Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ গণেশ এতশত বুঝত না। ‘তাহার মেজাজের এই আকস্মিক উত্তাপ গণেশের কাছে বড়োই দুর্বোধ্য ঠেকিল। অত তাহার ভবিষ্যতের কথা ভাবিবার, হিসাব করিবার ক্ষমতা নাই। বউ থাকিলে মাঝে-মাঝে ছেলেমেয়ে হয় এই পর্যন্ত সে জানে, সুবিধা অসুবিধার কথাটা ভাবিয়া দ্যাখে না। তা ছাড়া পৃথিবীতে মানুষ আসিলে তাহাকে খাওয়ানোর দায়িত্ব যে মানুষের নয়, যিনি জীব দেন তাঁর, গণেশ এটা বিশ্বাস করে।’ 
একই পথের পথিক দুই চরিত্রকে ভিন্ন সুতোয় গেঁথেছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি সুতো বিশ্বাসের, অন্যটি অনিশ্চয়তা, অবিশ্বাসের। অন্ধকারের মধ্যেও একটি চরিত্র আলোর ঠিকানা খুঁজেছে, আর অন্যটি প্রাপ্তির আনন্দ ভুলে ডুবেছে উদ্বেগ-আশঙ্কার পদ্মানদীতে। প্রশ্নটা দৃষ্টিভঙ্গির। যে যেমন চোখে জীবনকে দেখে, জীবন তার কাছে আসে ঠিক তেমনভাবেই। বিজয়া দশমীতে যখন জলের স্রোতে মায়ের নিরঞ্জন হয়, কারও কারও মন হাঁটা দেয় উদাসের দেশে। কেউ কেউ তখনই আবার প্রশ্ন করে, ‘আগামী বছর সপ্তমীটা কবে?’ ক্যালেন্ডার লেখা শুরু হয়ে যায় তখন থেকেই। মনে মনে। সূচনা হয় নতুন কাউন্ট ডাউনের। দু’জনের মধ্যে ভুলটা কে? কেউ না। শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গির তফাত। গণেশের বিশ্বাস ঈশ্বরে। আর কুবের মাঝির বর্তমান যন্ত্রণায়। আসলে ঘড়ির কাঁটা... ফেলে আসা প্রত্যেক মুহূর্ত জন্ম দেয় কোনও না কোনও ঘটনার। তাতে যেমন ইতিবাচক রসদ থাকে, তেমনই মন চাইলে নেগেটিভ তরঙ্গ খুঁজে পেতেও খুব একটা বেগ পেতে হয় না। ওই যে বললাম, ফারাকটা দৃষ্টিভঙ্গির। এক শিক্ষিকা একবার বলেছিলেন, দূর জেলা থেকে পুজোর ঠিক আগে যখন কলকাতায় ফিরতেন, তার চাপ ভোলার নয়। স্কুলে ছুটি পড়ার আনন্দ প্রবল ভিড়ের ত্রাসে বাসের জানালার ফাঁক গলে কোথায় যেন পালিয়ে যেত। কিন্তু তারপরই তিনি আবিষ্কার করতেন, বাসের ছাদে কারা যেন সব উঠে পড়েছে। জানতেন তিনি, ওরা ঢাকি। পুজোয় যখন তিনি বাড়ি ফিরছেন, তারা চলেছে কাজের সন্ধানে। চলতি বাসের ছাদে বসেই যখন ঢাকে তারা বোল তুলত, সে ছিল এক নির্বিকল্প মাদকতা। ভিড়, ঘাম, অস্বস্তির অনুভূতিগুলো বদলে যেত কাশবনের ফাঁক দিয়ে মা দুর্গার মণ্ডপে যাওয়ার দৃশ্যে। নাঃ, তার মধ্যে কোনও দ্বিধা ছিল না। কোনও স্বার্থ ছিল না। রাজনীতিও না। শুধু ছিল বিশ্বাস। 
এবার পুজোর চারটে দিন পেরনোর পর সত্যি বলতে সেই বিশ্বাসটা কেমন একটু ফ্যাকাশে লাগল। সবই আছে, কিন্তু বিশ্বাসের গেলাসটা কোথায় যেন একটু চিড় খেয়েছে। আর জি করের চারতলা থেকে জন্ম নেওয়া একটি প্রতিবাদ, মানুষের যোগদান, শিয়ালদহ কোর্ট, শীর্ষ আদালত, সিবিআই, সঞ্জয় রায়, নমনীয় সরকার, বাড়তে থাকা দাবি, সরতে থাকা মানুষের কাঁধ, অনশন... এই পুরো ঘটনাক্রমের মধ্যে কোথাও কি বিশ্বাসটাই উধাও হয়ে যায়নি? প্রতিদিন ফিরে যেতে যেতে ডাক্তার এবং সরকারি হাসপাতালের উপর বিশ্বাস হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ। অপারেশনের নির্দিষ্ট ডেট অনির্দিষ্টকালের গর্ভে হারিয়েছে। ঘটিবাটি বিক্রি করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন অনেকেই। সরকারি হাসপাতালে তালা পড়ার জোগাড় হয়েছে, অথচ বেসরকারি চেম্বার চলেছে লাগাতার। বরং আরও বেশি ফুলেফেঁপে উঠেছে। বাংলাদেশের রোগী আসা কমে যাওয়া সত্ত্বেও বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই দু’মাসে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি মুনাফা করেছে। অবিশ্বাস জন্মানোটা কি অস্বাভাবিক?
সিংহভাগ দাবি মেনে নেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের উপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা। কেন? মূলত দু’টি দাবির উপর এখনও চেপে বসে আছেন তাঁরা। প্রথমত, মেডিক্যাল কলেজের নির্বাচন। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ। প্রথমটি অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত। নির্বাচিত সংগঠন সর্বত্র প্রয়োজন। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি শুধু প্রশাসনে পড়ুয়াদের মতামত প্রকাশের সুযোগই দেয় না, ছাত্রছাত্রীদের মানসিকতা এবং বাস্তববোধের সঙ্গে পরিচয়ও ঘটায়। পরবর্তীকালে যে প্রফেশনেই তারা যাক না কেন, রাজনীতির বেসিক জ্ঞানের একটা ইতিবাচক প্রভাব থেকেই যায়। এর আগে মুখ্যসচিব মৌখিক আশ্বাস ডাক্তারদের দিয়েছেন যে, নির্বাচন হবে। কিন্তু তাঁরা চাইছেন লিখিত। প্রথম দাবি। কিন্তু বলতে পারেন, দ্বিতীয় দাবিটি কি নিঃসংশয়? কেউ হয়তো জানতে পেরেছেন, তাঁর কর্তৃপক্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু তার মানে কি তিনি দোষী হয়ে গেলেন? সেই দোষ কোথায় প্রমাণিত হয়েছে? কোন কোর্টে। মিডিয়া ট্রায়াল যদি অন্যায় হয়, পাবলিক ট্রায়ালও তাই।
আন্দোলনকারীরা যদি বলতেন, স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। দোষ প্রমাণ হলে শাস্তি দিতে হবে। সেটা গণতান্ত্রিক এবং সংবিধান সম্মত। কিন্তু অভিযোগ কানে আসা মানেই যদি সাজা দেওয়ার দাবি ওঠে, তাহলে সেটা প্রতিষ্ঠানকেই চ্যালেঞ্জ জানানো নয় কি? কাল আরও পাঁচটা সেক্টর থেকে জুনিয়ররা সরকারের কাছে এসে দাবি করতেই পারে, আমাদের উপরতলাকে পছন্দ নয়। সরাতে হবে। তখন সরকার কী করবে? মেনে নেবে? সেটা কিন্তু হবে না। হতে পারে না। সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। প্রক্রিয়া আছে। আইন আছে। তার বাইরে কেউ নয়। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা জুনিয়র ডাক্তার—কেউই নয়। অর্থাৎ, অবিশ্বাস কিন্তু এক পক্ষের নয়। দু’পক্ষেরই।
