বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
শনিবার কলেজ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গৌড়ের প্রতিটি সৌধের সুদৃশ্য রেপ্লিকা উদ্বোধন করেন বারাসাত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিযুক্ত উপাচার্য সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স ও হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবর্গ। কলেজের অধ্যক্ষ মানস বৈদ্য ও এই উদ্যোগের অন্যতম পরিকল্পক অধ্যাপক পীযূষ সাহা। উদ্বোধক বলেন, এই উদ্যোগ গৌড়ের ইতিহাসকে নতুন করে প্রাণবন্ত করার পাশাপাশি জেলার পর্যটন শিল্পের বাণিজ্যিক বিকাশেও সহায়ক হবে।
পীযূষবাবু বলেন, গৌড়ের প্রতিটি সৌধ সমন্বিত এই রেপ্লিকাটি তৈরি করা হয়েছে বিশিষ্ট ভাস্করদের সাহায্যে। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। প্রতিটি সৌধের জন্য সুনির্দিষ্ট বারকোড রয়েছে। সেগুলি স্ক্যান করলেই পৃথকভাবে প্রতিটি সৌধ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বাংলা ও ইংরেজিতে পাওয়া যাবে। হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে বলা হয়েছে, তারাও এই ধরনের রেপ্লিকা নিজেদের রিসেপশন কাউন্টারে রাখতে পারে। তাতে পর্যটকরা গৌড় ভ্রমণে আরও উৎসাহিত হবেন। পরে আদিনা নিয়েও একই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ মানস বৈদ্য বলেন, গৌড়কেন্দ্রিক পর্যটনকে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলতে আমরা প্রশিক্ষিত গাইড তৈরির জন্য অতিরিক্ত একটি কোর্স চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছি। ক্লাসরুমের সঙ্গে সঙ্গে উৎসাহী ভাবী গাইডদের গৌড়ে নিয়ে গিয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতে তাঁদের যেমন আর্থিক উপার্জনের রাস্তা খুলবে তেমনই পর্যটকরাও গৌড়ের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে উপকৃত হবেন। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের যুগ্ম সম্পাদক উত্তম বসাক বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা নেবে। নিজস্ব চিত্র।