Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’!
আমরা ভুলে যাই, অধিকাংশ জনমত সমীক্ষাই কিন্তু বলেছিল যে ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কোনওক্রমে জিতবে। তারা অনুমান করতে পারেনি তৃণমূলের বিপুল জয়। আবার, ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গেই বিজেপির ১৮টি আসন লাভের অনুমানে ব্যর্থ হয়েছে অধিকাংশ সমীক্ষা। আসলে গত কয়েক দশকে ওপিনিয়ন পোল মুখ থুবড়ে পড়েছে বার বার। দেশে ও বিদেশে। এর সাক্ষ্য দিতে পারতেন অটলবিহারী বাজপেয়ি কিংবা হিলারি ক্লিন্টন। ব্রিটেনে ২০১৫-র ভোট, ২০১৬-র ব্রেক্সিট গণভোট, ভারতে ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন, এমনকী দিল্লির মতো ছোট ও শহুরে রাজ্যের বিধানসভাতেও জনমত সমীক্ষা বার বার দিগ্‌ভ্রান্ত হয়েছে। তা ভোটে জয়-পরাজয়ের আঁচ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। দিগ্‌ভ্রান্ত করেছে ভোটারদেরও। তবুও ভোটের পারদ চড়তে না চড়তেই সমীক্ষক সংস্থাগুলি হাজির রংবেরঙের অনুমানের পসরা নিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার না আছে নমুনা সংগ্রহ বা তথ্য-বিশ্লেষণ পদ্ধতির বর্ণনা, না আছে তথ্যের প্রয়োজনীয় সারসংক্ষেপ। জনমত সমীক্ষা তাই অনেক ক্ষেত্রেই স্ব-আরোপিত ভবিষ্যদ্বাণী। অভিযোগ, এর পিছনে থাকে শক্তিশালী-ক্ষমতাবান রাজনৈতিক দলের অর্থের কারিকুরিও। ওপিনিয়ন পোল গণতন্ত্রের জন্য সত্যিই আশীর্বাদ না অভিশাপ সেই বিচার কালের উপর ছেড়ে দিলেও, এটুকু বলাই যায় যে পরীক্ষার আগেই পরীক্ষার ফল বেরনোর এই সাসপেন্স থ্রিলার আজ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা সাত দফার লোকসভা নির্বাচন সেটাই প্রমাণিত করেছে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গের দিকেই তাকান, ভোট শুরু হওয়ার আগেই সব পূর্বাভাসের ইঙ্গিত ছিল, বিজেপি নাকি এ রাজ্যে বিরাট সাফল্য পেতে চলেছে। কেউ কেউ তো শাসকদল তৃণমূলের আসন সংখ্যা ১৫-র নীচেও নেমে আসার জল্পনা ছড়িয়ে দিয়েছিল। পাত্তা দেয়নি ইন্ডিয়া জোটকেও। আসলে একে বলে ভোটের আগেই ভোটারের মগজ ধোলাই! বোঝাই গিয়েছিল, এই ওপিনিয়ন পোলের মালিকদের সঙ্গে বাস্তবের মাটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। যেমন ধরুন, এবিপি সি ভোটারের সমীক্ষা রিপোর্ট জানিয়েছিল, ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৬৬টি আসন পেতে পারে এনডিএ। ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ১৫৬টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ২১টি আসন। ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স ভোটের আগেই বিরোধীদের কোমর ভেঙে দিতে চেয়েছিল। তাদের ওপিনিয়ন পোলের হিসেব ছিল, এনডিএ পাবে ৩৭৮ আসন আর ইন্ডিয়া জোট ৯৮। ‘ঈশ্বরের দূত’ নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করতে গিয়ে এরা ভুলেই গিয়েছিলেন আঞ্চলিক দলগুলির শক্তির অঙ্ক। ওপিনিয়ন পোলের মাতব্বররা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মিডিয়া ভোটের আগেই বিজেপিকে বার্তা দিতে চেয়েছে— আমি তোমাদেরই লোক। ফলে ভোট পর্বে কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন 
ঢুকেছে সেই সব মিডিয়ার কোষাগারে। ধর্মনিরপেক্ষর তকমা সাঁটা সেইসব মিডিয়ার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির রং হয়ে ওঠে গেরুয়া। এ তো প্রায় দেড় মাস ধরে জনগণই দেখেছে। সেই মিডিয়ার মাতব্বররা জানেনই না, গোটা ভোট পর্বে তারা ছিলেন জনগণের হাসির খোরাক। মজার কথা, এই রকম ওপিনিয়ন পোলগুলি যে ডিজিটাল মাধ্যমগুলি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়, ভোটের ফল উল্টো হলেই সেই সমীক্ষাগুলি উধাও হয়ে যায় সেই ডিজিটাল মাধ্যমগুলি থেকে। উল্টে তারাই সাফল্যে ভাগ বসাতে চায়। এ এক মজার খেলা!
এটা ঠিক, ভোটাররা জনমত সমীক্ষা শোনেন, তাকে গুরুত্ব দেন, ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’-এ অল্পবিস্তর প্রভাবিতও হন। জনতার যেহেতু জয়ীর সঙ্গে থাকার স্বাভাবিক প্রবণতা আছে, তাই সমীক্ষায় এগিয়ে থাকা দলের জনপ্রিয়তার গাড়িতে সওয়ার হতে সেই পক্ষে ভোট দিয়ে ফেলেন অনেকেই। ‘ব্যান্ডওয়াগন এফেক্ট’-এর উল্টোটাও সত্যি, যাকে বলা হয় ‘আন্ডারডগ এফেক্ট’। পিছিয়ে থাকা প্রার্থী বা দলের পক্ষেও বইতে পারে সহানুভূতির হাওয়া। কখনও আবার জনমত সমীক্ষা ভোটারদের নিরুৎসাহও করে দিতে পারে। আর বুথফেরত সমীক্ষা? বিভিন্ন কেন্দ্রে মানুষের ভোট দেওয়া হয়ে গেলে ভোটারদের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই কোথায় কোন দল কতগুলি আসন পাবে, তার ভবিষ্যদ্বাণী করে বুথফেরত সমীক্ষা। সাধারণত, কয়েকটি নির্বাচনী সংস্থা এই ধরনের সমীক্ষার আয়োজন করে থাকে। ভোটারদের ‘মনের কথা’ জানতে তারা ব্যবহার করে বেশ কিছু কৌশল। তার মাধ্যমেই তৈরি করা হয় নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল। সমীক্ষার জন্য প্রথমে বিভিন্ন কেন্দ্রের কয়েকটি বুথ বাছা হয়। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন সমীক্ষকেরা। ভোট দিয়ে ভোটাররা বেরলে তাঁদের নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন করা হয়। সেই উত্তরের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় সমীক্ষার ফল। 
‘অল্টারনেটিভ মিডিয়া’-র বর্তমান আইকন রবীশ কুমার বুথফেরত সমীক্ষাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, আমরা সবাই একটা সংখ্যা জানতে চাই। আসলে আমাদের চোখের সামনে মোবাইল বা টেলিভিশনের পর্দায় একটা সংখ্যা আসুক, সেই প্রত্যাশা থাকে। সেই সংখ্যায় কেউ কীভাবে পৌঁছলেন, কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ওই সংখ্যায় উপনীত হলেন, তা জানার চেষ্টা করি না। যখন সেই সংখ্যাটা ভোটের ফলের সঙ্গে মিলে যায় বা আমাদের প্রত্যাশাকে পূর্ণ করে, তখন আমরা খুশি হই। আবার যখন আমাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সেই সংখ্যা, আসলে বুথফেরত সমীক্ষায় দেখানো কোনও নম্বর মেলে না, তখন আমরা হতাশ হই, ক্রুদ্ধ কিংবা ক্ষুব্ধ হই। কখনোই ওই সংখ্যায় পৌঁছানোর বিজ্ঞান বা তাত্ত্বিক দিকটাকে অনুসন্ধান করে দেখি না।
ঠিক যেমন হয়েছে এবারের লোকসভা ভোটেও। এবিপি নিউজ-সি ভোটার বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের ৪০০ আসনে জেতার পূর্বাভাস না দিলেও ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া এবং নিউজ ২৪- টুডেজ চাণক্যের বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটকে ‘৪০০ পার’ স্বপ্নপূরণের বার্তা দিয়েছিল। এবিপি নিউজ-সি ভোটারের পূর্বাভাস ছিল, এনডিএ ৩৫৩-৩৮৩, ‘ইন্ডিয়া’ ১৫২-১৮২ এবং অন্যেরা ৪-১২টি লোকসভা আসনে জিততে পারে। নিউজ ২৪- টুডেজ চাণক্যের মতে এনডিএ ৪০০, ‘ইন্ডিয়া’ ১০৭ এবং অন্যদের ৩৬টি লোকসভা আসনে জেতার সম্ভাবনা। এর মধ্যে একাই ৩৩৫টিতে জিততে পারে। কংগ্রেস জিততে পারে ৫০টিতে। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার ইঙ্গিত ছিল, এনডিএ ৩৬১-৪০১, ‘ইন্ডিয়া’ ১৩১-১৬৬ এবং অন্যেরা ৮-২০টি আসনে জিততে পারে। উল্টোদিকে, বিরোধীরা এবং আজকের দুনিয়ায় যাদের, ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ সাংবাদিক বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে, তাঁদের বক্তব্য ছিল, শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা রাখার জন্যেই কেন্দ্রের শাসক দল নিজেদের মতো করে বুথফেরত সমীক্ষাকে গড়েপিটে নিয়েছে। এই অভিযোগ যে কতটা ঠিক তা টের পাওয়া গিয়েছিল ফল প্রকাশের পরই।
লক্ষ্য করুন, খোদ নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ৪ জুনের পরে শেয়ার বাজার এত দৌড়বে যে হাঁফ ধরবে। অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন, ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে রাখুন। তারপরে বাজার চড়বে। বাস্তবে বুথ-ফেরত সমীক্ষাও মোদি সরকারের বিপুল আসনে জিতে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরে নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল সূচক। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ফল বেরনোর দিন ৪০০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় সেনসেক্স। লগ্নিকারীদের ৩১ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়। রাহুল গান্ধীর কথায়, এ যাবৎকালের ‘সবচেয়ে বড় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির’ ঘটনা। রাহুলের প্রশ্ন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন পাঁচ কোটি পরিবারকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন? এমন পরামর্শ দেওয়া কি তাঁদের কাজ? কেন তাঁরা এমন এক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সেবি?’ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, এটাই কি ছিল এবারের বুথফেরত সমীক্ষার খেলা?
ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, একাই তিনশোর বেশি এবং জোটে সাড়ে তিনশোর বেশি আসনের কৈলাস পর্বত থেকে ভোটাররা ‘পরমাত্মা’ নরেন্দ্র মোদিকে টেনে নামিয়েছেন জোট রাজনীতির মাটিতে। গোদি মিডিয়ার কেষ্ট-বিষ্টুদেরও উলঙ্গ করে দিয়েছে নির্বাচনের ফল। কারণ, মাত্র তিনদিন আগে তাঁদেরই চ্যানেলে চ্যানেলে বুথফেরত সমীক্ষায় ৩০০-৪০০ আসন দিয়ে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছিল মোদিকে। সেদিন গোদি মিডিয়া অবশ্য সেখানেই থামেনি। বুথফেরত সমীক্ষায় ইন্ডিয়া জোট তথা কংগ্রেস গোহারান হারছে দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে মোদি তৃতীয় মেয়াদে কী কী করবেন, ভারতকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন– এসব গভীর আলোচনাও চালানো হয়েছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে। আজতক নেটওয়ার্কের অ্যাঙ্কর অঞ্জনা ওম কাশ্যপ রীতিমত নাক ফুলিয়ে লাইভ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তাঁদের মতো বড় চ্যানেলে বিরোধীদের কোনও পরিসরই দেওয়া উচিত নয়। গত এক দশকে ভারতের প্রায় প্রত্যেক সংবাদমাধ্যমের মালিক এই ধরনের মেধাহীন, অর্ধশিক্ষিত সাংবাদিকদেরই দায়িত্বপূর্ণ পদে উন্নীত করেছেন। শেষ দফার নির্বাচনের পরে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওতে রবীশ কুমার বলেছিলেন, চ্যানেলগুলিতে খরচ কমাতে রিপোর্টার যত কমানো হয়েছে, তত রমরমা হয়েছে অঞ্জনা ওম কাশ্যপদের মতো অ্যাঙ্করদের। খবরকে এক ধরনের অসুস্থ বিনোদনে পরিণত করে মানুষের মন বিষিয়ে দেওয়া এবং মোদিকে দোষগুণের অতীত এক সত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কাজই করে গিয়েছে টিভি চ্যানেলগুলি। দিনরাত মোদিকে দেখানো, বিরোধীদের প্রায় না দেখানো, দেখালেও তাদের বক্তব্য এমনভাবে বিকৃত করা যাতে মোদির সুবিধা হয়— এইসব কৌশল দেশবাসীও বুঝে ফেলেছিলেন। ফলে ৪ জুন ইন্ডিয়া টুডের স্টুডিওতে অ্যাক্সিস-মাই ইন্ডিয়া সংস্থার প্রধান প্রদীপ গুপ্তা এসে নিজের পাহাড়প্রমাণ ভুলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেছিলেন। কারণ, ততক্ষণে গোটা দেশে উদোম হয়ে গিয়েছে তাঁদের খেলা। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘পেইড পোল’!
আর এই বাংলায়, একমাত্র কাগজ— যারা ফল প্রকাশের আগের দিনও লিখেছিল: মোদির বারাণসীতে ‘উল্টো ম্যাজিক’! এটা একটা উদাহরণ মাত্র। বাকিটা মিলিয়ে নিন দেড় মাসের ‘বর্তমান’ কাগজের খবরগুলি থেকেই।
13th  June, 2024
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
বইমেলা মানেই বাঙালির স্বাধীন পৃথিবী
মৃণালকান্তি দাস

বইমেলার প্রসঙ্গ উঠলে মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স-এর প্রয়াত কর্ণধার ইন্দ্রাণী রায় মিত্র শোনাতেন তাঁর দাদুর কথা। সেই কথাজুড়ে থাকত পাঠকের অনুভূতি। সাহিত্যিক গজেন্দ্রকুমার মিত্র তাঁকে বলতেন, ‘প্রত্যেক পাঠকের একটা নিজস্ব গল্প থাকে। বইমেলায় বহুদিন এক নাগাড়ে বসার সুবাদে আমি এরকম বহু গল্প দেখেছি। কী করে ভুলি পাইকপাড়া থেকে নিয়মিত বইমেলায় আসা মধ্যবয়স্কা মানুষটিকে।
বিশদ

06th  February, 2025
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

05th  February, 2025
সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
একনজরে
সরকারি হাসপাতালে পিপিপি মডেলে তৈরি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টে বড়সড় ভুল। এই অভিযোগে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ স্বাস্থ্যদপ্তরের। তদন্ত শেষে গ্রেপ্তার সেন্টারের মালিক। ধৃতের নাম গগনচন্দ্র হালদার। ...

জয়ে ফিরল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। তৃতীয় সারির দল লেটন ওরিয়েন্ট এফসি’কে ২-১ গোলে হারাল তারা। শনিবার এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষের ডেরায় দল জিতলেও ছেলেদের ...

পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) নেত্রী তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। শনিবার মেহবুবার মেয়ে ইলতিজা মুফতি এমনই দাবি করেছেন। ইলতিজা জানিয়েছেন, মায়ের সঙ্গে তাঁকেও গৃহবন্দি করা হয়েছে।  ...

মধ্যপ্রদেশের মহিলা মোবাইল চোর গ্যাংয়ের হাতে ছিল প্রায় ২০০ মোবাইল। কাউকে পাঁচ হাজার, কারোর থেকে আবার সাত হাজার, কোনও ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকায় পথেঘাটে সেই মোবাইল   বিক্রি করেছিল তারা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উত্তম ধনোযোগ পরিলক্ষিত হয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে দিনটি ভালো বলা যায়। কাজকর্মে শুভফল লাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭- ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর লর্ড ক্লাইভ ও বাংলার নবাব সিরাজদৌল্লার মধ্যে আলিনগর সন্ধি হয় এবং বৃটিশরা কলকাতার দখল নেয়
১৮৪৩- মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন
১৮৪৭- বিশিষ্ট আইনজ্ঞ অধ্যাপক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙালি রেজিস্ট্রার কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৭৯- বাংলার গুপ্ত সমিতির বিপ্লবী নেতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী সুবোধ চন্দ্র বসু মল্লিক বা রাজা সুবোধ মল্লিকের জন্ম
১৮৯৫- উইলিয়াম জি. মরগ্যান ভলিবল খেলার প্রচলন করেন
১৮৯৭- ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি জাকির হুসেনের জন্ম
১৯০০- ডেভিস কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট শুরু হয়
১৯০৯- বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তীর জন্ম
১৯২২- ইংরেজ ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার জিম লেকারের জন্ম
১৯৫৮- বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের জন্ম
১৯৬৫- ভারতে প্রথম ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ রফিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
১৯৬৮- বলিউড অভিনেতা রাহুল রায়ের জন্ম
১৯৭০- অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার গ্লেন ম্যাকগ্রার জন্ম
১৯৭৯- সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় তথা বনফুলের মৃত্যু
১৯৯৪- নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৬৩ টাকা ৮৮.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৬.৯২ টাকা ১১০.৬৭ টাকা
ইউরো ৮৯.১৭ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৫,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দ্বাদশী ৩২/৫৫ রাত্রি ৭/২৬। আর্দ্রা নক্ষত্র ২৯/৩ সন্ধ্যা ৫/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৬/৫, সূর্যাস্ত ৫/২৫/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৯ গতে ৮/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ১/৪৩ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৭/৯ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ৩/৪২ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৬ গতে ৩/২ মধ্যে।
২৬ মাঘ ১৪৩১, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। দ্বাদশী রাত্রি ৮/৬। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৬/৫২। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৫/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ গতে ৯/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫৫ মধ্যে মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ১/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৬ গতে ৭/১৬ মধ্যে ও ১২/১৩ গতে ৩/৩১ মধ্যে।
১০ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে ৩১ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে, জানালেন আইজি পি সুন্দররাজ

01:54:00 PM

কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে সরকারি কর্মীদের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার নিয়ম তুলে দিল পাক সরকার
কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে সরকারি চাকুরিজীবীদের পরিবারের সদস্যের মধ্যে একজনকে ...বিশদ

01:46:24 PM

ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে ১২ জন মাওবাদীকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী

01:43:32 PM

গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা উত্তম মোহান্তি
গুরুতর অসুস্থ ওড়িয়া অভিনেতা উত্তম মোহান্তি। গতকাল, শনিবার চিকিৎসার জন্য ...বিশদ

01:30:55 PM

লেফ্টেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আতিশী মার্লেনা

01:12:18 PM

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এবং দুঃস্থ  মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থানা

01:12:00 PM