Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই।
তারই মাঝে যে অমল ধবল পালে হাওয়া লাগে। হাওয়া বয়ে যায় মন্দ মধুর ছন্দে। প্রকৃতির আচরণের এই নিরপেক্ষতা কে আটকাবে! তাই কবিকে প্রতিবারই শরতে বলতে হয়, ‘দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া’। সেই নৌকা, তিনি লক্ষ করেন, কোনও এক সাগরের পার, অজানা সুদূর থেকে অমূল্য ধনসম্পদ বয়ে আনে। সব চাওয়া-পাওয়া ফেলে সেই আনন্দে কবি এখন শুধু ভেসে যেতে চান। পিছনে মেঘের গুরু-গর্জন, জল ঝরছে অঝোরে। কবি সেসব পরোয়া করতে চান না। কেননা মেঘের ঘনঘটা ছিন্ন করে তাঁর মুখে সোনারোদ এসে পড়েছে। তিনি সেই পবিত্র আলোয় স্নাত হতে চান আজ। বিপন্নতা বোধ করলেই আমরা কাণ্ডারীকে খুঁজি। কবিও খুঁজে পেয়েছেন তাঁকে, যিনি সমস্ত হাসিকান্নার ধন। তিনি সেই পরমাত্মার কাছে জানতে চান, ‘কোন সুরে আজ বাঁধিবে যন্ত্র, কী মন্ত্র হবে গাওয়া।’ এতক্ষণ যাঁকে নিয়ে এত কথা হল, তাঁর বিচরণ মনোজগতে, ভাবনার জগতেই কেবল। কিন্তু সেই দেবী নিজেকে বেশিক্ষণ লুকিয়ে রাখতে পারলেন না তো! কবিকে তাই আনন্দে গেয়ে উঠতে হল, ‘আমার নয়ন-ভুলানো এলে’। কবি যখন আমাদের হৃদয়ের কাছে মুখটি বাড়িয়ে এই গান ধরেন, তখন বঙ্গসন্তানের মাদুর্গা ছাড়া আর কারও মুখই মনে আসে না বোধহয়। শিশির ভেজা ঘাসে ঘাসে অরুণ রাঙা চরণ ফেলে এগিয়ে আসছেন তিনি। আবির্ভূত হচ্ছেন দশ হাত দিয়ে মেঘের আবরণ ছিঁড়ে ছিঁড়ে। অমনি আমাদের হিয়ার মাঝে সোনার নূপুর বেজে উঠছে। এই চরম দুর্দিনে বরাভয়ও জাগছে বইকি। কেননা, ‘ডান হাতে যার খড়্গ জ্বলে, বাঁ হাতে করে শঙ্কাহরণ/ দুই নয়নে স্নেহের হাসি, ললাটনেত্র আগুনবরণ।’ হবে নাই-বা কেন? তিনিই তো মহাশক্তি—শুধু সন্তানের জন্ম দেন না, তাকে সবরকমে লালন-পালন করেন এবং তাঁর হাতে দুষ্টের দমনও চলে সমানে—আমাদের বাঁচা ও বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে অনাবিল রাখতে।
আজ মহাষষ্ঠী। দেবী বছরে একবারই সপরিবারে আসেন আমাদের মাঝখানে। তিনি ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছেন। প্রথমে জানতে চেয়েছি, ‘শরতে আজ কোন্ অতিথি এলে প্রাণের দ্বারে।’ কিন্তু তিনি স্বয়ংপ্রকাশিত হতেই সেই আমরাই বলেছি, ‘আনন্দগান গা রে হৃদয়, আনন্দগান গা রে’ এবং ‘তোমার মোহন রূপ কে রয় ভুলে।’ আমাদের মন প্রাণ সমস্ত সত্তা দিয়েই তাঁকে বরণ করে নিয়েছি আমরা। কিন্তু এইভাবে যাঁকে কাছে পেয়েছি এবং বুকের মাঝখানে সবচেয়ে দামি আসনখানি পেতে দিয়েছি, তিনি কি আর আমাদের দূর গ্রহের কেউ রইলেন? তিনি আর কঠিন কঠোর কোনও দেবতা থাকতে পারলেন কি একটুও? ভারতীয় সংস্কৃতি তাঁকে আত্মার আত্মীয়, পরমাত্মীয় করেছে। তাঁর ঠাঁই হয়েছে আমাদেরই তৈরি ঘরে। প্রয়োজনে তাঁকে সন্তানের স্নেহ ভালোবাসাও দিই—প্রিয় বস্ত্র ও অলংকার পরাই, সবচেয়ে সুস্বাদু খাবারটি খাওয়াই, পাখা নেড়ে হাওয়া করি, ঘুম পাড়াই, তাঁকে গান শোনাই, তাঁকে ঘিরে বাদ্যসহকারে নৃত্য করি, আমাদের ইহজাগতিক সমস্ত সুন্দরই উজাড় করে দিই তাঁর কাছে।
এমন আনন্দের পরিসরে কে আর গণ্ডি এঁকে দিতে চায়, কে চায় যে তা ছোট হোক। আমাদের সহজাত আকাঙ্ক্ষাই এমন আনন্দের দু-কূল ভাসিয়ে দিয়েছে—এবারও। করোনা মহামারীর রক্তচক্ষুও পুজোর আনন্দ থেকে বাঙালিকে দূরবর্তী করতে পারেনি। বাংলাদেশ পরিস্থিতি, আর জি কাণ্ড, বন্যা, মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ যুদ্ধের আবহ প্রভৃতি একজোট হয়ে এবারও বাঙালিকে গৃহবন্দি করতে পারেনি। বস্তুত মহালয়া পার করে দেবীপক্ষে প্রবেশ করতেই শহর কলকাতা, শহরতলি, কল্যাণী ছাড়িয়ে বাংলার প্রায় সর্বত্র মানুষ পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে। ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঠাকুর দেখেছেন। এসে গিয়েছেন যথারীতি বিদেশি অতিথিরাও।
দেবদেবী আমাদেরই হাতে সাকার হলেও ভিতরে ভিতরে নিরাকারই তাঁরা। মৃত্যু বা বিনাশ বলে কিছু নেই তাঁদের। তাই মাদুর্গা এবং তাঁর চার সন্তান—গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে এক কাঠামোয় বিসর্জন দিতে পারি আমরা। বিচ্ছেদ বিরহ মাত্রই দুঃখের কষ্টের যন্ত্রণার। তবু আমরা মাটির প্রতিমাকে বিসর্জন দেব, এমনকী শোভাযাত্রাসহকারে। এ‍টা আমরা পারব, কেননা আমাদের হৃদয় জুড়ে থাকবে মায়ের চিন্ময়ী রূপখানি। আমরা আরও জানি, ‘আসছে বছর আবার হবে’। মা তো চিরদিনের জন্য সন্তানকে ফেলে যান না। তাঁর প্রস্থানের প্রতিটি পদক্ষেপে লেখা হয়ে যায় আগমনির সুর। প্রতিমা বিসর্জন দিয়েই আমরা মগ্ন হয়ে যাই তাঁর আগমনের কাউন্ট ডাউনে। কিন্তু দেবী যতক্ষণ পুজোমণ্ডপে অধিষ্ঠিত রয়েছেন ততক্ষণ তাঁকে ঘিরেই চলবে আমাদের আনন্দযজ্ঞ। আজকের দিনটি ধরে, আনন্দ লুটে নেওয়ার আরও চারদিন আমাদের হাতে। সবাই ঠাকুর দেখুন, আনন্দ করুন। তবে এসব কোনোভাবেই যেন অন্যের দুঃখকষ্ট, এমনকী সামান্য অসুবিধারও কারণ না-হয়, সবটাই করতে হবে দেশজ রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং অবশ্যই আইনকানুন মেনে। আনন্দের আতিশয্য যেন নিজেরও বিপদের কারণ না-হয় কোনোভাবে, তার নিশ্চয়তা নিজেকেই দিতে হবে।
বিবর্তন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। দুর্গোৎসবও তার অংশভাক। ভগবান রামচন্দ্র দেবীর অকালবোধন করেছিলেন। রামচন্দ্র ভারতবাসীর আদর্শ রাজা। প্রতিটি মানুষ রামরাজ্যের বাসিন্দা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে। কিন্তু স্বাধীন ভারতও রামরাজ্য উপহার দিতে পারেনি। উল্টে শ্রীরামচন্দ্রের পবিত্র মূর্তি আর জন্মতিথি ঘিরে ‘প্রজাদের’ যার পর নাই দুঃখ-যন্ত্রণা দেওয়ার চেষ্ট‍ায় থাকেন একদল স্বঘোষিত রামভক্ত! রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার ফয়সালা রাজনীতির কারবারিরাই করুন। সাধারণ মানুষ তার মধ্যে না ঢুকে দেবীর অকালবোধনকে গ্রহণ করে ভালোই করেছে। তবে বঙ্গদেশে শরতে দেবী দুর্গার আরাধনার প্রাচীনত্ব নিয়ে বিতর্ক মেটেনি। এমন বিতর্কে কান না দিয়ে মানুষ দুর্গোৎসব উদযাপনেই মন প্রাণ ঢেলে দিয়েছে। তার ফলে ব্যাপারটি দিকে দিকে সুন্দরের প্রতিযোগিতার রূপ পেয়েছে। প্রত্যেকবার আরও সুন্দর করাই পাখির চোখ সকলের। সূচনা পর্বে প্রতিযোগিতায় ছিল ধনাঢ্য পরিবারগুলি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—বড়িশায় সাবর্ণ রায়চৌধুরী, শোভাবাজারে নবকৃষ্ণ দেব, কুমোরটুলির গোবিন্দরাম মিত্র, নদীয়ার কৃষ্ণচন্দ্র রায়, প্রাণকৃষ্ণ সিংহ, কেষ্টচন্দ্র মিত্র, রামহরি ঠাকুর, বারাণসী ঘোষ, দর্পনারায়ণ ঠাকুর, রামদুলাল দে সরকার, সুখময় রায়, মদনমোহন দত্ত, কেষ্টচন্দ্র মিত্র, বৈষ্ণবচরণ শেঠ, রূপলাল মল্লিক, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর, প্রাণকৃষ্ণ হালদার, মতিলাল শীল প্রভৃতি পরিবার। একেক পরিবারের একেক দিকে নামডাক হয়। প্রবাদে পরিণত হয়—মা এসে গয়না পরেন জোড়াসাঁকোর শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়িতে, ভোজন করেন অভয়চরণ মিত্র বাড়িতে আর রাতে নাচগান দেখেন শোভাবাজার রাজবাড়িতে।’ দাঁ মশাই নাকি প্যারিস থেকে হিরে চুনি পান্নার গয়না গড়িয়ে এনেছিলেন! সেকালের পারিবারিক পুজোর জাঁকই, কলকাতাসহ বাংলার বিভিন্ন বিগ বাজেটের সর্বজনীন পুজোগুলিতে এসে পড়েছে নাকি?
আমরাও এই বিবর্তনের অংশীদার ও সাক্ষী থেকে সামনে সুন্দরের দিকেই এগিয়ে যাই তবে। ওইসঙ্গে গ্রহণ করি পুজোর দু-দুটি অনবদ্য উপহার। অবশেষে এসেছে আমাদের প্রাণের ভাষা, বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি এবং ঘোষিত হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার নির্ঘণ্ট। মাতৃভাষার এই কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি নিয়েই যেন আমরা থেমে না যাই। এতে আমাদের দায়িত্ব বরং বেড়ে গেল। বাংলাভাষার চর্চা ও ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। বাংলাভাষায় ধারাবাহিকভাবে লিখতে হবে আরও ভালো ভালো বই। স্টাইল মেরে ‘বাংলিশ’ বা ‘বাংহি’ বলার প্রবণতা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে ক্রমে। এই অবাঞ্ছিত স্টাইল হীনমন্যতা থেকেই। আমরা নিশ্চয় চাইব না, ‘ধ্রুপদী’ তকমা নিয়ে বাংলাকেও সংস্কৃতের মতো ‘ডেড ল্যাঙ্গুয়েজ’ করে ফেলতে। উচ্চশিক্ষার প্রধান বাহন এবং সরকারি কাজে ও আদালতে বাংলাভাষার ব্যবহার বৃদ্ধি ছাড়া কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে কোনোদিনই পৌঁছতে পারব না আমরা। এবারের বইমেলা যেন বাংলাভাষার এই বিরাট স্বীকৃতির সঙ্গে যথাযথ সংগত করতে পারে, এই প্রত্যাশাও থাকবে আমাদের। তবেই পুজো দেখার সঙ্গে পুজোর উপহার দুটিও আমাদের জন্য যথার্থ আনন্দদায়ক হয়ে উঠতে পারবে।
09th  October, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

08th  October, 2024
একনজরে
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় এবার খালি করে দেওয়া হল বকখালি এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেল। বুধবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনও বুকিং নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে ...

প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...

প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...

মাসে মোট রোজগার দেখিয়েছিলেন, সাত হাজার টাকা। আবেদনপত্রে তা উল্লেখও করেছিলেন। তারপর তরুণীর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন রূপশ্রীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখ কপালে প্রশাসনের কর্মীদের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM