Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে।  সেই সময়টায় আকাশে মেঘ করলে আমাদের আনন্দ হয় না। আতঙ্ক হয়। কারণ, মেঘের ছায়ায় খেজুর পাতা থেকে কষ্ট করে যে ঝাঁটা তৈরি করি, সেগুলি  কালো হয়ে যাবে। কালো ঝাঁটা মহাজনেরা কিনতে চায় না। আবার এত কষ্ট করার পরও সেরকম দাম পাই না আমরা। পেলেও সঙ্গে সঙ্গে নয়। বেশ কিছুদিন পর চেয়েচিন্তে নিতে হয়। নগদ টাকা হাতে থাকা দরকার। পুরুষেরা তো সবসময় ঘরে থাকে না। কাজের জন্য অন্য জায়গায় চলে যায়। আমাদের চলবে কীভাবে? 
ডকঘাট থেকে প্রথমে মাতলা পেরিয়ে ক্যানিং। তারপর লোকাল ধরে যাদবপুর, ঢাকুরিয়া, বাঘা যতীন নেমে যাই আমরা। আপনাদের বাড়িতে 
বাড়িতে সকালে পৌঁছে কেউ রান্নায়, কেউ ঘরের কাজে লেগে পড়ি। ফিরতে প্রায় বিকেল। ফিরতি 
ট্রেনে গেটের কাছে ঘুমাই! অথবা উচ্চস্বরে হাসাহাসি করি সকলে মিলে। 
আমরা চাঁপাডাঙ্গা থেকে সব্জি কিনে তাড়াতাড়ি তারকেশ্বর এসে চলে যাই শেওড়াফুলি, শ্রীরামপুর। আবার কেউ কেউ মণিরামপুর ঘাট পেরিয়ে বারাকপুরেও। সেইসব বাজারে গিয়ে ওইসব নিয়ে বসি। একটু ভিতরের দিকে। বড় বিক্রেতাদের আড়ালে। 
আমাদের অনেকরকম দুঃখ। বাড়ির লোকের সঙ্গে ট্রেনে যেতে যেতে দেখি সারাক্ষণ কোনও না কোনও হকার উঠছে। চুলের ক্লিপ, সেফটিপিন, শশা, পেয়ারা, এমনকী একবার দেখলাম আয়ুর্বেদ শ্যাম্পু। আমাদের চুলে খুব জট পড়ে। তাই এটা মাখলে নাকি ওটা সেরে যাবে। কিন্তু স্বামীর দিকে সেই সময় তাকালে কেমন যেন রাগ রাগ মুখ করে তাকায়। কিনে দেয় না। কেনা হয় না। ‘৫০ রকমের ব্রত কথা’ বই দেখেছিলাম একজনের হাতে। জ্যৈষ্ঠ মাসে জয়মঙ্গলবার ব্রত করার জন্য ওই মঙ্গলচণ্ডী ব্রতও ছিল সেখানে। ওটা পড়তে হয়। আগের বইটা ছিঁড়ে গিয়েছে। তাই নতুন হলে ভালো হয়। দাম অবশ্য একটু বেশি। ৩০ টাকা। কিন্তু ‘এখন কিনতে হবে না এসব’ বলে আমাদের স্বামী ট্রেনের জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকে। তার চোখে বাইরের ঘরবাড়ি গাছ রাস্তার ছবি। আমাদের চোখে গোপন জল। না পাওয়ার। আর অপমানের। নিজের হাতে টাকা থাকলে...।  
সেই গুমা থেকে হাবরা লোকাল ধরে আসতে হয় আমাদের দমদম ক্যান্টনমেন্ট অথবা জংশনে। তারপর এদিক ওদিক ছড়িয়ে যাই আমরা। এখান থেকে দমদম, লেকটাউন, কালিন্দী, উল্টোডাঙ্গায়। আবার কেউ কেউ যাই শিয়ালদহে। সেখান থেকে পার্কসার্কাস বা বালিগঞ্জের ট্রেন। ওসব জায়গায় ছোট মাঝারি নার্সিংহোম থাকে। আয়ার ডিউটি। সেন্টারেও নাম লেখানো আছে। তবে সেন্টারে নাম লেখাতেও কমিশন দিতে হয়। 
আমাদের সেলাই স্কুলে যাওয়া আছে। মানকরে। স্বনিযুক্তি গ্রুপেও কাজ করি আমরা গলসীতে। আমরা ফুল তুলি পাঁশকুড়া লোকালে। আমাদের কারও স্বামী চলে গিয়েছে আমাদের ছেড়ে। কারও স্বামী হারিয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ বিধবা। 
আবার আমাদের কেউ কেউ হয়তো কোনও কাজ করি না। শুধুই ঘরের কাজ। সকাল থেকে সারাদিন। কিন্তু সেই কাজকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। আমাদের বলা হয় বাড়ির বউ। সব করতেই হবে। আমরা সব ব্যাপারেই অন্যের মুখাপেক্ষী। আনন্দ বলতে সন্ধ্যায় একটু সিরিয়াল দেখা। আমাদের খুব খারাপ লাগে যখন সামান্য ব্যাপারেই বলা হয়, ‘রোজগার করব আমি, তুমি বসে বসে খাবে? যা বলব শুনতে হবে। নয়তো দরজা খোলা আছে, বেরিয়ে যাও। এক পয়সা ঘরে আনার মুরোদ নেই। আর লম্বাচওড়া কথা’...। মা বাবার কথা মনে পড়ে তখন। আমার হাতে যদি টাকা থাকত কিছু। কিন্তু এরা তো বাইরে গিয়ে কাজও করতে দেবে না। বাড়ির বউ নাকি যেতে পারে না বাইরে। হাতখরচের টাকা থাকে না আমার। যখন বাপের বাড়ি যাই।  তখন বাবা একটু করে দেয়। টিপে টিপে লুকিয়ে চালাই। 
এই আমরা কারা? যাদের আপনারা ৪ জুন থেকে অশিক্ষিত আর ভিখারি বলেন। কেন? কারণ আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়েছি। আপনাদের সন্দেহ সেই কারণে আপনাদের ভোট দিইনি। তাই সেই টাকার নাম আপনাদের কাছে ভিক্ষা। আর আমরা ভিখারি। আপনারা ক্রমাগত বলে চলেছেন, আমরা এতটাই অশিক্ষিত মূর্খ যে চোরদের ভোট দিয়ে দিয়ে জেতা‌ই। কারণ ওই ভিক্ষা। আজকাল যেহেতু মোবাইল থেকে অনেক কিছু জানা যায়, তাই আমাদের সন্ধ্যাদি বলছিল, এরকম টাকা নাকি দেশের প্রায় সব রাজ্যের মেয়েরাই পায়। মধ্যপ্রদেশে পায় লাডলি বহেনা নামের স্কিমে। মহারাষ্ট্রে একঝাঁক নাকি প্রকল্প আছে। দিল্লি আর কর্ণাটক তো বড়লোক শহর। সেখানে বাস ফ্রি মেয়েদের জন্য। কর্ণাটকের মেয়েদের বাস ফ্রি হওয়ার জন্য তীর্থক্ষেত্র, দর্শনীয় স্থানগুলিতে ব্যবসা উপচে পড়ছে ভিড়ের কারণে। মেয়েদের ভিড়। ওইসব ধনী রাজ্যের মেয়েরাও অশিক্ষিত ভিখারি? 
আপনাদের ভাষায় আমরা অশিক্ষিত আর ভিখারি। কেন? কারণ আপনারা ভোটে  হেরে গিয়েছেন বলে। আচ্ছা, এই যে দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে এরকম সব টাকাপয়সার নানারকম সুবিধা দেওয়া হয়, সেখানে যে দল হেরে যায়, তারা কি নিজেদের জাতির নিজেদের রাজ্যের মহিলাদের এরকম অশিক্ষিত, ভিখারি, মূর্খ বলে ডাকে? কখনও তো শুনিনি যে, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়ে বলছে, ভিখারি আর অশিক্ষিতগুলো আমাদের হারিয়ে দিল? আবার দিল্লিতেও তো আম আদমি পার্টি বলছে না যে, ভিখারিদের বাসে ফ্রি চড়ার সুযোগ দিলাম, তাও আমাদের ভোট দিল না! দেশজুড়ে বিরোধী দলগুলি কিন্তু একবারও বলছে না যে, ফ্রি রেশন পেয়ে ভিখারি ভোটার এবারও মোদিকে ভোট দিয়েছে। না হলে ২৪০টা আসনও পেতেন না উনি? এই রাজ্যে আপনারা কিন্তু বলছেন অনায়াসে! কতটা উগ্র মানসিকতা হলে সহনাগরিকদের সম্পর্কে ‘অশিক্ষিত’ ‘ভিখারি’ ‘মূর্খ’ শব্দগুলো বলা যায়? কতটা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্বোধ হলে ‘আমিই ঠিক, অন্যরা ভুল’ ভাবা যায়? 
আপনাদের কোনও ধারণা আছে এক হাজার কিংবা বারোশো টাকার কতটা দাম আমাদের কাছে? কতটা দরকারি সংসারে? কীভাবে আমাদের ভিতরটাকে বদলে দিয়েছে? জানেন? খুব ছোট ছোট ইচ্ছা কীভাবে পূরণ হচ্ছে? জানেন? আপনারা ভদ্রভাবে বলুন যে, কর্মসংস্থান জরুরি। কাজের সুযোগ বৃদ্ধি হলে সকলেই সম্মানের সঙ্গে রোজগার করবে। সেটাই উচিত। এসব বলুন না, কে বারণ করেছে! কিন্তু এরকম অপমানের কথা কেন বলছেন? এবার  তৃণমূল পেয়েছে কমবেশি ১ কোটি ৪০ হাজার মহিলা ভোট। রাজ্যে ১ কোটি ৯৮ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পায়। ওই যে কমবেশি ১ কোটি ৪০ লক্ষ মহিলা, যারা এবার আপনাদের বিরুদ্ধে ভোট দিলেন, এরা সবাই তাহলে অশিক্ষিত আর ভিখারি? আর সব মিলিয়ে রাজ্যে ৪৬ শতাংশ মানুষই অশিক্ষিত আর ভাতাজীবী? কারণ ওটাই তৃণমূলের ভোট। আমরা কিন্তু সক঩লেই তৃণমূলকে ভোট দিইনি। হয়তো সিংহভাগই দিয়েছে। কিন্তু এই যে আপনারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী নেওয়া মানুষদের সরাসরি ভাতাজীবী ভিখারি বলছেন, চোখের পাতা না কাঁপিয়ে বরং উচ্চকণ্ঠে, জিহ্বায় ঘৃণা আর তাচ্ছিল্য এনে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে অশিক্ষিত তকমা দিয়ে ফেলছেন, আমরা কিন্তু এটা মনে রাখছি। 
আমাদের বাড়িতে যারা বয়স্ক মানুষ, তারা আমাদের বলছিল যে, ১৯৭৮ সালের পর থেকে নাকি বেকার ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, কৃষক ভাতা, শ্রমিক ভাতা এসব একে একে চালু হয়। সেগুলো কি ভিক্ষাই ছিল? ২ টাকা কেজি চাল দেওয়া কি ভিক্ষা ছিল? বন্ধ কলকারখানা আর চা বাগানের শ্রমিকদের ভাতা দেওয়া হয়েছিল। ভিক্ষা ছিল?
আপনারা এত শিক্ষিত, অথচ এই দূরদৃষ্টি নেই যে, এটাই শেষ ভোট নয়? আবার পুরসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত নানারকম ভোট আসবে। আজ যাদের ভিখারি আর অশিক্ষিত বলছেন, আবার আগামী ভোটগুলিতে তাদের পাড়া আর বাড়ির সামনে এসে ভোট চাইবেন তো! সেই সময় এখন যা বলছেন, এগুলো মনে থাকবে? যদি আপনাদের প্রশ্ন করি তখন,যে, আমরা তো ভিখারি, অশিক্ষিত। আমাদের ভোট চাইছেন কেন? কী উত্তর দেবেন? আসলে আপনারা জিতলে আমরা উন্নত চেতনাসম্পন্ন। আপনারা হারলে আমরা ভিখারি! 
একটি বিশেষ উন্নত চিন্তার দলকে আমাদের মতো সামান্য ক্ষুদ্র মানুষদের প্রশ্ন যে, আপনাদের জনপ্রিয় কৃষক নেতা কে এখন? শ্রমিক নেতা কে? শেষ কবে কোথায় শ্রমিক আন্দোলন হয়েছে? কৃষকদের দাবি নিয়ে কবে হয়েছে বড়সড় কর্মসূচি? আপনারা এবার ভোটে যে প্রার্থীদের নিয়ে সবথেকে বেশি মাতামাতি করেছেন, তাঁরা সকলেই নাগরিক শিক্ষিত মিডল বা আপার মিডল ক্লাসের মানুষ কেন? তাঁরা সকলেই উচ্চবর্ণ এবং উচ্চবর্গের কেন? এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না! গ্রামীণ কেন্দ্রের কোনও কৃষক প্রার্থী, শ্রমিক প্রার্থী, অনগ্রসর প্রার্থীদের নিয়ে তো এরকম মাতামাতি এবং পরাজিত হওয়ার পর হা-হুতাশ শোনা গেল না? কেন? 
যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও তো বিপুল অংশের মানুষের ভোট পড়েছে। সম্মিলিতভাবে বিরোধীরা কাঁটায় কাঁটায় ভোট পাচ্ছে। সুতরাং সব পক্ষের সমর্থক ও ভোটার আছে। তাহলে মানুষকে অপমান করতে হচ্ছে কেন? মানুষের কাছে যে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে, আজ তাকে ভোট দিচ্ছে। আগামী কাল মনে না করলে বিরুদ্ধে ভোট দেবে! এটা তো সহজ সংসদীয় গণতন্ত্রের অঙ্ক। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতার জন্য আপনারা এত রেগে যাচ্ছেন কেন যে, নিজেদের মনুষ্যত্ব আর শিক্ষাদীক্ষাকেই অসম্মান করছেন? আপনারা বেশি বোঝেন, মানুষ কম বোঝে এটা কে ঠিক করে দিল? আপনারা বুদ্ধিমান, প্রায় ৩ কোটি মানুষ বোকা, এটা কীভাবে বোঝা গেল? কোন মেশিনে মাপা হয় এটা?
গণতন্ত্রের কাছে একটা অদৃশ্য মেশিন আছে। ঔদ্ধত্য, অহঙ্কার আর দম্ভ পরিমাপের যন্ত্র। তার প্রমাণ আপনারা অতি সম্প্রতি দেশজুড়ে পেয়েছেন। অতএব আপনারাই স্থির করুন, কোন পথে হাঁটবেন! গণতন্ত্রের সেই মেশিন সদাজাগ্রত! ৭৭ বছর ধরে! 
14th  June, 2024
‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
একনজরে
অভিযোগ মুদির দোকান থেকে পাঁচ হাজার টাকা চুরি করেছিল দুই নাবালক ভাই। শাস্তিস্বরূপ তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হল। ...

বেনজির সংঘাতের ঐতিহাসিক দিন হতে চলেছে আজ, বুধবার! বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য আজ, বেলা ১২টায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে রাজভবনে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ...

পাঁচ বছর পর অবশেষে মুক্তি। মার্কিন আদালতে দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন। এই শর্ত অনুসারেই ব্রিটিশ কারাগার থেকে ছাড়া পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ...

ভিন রাজ্যে পালানোর আগেই মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে বেঙ্গল এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার ‘শাহাদত’ জঙ্গি সংগঠনের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে পরিচিত হারেজ শেখ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস
আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস

১২৮৪- কিংবদন্তি হ্যামিলন এর বাঁশুরিয়া ১৩০ জন শিশুকে নিয়ে হারিয়ে যান
১৮১৯- বাই সাইকেল এর পেটেন্ট করা হয়
১৮৩৮- সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৩- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী গওহর জানের জন্ম
১৮৮৭-  কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্ম
১৮৯৬- আমেরিকায় প্রথম সিনেমা হল চালু হয়
১৯৩৪- ব্যবহারিক হেলিকপ্টার ফক উল্ফ এফ ডাব্লিউ ৬১ প্রথমবার আকাশে ওড়ে
১৯৩৭-  বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকারের মৃত্যু
১৯৬৮- ইতালির ফুটবলার পাওলো মালদিনির জন্ম
১৯৭৪- প্রথমবার বারকোড ব্যবহার করে কোনও খুচরা পণ্য বিক্রয় হয়, পণ্যটি ছিল চিবানোর গাম
১৯৭৭- এলভিস প্রিসলি শেষ কনসার্ট করেন
১৯৭৯- কিংবদন্তি বক্সার মহম্মদ আলি অবসর গ্রহণ করেন
১৯৮৫- বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুরের জন্ম
১৯৯১- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার পান্ডুলিপি লন্ডনে নিলামে উঠলে ভারত সরকার ২৬,৬০০ পাউন্ড দামে তা কিনে নেয়
১৯৯২- অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর জন্ম
২০০৫-  ক্রিকেটার একনাথ সোলকারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৭ টাকা ৮৪.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৩১ টাকা ১০৭.৭৮ টাকা
ইউরো ৮৮.১৪ টাকা ৯১.২৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী ৩৯/৫৫ রাত্রি ৮/৫৬। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ২০/১৮ দিবা ১/৫। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ১/৫২ গতে ৫/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ১/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/২০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৩৮ মধ্যে।   
১১ আষাঢ়, ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪। পঞ্চমী রাত্রি ১০/৫২। ধনিষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ৩/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ১/৫৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৫ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ১/২৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও ১১/৪০ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৩৮ মধ্যে। 
১৯ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
খড়্গপুর শুটআউট, ধৃত ২ দুষ্কৃতী
খড়্গপুর শহরে গুলিকাণ্ডে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল খড়্গপুর টাউন থানার ...বিশদ

11:56:00 AM

হাসপাতালে ভর্তির বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, ধৃত ৩
টাকা নিয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তি করানোর অভিযোগ। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল ...বিশদ

11:55:53 AM

কয়লা পাচার কাণ্ড: সিবিআই আদালতে তোলা হল ধৃত ৩ জনকে
কয়লা পাচারকাণ্ডে ধৃত ৩ জনকে তোলা হল আসানসোল সিবিআই বিশেষ ...বিশদ

11:44:21 AM

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উদযাপন কলকাতা পুলিসের
আলিপুর বডিবার্ড লাইনে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে পদযাত্রার আয়োজন করে ...বিশদ

11:38:30 AM

লোকসভায় এলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী

11:17:13 AM

বিরাটিতে শিশুচুরির অভিযোগ, আটক ১
এবার শিশুচুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল বিরাটি স্টেশনে। ...বিশদ

11:05:00 AM