Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও। 
কালীপ্রসন্ন সিংহ তাঁর হুতোম প্যাঁচার নকশায় ‘কলিকাতার বারোইয়ারি পূজা’র রংদার বিবরণ দিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, সেইসময় কেবল পূজা হতো না, আমোদ-আহ্লাদের নানা আয়োজন থাকত। শুধু যে কলকাতায় বারোয়ারিতলা জমে উঠত তা নয়, কলকাতার বাইরেও কলকাতার দেখাদেখি নানা আয়োজন। হুতোম উবাচ: চুঁচড়োর মত বারোইয়ারি পুজো আর কোথাও হইত না। ‘আচাভো’ ‘বোম্বাচাক’ প্রভৃতি সং প্রস্তুত হইত। ‘সহরের ও নানা স্থানের বাবুরা’ ‘বোট’, ‘বজরা’, ‘পিনেস’ ভাড়া করিয়া সং দেখিতে যাইতেন। গুপ্তিপাড়া, কাচড়াপাড়া, শান্তিপুর, উলো— কলিকাতার নিকটবর্তী এইসকল জায়গাতেও বিশেষ আমোদ জমিত। শান্তিপুরওয়ালারা পাঁচলক্ষ টাকা খরচ করিয়া এক বারোইয়ারি পূজা করেন। সাত বৎসর ধরিয়া সে পূজার উদ্যোগ গ্রহণ করা হইয়াছিল। ষাট হাত উঁচু প্রতিমা, বিসর্জনের দিন ‘পুতুল’ কাটিয়া কাটিয়া জলে নিরঞ্জন করিতে হইল। তাহাতে গুপ্তিপাড়াওয়ালারা মাতার অপঘাত মৃত্যু উপলক্ষে গণেশের গলায় কাছা বাঁধিয়া পূজা বসাইয়াছিলেন— তাহাতেও বিস্তর খরচ হইল। খরচের উত্তর খরচ। হুজুগের উত্তর হুজুগ। এ বলিতেছে আমায় দেখ, ও বলিতেছে আমিই বা কম কী! কলিকাতায় পূজা ঘিরিয়া বাবুতে বাবুতে ঠোকাঠুকি, মোসাহেবদের পারস্পরিক তরজার শেষ নাই। শরৎকালের শহর যেন উল্লাসে টগবগ করিয়া ফুটিতেছে। এক বাবু উঠিতেছেন আর এক বাবু পড়িতেছেন...
প্রাকৃতিক দুর্যোগও বার বার হানা দিয়েছে এই সময়ে। কলকাতার ইতিহাসের সব থেকে ভয়ঙ্কর দুর্যোগের মধ্যে দু’টি বিধ্বংসী ঝড় (১৭৩৭ ও ১৮৬৪ সালে) এসেছিল এই আশ্বিনেই। ১৮৬৪-র সেই আশ্বিনের ঝড় আসে দেবীপক্ষের পঞ্চমীর দিন সকাল দশটায়, চলে বেলা তিনটে পর্যন্ত। সেই ঝড়বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি আজও মাইলফলক হয়ে আছে। পুজোর আয়োজন প্রভাবিত হলেও, শোভাবাজারের দেব বাড়ি বা বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের বাড়ির মতো প্রাক্‌-বারোয়ারি যুগে বনেদি বাড়ির পুজো সে বার নিয়ম মেনেই হয়েছিল। আঠেরো-উনিশ শতকের বাংলায় বারংবার ফসলহানি, সেই সঙ্গে দেশে আকাল ও দুর্ভিক্ষ হলেও কলকাতায় অকালবোধন কিন্তু স্তব্ধ হয়ে যায়নি। উনিশ শতকের মাঝামাঝি বাবু ভোলানাথ চন্দ্র তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত ‘ট্রাভেল অব আ হিন্দু টু ভেরিয়াস পার্টস অব বেঙ্গল অ্যান্ড আপার ইন্ডিয়া’ বইতে (১৮৬৯) জানাচ্ছেন, ১৮৬৬-র দুর্ভিক্ষের বছরে কলকাতায় দুর্গাপুজোর সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছিল, কিন্তু তাতেও প্রায় হাজারখানেক বাড়িতে জ্বলে উঠেছিল সন্ধিপুজোর প্রদীপ। আকালের বছরগুলিতে পুজোর অঙ্গ হিসেবে জোর দেওয়া হয়েছিল ব্রাহ্মণ ও দরিদ্রনারায়ণ সেবার মতো আয়োজনেও।
একসময় এই পুজোর সমারোহ নিয়েও আপত্তি উঠেছিল। আপত্তি তুলেছিলেন সেই নব্য শিক্ষিতরা। যাঁরা একেশ্বরবাদী, মূর্তিপূজা-বিরোধী, ব্রহ্মের উপাসক। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন: এক সময় তিনি রামমোহনকে দুর্গাপুজোর উৎসবে নিমন্ত্রণ করতে যেতেন। ‘রামমণি ঠাকুরের নিবেদন, তিন দিন আপনার প্রতিমা দর্শনের নিমন্ত্রণ।’ রামমোহন সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন না। উল্টে দেবেন্দ্রনাথকে বুঝিয়ে ছাড়লেন, ঈশ্বর কায়াহীন, শারীরিক অস্তিত্বহীন এক অনুভব। ঈশ্বরীয় ভাবনা দৈহিক নয়, চৈত্তিক। প্রতিমার বোধন সংক্রান্ত লোকাচারে নয়, চৈত্তিক উদ্বোধনে ঈশ্বরীয় বোধের দীপন। এই কথাটা বুঝে ফেলার পরিণামে দেবেন্দ্রনাথের মনোলোকে ওলটপালট। তিনি তাই আত্মজীবনীতে লিখলেন, ‘যখনই আমি বুঝিলাম যে ঈশ্বরের শরীর নাই, তাঁহার প্রতিমা নাই, তখন হইতে আমার পৌত্তলিকতার উপর ভারি বিদ্বেষ জন্মিল।’ দেবেন্দ্রনাথ ও তাঁর ভাইরা দলবেঁধে শপথ নিলেন, ‘পূজার সময়ে আমরা পূজার দালানে কেহই যাইব না, যদি কেহ যাই, তবে প্রতিমাকে প্রণাম করিব না।’ আপত্তি কেবল দার্শনিকতার মধ্যে আবদ্ধ রইল না। পুজো পালন পদ্ধতির মধ্যে যে সমারোহের ও অপব্যয়ের বাহুল্য রয়েছে তার বিরুদ্ধেও দেবেন্দ্রনাথ সরব হয়েছিলেন। ব্রাহ্মধর্মাবলম্বীরা অবশ্য তাঁদের শীলিত বৌদ্ধিক ধর্মের আন্দোলনে জনসাধারণকে বিপুল পরিমাণে আকর্ষণ করতে পারেননি, তবে তাঁদের এই প্রশ্নশীলতা দেবী দুর্গার অপর এক রূপ নির্মাণ করেছিল। তা বারোয়ারি হুজুগ নয়, বৌদ্ধিক ও দার্শনিক। এই বোধ প্রজন্মান্তরে রবীন্দ্রনাথে সংক্রমিত।
কিন্তু সেই রবীন্দ্রনাথও ভেসে গিয়েছিলেন শারদীয় আলোর বেণুর সুরে। ভুবন যখন মেতে ওঠে দুর্গাপুজোর অবকাশে তখন তাঁর পুতুল পুজোর বিরোধিতা কেমন যেন মাতাল হয়ে নিজেকেই খুইয়ে ফেলে। ২২ অক্টোবর, ১৯০৩ (১৩১০ বঙ্গাব্দের ৬ কার্তিক)-এ লেখা একটা চিঠিতে কাদম্বিনী দেবীর কাছে মনের আগল হাট করে খুলে দেন কবি। 
লেখেন, ‘সাকার নিরাকার একটা কথার কথা মাত্র। ঈশ্বর সাকার এবং নিরাকার দুই-ই। শুধু ঈশ্বর কেন আমরা প্রত্যেকেই সাকারও বটে নিরাকারও বটে। আমি এ সকল মতামত লইয়া বাদ-বিবাদ করিতে চাই না। তাহাকে রূপে এবং ভাবে, আকারে এবং নিরাকারে কর্মে এবং প্রেমে সকল রকমেই ভজনা করিতে হইবে। আকার তো আমাদের রচনা নহে, আকার তো তাঁহারই।’
