বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে দুর্গাপুরের বাসিন্দা অভিষেক ছ’জন বন্ধুর সঙ্গে বাইকে রণডিহা ড্যাম এলাকায় ঘুরতে এসেছিলেন। অভিষেক জলে নেমে স্নান করতে গেলে দামোদরে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে বুদবুদ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। অভিষেকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। তবে তাঁর তিন বন্ধু পালিয়ে যায়। বুদবুদ থানার পুলিস দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। শুক্রবার তল্লাশি করলেও অভিষেকের কোনও খোঁজ মেলেনি। শনিবার সকাল থেকে ডুবুরি নামিয়ে ফের তল্লাশি শুরু হয়। বিকেলে তলিয়ে যাওয়ার জায়গা থেকে কিছুটা দূরে দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় মৎস্যজীবী বিজয় বাউরি বলেন, আমরা বারবার বারণ করলেও শোনেনি। ফলে বিপদ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অনেকেই মদ্যপ অবস্থায় নদীতে স্নান করতে নামেন। নদীর গভীরতা না জেনে যেখানে খুশি নেমে পড়েন। ফলে বিপদ হয়। অভিযোগ, বারণ করতে গেলে অনেক সময় বচসা হয় স্থানীয়দের সঙ্গে। বিজয় বলেন, আমাদের বারণ শুনলে হয়তো এই ধরণের বিপদ এড়ানো যেত। স্থানীয় বাসিন্দা অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, এখানে ফেরিঘাট রয়েছে। বহু মানুষ প্রতিদিন দামোদর নদ পেরিয়ে বাঁকুড়া ও বর্ধমানের নানা প্রান্তে যাওয়া-আসা করেন। তাছাড়া প্রতিদিন বাইরে থেকে বহু মানুষ রণডিহায় ঘুরতে আসেন। কিন্তু অনেক সময় লকগেটের কাছে বহু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ঘুরে বেড়ান। ফলে বিপদ ঘটে। দামোদরে জল কম থাকলে অনেকে লকগেটের তলা দিয়ে হেঁটে পারাপারের চেষ্টা করেন। ওখানে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে মদ্যপান করে জলে নামেন। তাতেও দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিসি নজরদারিতে কড়াকড়ি দরকার। সন্ধ্যার পর আর কোনওভাবেই যাতে পর্যটকরা নদের পাড়ে না থাকেন তা দেখা দরকার। পিকনিকের মরশুমে যেভাবে কড়া নজরদারি করা হয় সারা বছরই সেভাবে পুলিস থাকা দরকার। বুদবুদ থানার পুলিস জানিয়েছে, নিয়মিত নজরদারি চলে। সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকে।