বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশেই অযোধ্যা। উত্তরপ্রদেশেই প্রয়াগরাজ। আর উত্তরপ্রদেশেই চরম পরাজয় বিজেপির। যেখানে নাকি সবথেকে বড় দুই ডাবল ইঞ্জিন ব্র্যান্ড রয়েছেন। মোদি-যোগী। এই ব্র্যান্ডকে উত্তরপ্রদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে শুক্রবার তোপ দেগেছেন বিজেপি জোটেরই এক শরিক নেতা ওমপ্রকাশ রাজভড়। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের অনগ্রসর ভোটব্যাঙ্কের জন্য রাজভড়ের ক্ষুদ্র দলের সঙ্গে জোট করেছিল বিজেপি। সেই রাজভড় বলেছেন, যোগী ও মোদি, দুই ব্র্যান্ডকেই মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। যা ফলাফল, হয়েছে, সেটা থেকে স্পষ্ট যে, এই দুই নেতার দলকে জেতানোর ক্ষমতা নেই। রাজভড়ের এই বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে উত্তরপ্রদেশ বিজেপিতে তোলপাড়। সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির এই নেতাকে কড়া বার্তা দেওয়ার পর শনিবার তিনি নিজেকে সামলে নিয়ে ভুল স্বীকার করেছেন। কিন্তু ড্যামেজ কন্ট্রোল হয়নি।
শনিবার গোরক্ষনাথ মন্দিরে যান সরসঙ্ঘচালক। যে মন্দিরের প্রধান মোহন্ত যোগী আদিত্যনাথ। ঘটনাচক্রে শনিবারই সেখানে আসেন যোগী আদিত্যনাথ। জানা যায়, যোগী এবং মোহন ভাগবতের মধ্যে বৈঠক হবে। লোকসভা ভোটের পর থেকে নরেন্দ্র মোদি কিংবা অমিত শাহের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত বৈঠক করেননি ভাগবত। সরাসরি যোগীর সঙ্গে কেন বৈঠক করলেন? কেন গেলেন গোরক্ষনাথ মন্দিরে? এই চর্চা জোরদার হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে লোকসভা ভোটের ফলাফল খারাপ হওয়া যে এজেন্ডায় ছিল, সেটা নিয়ে সন্দেহ নেই। এখনও পর্যন্ত উদ্ধত, অহংকারী, দাম্ভিক ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে পরোক্ষে লাগাতার কড়া বার্তা দিচ্ছে আরএসএস। কিন্তু যোগীকে সেভাবে কটাক্ষ করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। তাই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সঙ্ঘ ও বিজেপির অভ্যন্তরীণ রসায়নে বদল ঘটছে?