সমাজমনস্ক সৃজনকার হিসেবে কবি বাঙালির প্রাণের দেবীকে তাঁর রচনার বৃত্ত থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেও পারেননি। দুর্গাপুজো তাই রবীন্দ্র রচনাসম্ভারে আপন আসন খুঁজে নিয়েছে। ‘সংসারে প্রতিদিন আমরা যে সত্যকে স্বার্থের বিক্ষিপ্ততায় ভুলিয়া থাকি উৎসবের বিশেষ দিনে সেই অখণ্ড সত্যকে স্বীকার করিবার দিন— এই জন্য উৎসবের মধ্যে মিলন চাই। একলার উৎসব হইলে চলে না।’ এই অনুভব রবীন্দ্রনাথেরই।
রবীন্দ্রনাথ কোনও ভাবেই নিজের রচনায় দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ উপস্থাপন থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেননি। ছড়া থেকে গানে, কবিতায় গল্পে এবং উপন্যাসে, সৃজনের যাবতীয় বিভঙ্গে দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন, তুলে ধরেছেন, গেঁথে দিয়েছেন। কারণ, সমাজমনস্ক এই স্রষ্টা জানতেন, দুর্গাপুজো বাদ দিলে বঙ্গজীবনচর্যা কীটদষ্ট অসম্পূর্ণতায় আক্রান্ত হয়। নৈকষ্য বাঙালিয়ানা অধরা থেকে যায়। ফলে, রবীন্দ্রনাথের ছড়ায় কবিতায়, গানে, গল্পে, উপন্যাসে নানাভাবে বিচিত্র বিভঙ্গে দুর্গাপুজো প্রসঙ্গ চলকে চলকে উঠেছে। কবি যখন লেখেন, ‘আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজি/ পূজার সময় এল কাছে।/ মধু বিধু দুইভাই ছুটাছুটি করে তাই আনন্দে দু-হাত তুলি নাচে।’ তখন পুজোর সাজের আনন্দ-বেদনা সুপরিস্ফুট হয়ে ওঠে। আবার যখন তিনিই লেখেন, ‘আনন্দময়ীর আগমনে, / আনন্দে গিয়েছে দেশ ছেয়ে।/ হেরো ওই ধনীর দুয়ারে। দাঁড়াইয়া কাঙালিনী মেয়ে।’ তখন টের পাওয়া যায় রবিকবি আসলে ছন্দোবদ্ধ মাধুরী ঢেলে একটা গল্প লিখতে চাইছেন। সেটা সুখ-দুঃখের গল্প, আনন্দ-বেদনার গল্প, হাসি-কান্নার হিরে পান্না দিয়ে সাজানো এক শূন্যমনা কাঙালিনী মেয়ের গল্প। ‘আগমনী’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ অনবদ্য ভঙ্গিতে ফুটিয়ে তুলেছেন বাঙালির ঘরের মেয়ে উমার পিত্রালয়ে প্রত্যাবর্তনের সংবাদ। ‘আজ মেনকার আদরিণী উমা/ আসিবে 
বরষ-পরে।/ তাইতে আজিকে হরষের ধ্বনি/ উঠিয়াছে ঘরে-ঘরে।’
৫ অক্টোবর, ১৮৯৪। বাংলায় তখন শারদীয় আনন্দ উৎসবের প্রহর আসন্ন। চতুর্থী কিংবা পঞ্চমী তিথিতে রবীন্দ্রনাথ ভাইঝি ইন্দিরা দেবীকে একটা চিঠিতে লেখেন, ‘কাল দুর্গাপুজো আরম্ভ হবে, আজ তার সুন্দর সূচনা হয়েছে। ঘরে ঘরে সমস্ত লোকের মনে যখন একটা আনন্দ হিল্লোল প্রবাহিত হচ্ছে, তখন তাদের সঙ্গে সামাজিক বিচ্ছেদ থাকা সত্ত্বেও সে আনন্দ মনকে স্পর্শ করে।’ অর্থাৎ, ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী, নিরাকারবাদী, একেশ্বরের উপাসক রবীন্দ্রনাথও সনাতন হিন্দুধর্মের প্রাণঢালা উৎসবে নিজেকে বিযুক্ত রাখতে পারেননি। বাঙালির প্রাণের উৎসব তাঁর প্রাণেও ঢেউ তোলে। ‘যিনি নানা স্থান হইতে আমাদের সকলকে একের দিকে আকর্ষণ করিতেছেন, যাঁহার সম্মুখে, যাঁহার দক্ষিণকরতলচ্ছায়ায় আমরা সকলে মুখামুখি করিয়া বসিয়া আছি, তিনি নীরস সত্য নহেন, তিনি প্রেম। এই প্রেমেরই উৎসবের দেবতা— মিলনই তাঁহার সজীব সচেতন মন্দির।’ এই স্বকীয় উপলব্ধিও রবীন্দ্রনাথেরই।