লালবাজারের তদন্তে আস্থা না রেখে সিবিআই চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরাই। কিন্তু এখন সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছে। ৫৫ দিন তদন্তের পর তারা যে ‘প্রথম চার্জশিট’ পেশ করেছে, তা আন্দোলনকারীদের মোটেই পছন্দ হয়নি। আরও বেশি কিছু আশা করেছিলেন তাঁরা। মানে এটা কি ধরে নেওয়াই যায়, আর জি করে ধর্ষণ-খুনের ব্যাপারে তাঁরাও বেশ কিছুটা জানেন? তাই শুধু সঞ্জয়কে দোষী হিসেবে মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে? জেনে থাকলে নিশ্চয়ই তাঁরা সিবিআইকে জানিয়েছে। তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা সেইসব তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে চার্জশিট পেশ করল না কেন? উত্তর একটাই হতে পারে—অভিযোগ এবং দাবির সপক্ষে যথাযথ প্রমাণ তাঁরা পাননি। সিবিআইও জানে, দুমদাম কারও নাম চার্জশিটে তুলে দেওয়া যায় না। সেটা প্রমাণ করতে হয় কোর্টে। তাই জুনিয়রদের অবিশ্বাসের কাঠগড়ায় এখন নতুন সংযোজন হয়েছে—সিবিআই। অবিশ্বাস তদন্ত প্রক্রিয়াকে। অবিশ্বাস বিচার ব্যবস্থার উপর।
সময় গড়াচ্ছে। আর সেইসঙ্গে আন্দোলনের মাঝে তৈরি হওয়া ফাঁক ভরাট করছে রাজনীতি। সিপিএম প্রকাশ্যে বলছে, বিরোধী দল না থাকলে আন্দোলন হারিয়ে যাবে। আর দানা বাঁধবে না। একে জিইয়ে রাখতে গেলে তাদের চাই। কয়েকজন বামপন্থী চিকিৎসক ইতিমধ্যে নেতৃত্বের ঝান্ডা নিজে থেকেই হাতে তুলে নিয়েছেন। ডাক্তারদের একাংশ তা মেনে নিয়েছে, অন্য অংশ মানছে না। অভয়ার বিচারের দাবিতে শুরু হওয়া প্রতিবাদের রাজনীতিকরণ চাইছেন না তাঁরা। তাই ফাটল স্পষ্ট। মতের অমিল অনশন নিয়েও। রাজ্য সরকার স্টেটাস রিপোর্ট দিচ্ছে, অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। অসুস্থ হয়ে পড়ছে একের পর দুই, দুইয়ের পর তিন। যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তারা। তরুণ রক্ত। রাজ্যের এবং দেশের ভবিষ্যৎ। প্রতিবাদী মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত এক সিনিয়র চিকিৎসকই বলছিলেন, ‘এটা কি সমাধানসূত্র? এই অনশনের মানে কী? অনশনে বসার পর সরকারকে ডেডলাইন দেওয়ার অর্থ কী? সরকার চাপে পড়েছে, এটা যদি ধরে নিই... তাহলে নিঃসন্দেহে জুনিয়র ডাক্তারদের চাপ আরও বেশি।’ তাঁর কথায় একটা বিষয় স্পষ্ট—সম্মানজনক এসকেপ রুট মিলছে না। নির্বাচন এবং স্বাস্থ্যসচিবকে সরালে, সেটা একটা বেরিয়ে আসার পথ হতে পারে। মানুষকে দেখানো যাবে, এই আমরা জিতলাম। জয় কি সত্যিই এতে আসবে? সরকার এই দাবি মেনে নিলেও কিন্তু জয় আসবে না। কারণ, এর সবটাই হবে ব্ল্যাকমেলের রাজনীতির উপর দাঁড়িয়ে। প্রতিষ্ঠানকে অস্বীকার করে। 
স্কুলবেলায় আমরা প্রায় সবাই একটা গল্প পড়েছিলাম—মধুসূদন দাদা। সেই যে ছোট্ট ছেলেটি ভয় পেত ঘন জঙ্গল পেরিয়ে স্কুলে যেতে। চোখ বন্ধ করে ডাক দিত... মধুসূদন দাদা। তখনই দেখা দিতেন তিনি। জঙ্গল পার করে পৌঁছে দিয়ে আসতেন ছোট্ট ছেলেটিকে। স্কুলের উৎসবে সবাইকে কিছু না কিছু নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। ছেলেটির দায়িত্ব পড়েছিল দই আনার। গরিব, দু’বেলা ঠিকমতো খেতে না পাওয়া মা কীভাবে ছেলের স্কুলের অনুষ্ঠানের জন্য দইয়ের ব্যবস্থা করবেন? মধুসূদন দাদাই দিয়েছিলেন ছেলেটিকে... একটি ছোট্ট পাত্র। শিক্ষক হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এতে সব ছাত্রের হবে নাকি? কিন্তু ওই পাত্রের দই সবটা একজনকে উপুড় করে দেওয়ার পরই অবাক হয়েছিলেন শিক্ষক। পাত্র ফের ভরে গিয়েছে দইতে। সবার হয়েছিল... সমানভাবে। কারণ, ছেলেটি বিশ্বাস রেখেছিল মধুসূদন দাদার উপর। ছেলেবেলায় ওই গল্পটি থেকে আমরা শিখেছিলাম বিশ্বাস করতে। ঈশ্বরের উপর। মানুষের উপর। নিজের উপর। প্রতিষ্ঠানের উপর। এই প্রতিষ্ঠান আমরাই প্রত্যেকে মিলে গড়েছি তিলে তিলে। আমরাই ভোট দিয়েছি। আমরাই বেছে নিয়েছি সরকারকে। পাঁচ বছর সময় আমরাই দিয়েছি তাদের। তাহলে এই অসহিষ্ণুতা, অবিশ্বাস কেন? কেন আমাদের চিন্তাভাবনা আর একটু র‌্যাশনাল হবে না? বাম এবং অতি বাম দলগুলি লাগাতার প্রেস বিবৃতি ইস্যু করছে। ভাষণ দিচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি টুইট করছেন। প্রত্যেকের লক্ষ্য কিন্তু একটাই—সরকার। বিচার নয়। অবিশ্বাসের খোঁচায় সেটা কোথাও একটা মুখ লুকিয়েছে। 
দেবীপক্ষ শেষ হতে চলেছে। চিরাচরিত জীবন। পাওয়া না পাওয়ার টানাপোড়েন। স্বপ্ন দেখা এবং ভেঙে যাওয়া। এই নিয়েই কাটবে একটা বছর। কিন্তু তারপরও থাকবে আশা। আগামীর জন্য। আসছে বছর আবার হবে। এটাই বিশ্বাস... আস্থা। সময়ের উপর। 
শুভ বিজয়া।
15th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
একনজরে
গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার তদন্ত নিয়ে ভারতের উপর চাপ বজায় রাখল আমেরিকা। বুধবার ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ভারতের তদন্ত যথাযথ ভাবে হচ্ছে এটা না দেখা পর্যন্ত তারা সন্তুষ্ট হবে না। ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন মুলুকে খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করেছিল ...

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় এবার খালি করে দেওয়া হল বকখালি এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেল। বুধবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনও বুকিং নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে ...

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। ...

মাসে মোট রোজগার দেখিয়েছিলেন, সাত হাজার টাকা। আবেদনপত্রে তা উল্লেখও করেছিলেন। তারপর তরুণীর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন রূপশ্রীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখ কপালে প্রশাসনের কর্মীদের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM