বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানে বৃষ্টির জলে তেমন ক্ষতি হয়নি। ডিভিসি ব্যাপক জল ছাড়ায় মুণ্ডেশ্বরী ও দামোদরের বাঁধ উপচে পড়ে। জামালপুর, রায়না-২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে জল ঢুকে যায়। কয়েকশো পরিবারকে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় এখনও অনেকেই অন্যত্র বসবাস করছেন। ডিভিসি মাত্রাতিরিক্ত জল না ছাড়লে এই পরিস্থিতি হতো না বলে আধিকারিকদেরও দাবি। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, দুপুরে তিনি জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে বৈঠক করবেন বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার সমস্ত বিধায়ক, সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। রবিবার দুপুরে আচমকা বৈঠক করার কথা বলা হয়। তারপরই ছুটির দিনে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। এক আধিকারিক বলেন, বৃষ্টি এবং ডিভিসির ছাড়া জলে জেলায় প্রায় ৪০০টি মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সব্জি চাষও ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। জল জমে বহু সব্জির জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধান চাষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রায়না-২ ব্লকে সবচেয়ে বেশি ধানজমি ক্ষতি হয়েছে। এই সমস্ত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর সামনে পেশ করা হবে। কয়েকদিন আগে রাজ্যের পাঁচজন মন্ত্রী জেলায় এসে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে প্রতিটি দপ্তরকে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেদিনই প্লাবিত এলাকা ঘুরে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং স্বপন দেবনাথ ডিভিসিকে তোপ দাগেন। তাঁরা দাবি করেন, ডিভিসির দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্যই উৎসবের আগে বাংলার মানুষকে বিপদে পড়তে হয়েছে। রাজ্যকে না জানিয়ে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এবার মূলত প্লাবিত এলাকাগুলিতে দ্রুত কাজ করার নির্দেশ দেবেন। কিছু রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছে। এছাড়া মাটির বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় বহু পরিবার বিপাকে পড়েছে। এই সমস্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। জেলা প্রশাসনের আর এক আধিকারিক বলেন, রবিবার ছুটির দিনেও সমস্ত রিপোর্ট তড়িঘড়ি তৈরি করা হয়েছে। বৈঠক নিয়ে অনেকেরই ঘুম উবে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করবেন তা অজানা রয়েছে। পরামর্শদাতা সংস্থা কয়েকদিন ধরে জেলায় ঘুরে বিভিন্ন কাজের সমীক্ষা করেছে। তিনি সেই রিপোর্ট ধরলে অনেকেই বিপাকে পড়বেন।
জানা গিয়েছে, আজ বিকেলে দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাত্রিবাস করবেন তিনি। সেখান থেকে বাঁকুড়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় যেতে পারেন তিনি।