১৮ মার্চ, ১৯১২-তে কাদম্বিনী দেবীকে লেখা পত্রে আরও অকপট রবীন্দ্র-ভাবনা। ‘প্রতিমা সম্বন্ধে আমার মনে কোনও বিরুদ্ধতা নেই। অর্থাৎ যদি কোনও বিশেষ মূর্তির মধ্যেই ঈশ্বরের আবির্ভাবকে বিশেষ সত্য বলে না মনে করা যায় তাহলেই কোনও মুশকিল থাকে না। তাকে বিশেষ কোনও একটি চিহ্নদ্বারা নিজের মনে স্থির করে নিয়ে রাখলে কোনও দোষ আছে, একথা আমি মনে করি না। কিন্তু এ সম্বন্ধে কোনও মূঢ়তাকে পোষণ করলেই তার বিপদ আছে।’
আসলে দেবী দুর্গাকে ঘিরে নানা ভাবের উত্থানপতন একালেও প্রতীয়মান। তবুও আনন্দময়ীর আবাহন মন্ত্রকেই অস্ত্র করে লড়তে প্রস্তুত তিলোত্তমা-সহ গোটা বাংলা। ঠিক যেভাবে কয়েক শতক ধরে সে দুর্গাপূজা থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সংগ্রামের রসদ জোগাড় করে এসেছে। এ বাংলা আজ মৃন্ময়ীর মধ্যে চিন্ময়ীকে কল্পনা করে। বাঙালির দুর্গাপুজো আজ নানা রূপ ও রূপান্তরের মধ্য দিয়ে শুধু ধর্মের বিষয় না থেকে তার সমাজ-সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই উৎসব আজ সমারোহ আর শিল্পকলা মিলিয়েছে। উৎসবকে ঘিরে বহু মানুষ উপার্জনের উপায় খুঁজে পেয়েছেন। কোনও দুঃসময়ই বাধ সাধে না দুর্গোৎসবের উদ্দীপনায়। আশ্বিনের শারদপ্রাতে আকাশে যখন সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায় তখন বাঙালির হৃদয় জুড়ে উৎসবের অনুরণন জাগবেই। কোনও রাজনীতি, প্রতিবাদ, স্লোগান তাকে আটকাতে পারে না!  কারণ, বাঙালির দুর্গাপূজা বিভেদ করতে শেখায় না। বাঙালির দুর্গা আনন্দদায়িনী, বিরোধকামিনী নন।
কবি উপলব্ধি করেছিলেন, ‘একদিকে সত্য, অন্যদিকে আনন্দ, মাঝখানে মঙ্গল। তাই এই মঙ্গলের মধ্য দিয়েই আমাদের আনন্দলোকে যেতে হয়।’ দুর্গাপুজোয় সমাজমঙ্গলের মধ্য দিয়েই উৎসবের আঙিনা থেকে আনন্দলোকে গমন। বাংলার দুর্গাপূজা আজ ধর্মকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া একটি উৎসব উত্তীর্ণ হয়েছে প্রকৃত সর্বজনীনতায়— যে আনন্দযজ্ঞে সবার নিমন্ত্রণ। সবাইকে শারদীয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
10th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
একনজরে
প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। ...

শারদীয়া উৎসবে সর্বত্র বসেছিল অস্থায়ী দোকান। সকলে ভেবেছিলেন, পুজোর সময় সিঁথি সার্কাস ময়দান লাগোয়া বি টি রোডের ধারে যেমন বসে তেমনই হয়তো বসেছে দোকানগুলি। কিন্তু ...

প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM