে শিক্ষা দিচ্ছি না বাড়ির পুরুষকে। যখন সে ঘৃণ্য চোখে পাশের বাড়ির সদ্য কিশোরী মেয়েটির দিকে তাকাচ্ছে, সপাটে তার গালে একটা চড় মারছি না। তখন আমরা চিন্তা করছি ‘সম্মানে’র। ‘ক্লাসে’র। হাতে ধরে থাকা মিহি বালির মতো ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে প্রকৃত শিক্ষা। থেকে যাচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়। অশুভশক্তি। এরপরও ন্যায়বিচারের আশা করব আমরা? আসলে আমরা ভুলে যাই, ঠাকুরের সামনে বসে প্রণাম করলেই তিনি দর্শন দেবেন না। অপরাধীদের শাস্তি দিতে অস্ত্রও তুলে নেবেন না। ওই কাজটা আমাদেরই করতে হবে। সমাজকে করতে হবে। শেখাতে হবে বাড়ির মেয়েকে... সাহসী হতে। আর ছেলেকেও... সম্মান করতে। এইটুকুতেই তো লুকিয়ে আছে অশুভ শক্তির দমন। পুজো মণ্ডপে বসে মন দিয়ে শুনতে হবে প্রতিটি মন্ত্র। স্তোস্ত্র। চিনতে হবে শুভকে। অশুভকেও। নিতে হবে সংকীর্ণ স্বার্থচিন্তা থেকে মুক্তির শপথ। শ্রীচণ্ডী স্তবেই তো আছে, ‘অহংকারং মনো বুদ্ধিং রক্ষেন্মে ধর্মধারিণী।’ অর্থাৎ, দেবী... আমার অহংকার, মন ও বুদ্ধি রক্ষা করুন। অহঙ্কারের অর্থ এখানে আত্মসম্মান, মন হল মনুষ্যত্ব, আর বুদ্ধি সঠিক ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। 
রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি।। 
08th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
একনজরে
প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...

মাসে মোট রোজগার দেখিয়েছিলেন, সাত হাজার টাকা। আবেদনপত্রে তা উল্লেখও করেছিলেন। তারপর তরুণীর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন রূপশ্রীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখ কপালে প্রশাসনের কর্মীদের। ...

প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...

শারদীয়া উৎসবে সর্বত্র বসেছিল অস্থায়ী দোকান। সকলে ভেবেছিলেন, পুজোর সময় সিঁথি সার্কাস ময়দান লাগোয়া বি টি রোডের ধারে যেমন বসে তেমনই হয়তো বসেছে দোকানগুলি। কিন্তু ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM