Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’!
আমরা ভুলে যাই, অধিকাংশ জনমত সমীক্ষাই কিন্তু বলেছিল যে ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কোনওক্রমে জিতবে। তারা অনুমান করতে পারেনি তৃণমূলের বিপুল জয়। আবার, ২০১৯-এ পশ্চিমবঙ্গেই বিজেপির ১৮টি আসন লাভের অনুমানে ব্যর্থ হয়েছে অধিকাংশ সমীক্ষা। আসলে গত কয়েক দশকে ওপিনিয়ন পোল মুখ থুবড়ে পড়েছে বার বার। দেশে ও বিদেশে। এর সাক্ষ্য দিতে পারতেন অটলবিহারী বাজপেয়ি কিংবা হিলারি ক্লিন্টন। ব্রিটেনে ২০১৫-র ভোট, ২০১৬-র ব্রেক্সিট গণভোট, ভারতে ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন, এমনকী দিল্লির মতো ছোট ও শহুরে রাজ্যের বিধানসভাতেও জনমত সমীক্ষা বার বার দিগ্‌ভ্রান্ত হয়েছে। তা ভোটে জয়-পরাজয়ের আঁচ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। দিগ্‌ভ্রান্ত করেছে ভোটারদেরও। তবুও ভোটের পারদ চড়তে না চড়তেই সমীক্ষক সংস্থাগুলি হাজির রংবেরঙের অনুমানের পসরা নিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার না আছে নমুনা সংগ্রহ বা তথ্য-বিশ্লেষণ পদ্ধতির বর্ণনা, না আছে তথ্যের প্রয়োজনীয় সারসংক্ষেপ। জনমত সমীক্ষা তাই অনেক ক্ষেত্রেই স্ব-আরোপিত ভবিষ্যদ্বাণী। অভিযোগ, এর পিছনে থাকে শক্তিশালী-ক্ষমতাবান রাজনৈতিক দলের অর্থের কারিকুরিও। ওপিনিয়ন পোল গণতন্ত্রের জন্য সত্যিই আশীর্বাদ না অভিশাপ সেই বিচার কালের উপর ছেড়ে দিলেও, এটুকু বলাই যায় যে পরীক্ষার আগেই পরীক্ষার ফল বেরনোর এই সাসপেন্স থ্রিলার আজ গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা সাত দফার লোকসভা নির্বাচন সেটাই প্রমাণিত করেছে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গের দিকেই তাকান, ভোট শুরু হওয়ার আগেই সব পূর্বাভাসের ইঙ্গিত ছিল, বিজেপি নাকি এ রাজ্যে বিরাট সাফল্য পেতে চলেছে। কেউ কেউ তো শাসকদল তৃণমূলের আসন সংখ্যা ১৫-র নীচেও নেমে আসার জল্পনা ছড়িয়ে দিয়েছিল। পাত্তা দেয়নি ইন্ডিয়া জোটকেও। আসলে একে বলে ভোটের আগেই ভোটারের মগজ ধোলাই! বোঝাই গিয়েছিল, এই ওপিনিয়ন পোলের মালিকদের সঙ্গে বাস্তবের মাটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। যেমন ধরুন, এবিপি সি ভোটারের সমীক্ষা রিপোর্ট জানিয়েছিল, ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৬৬টি আসন পেতে পারে এনডিএ। ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ১৫৬টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ২১টি আসন। ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স ভোটের আগেই বিরোধীদের কোমর ভেঙে দিতে চেয়েছিল। তাদের ওপিনিয়ন পোলের হিসেব ছিল, এনডিএ পাবে ৩৭৮ আসন আর ইন্ডিয়া জোট ৯৮। ‘ঈশ্বরের দূত’ নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করতে গিয়ে এরা ভুলেই গিয়েছিলেন আঞ্চলিক দলগুলির শক্তির অঙ্ক। ওপিনিয়ন পোলের মাতব্বররা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মিডিয়া ভোটের আগেই বিজেপিকে বার্তা দিতে চেয়েছে— আমি তোমাদেরই লোক। ফলে ভোট পর্বে কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন 
ঢুকেছে সেই সব মিডিয়ার কোষাগারে। ধর্মনিরপেক্ষর তকমা সাঁটা সেইসব মিডিয়ার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির রং হয়ে ওঠে গেরুয়া। এ তো প্রায় দেড় মাস ধরে জনগণই দেখেছে। সেই মিডিয়ার মাতব্বররা জানেনই না, গোটা ভোট পর্বে তারা ছিলেন জনগণের হাসির খোরাক। মজার কথা, এই রকম ওপিনিয়ন পোলগুলি যে ডিজিটাল মাধ্যমগুলি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়, ভোটের ফল উল্টো হলেই সেই সমীক্ষাগুলি উধাও হয়ে যায় সেই ডিজিটাল মাধ্যমগুলি থেকে। উল্টে তারাই সাফল্যে ভাগ বসাতে চায়। এ এক মজার খেলা!
এটা ঠিক, ভোটাররা জনমত সমীক্ষা শোনেন, তাকে গুরুত্ব দেন, ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’-এ অল্পবিস্তর প্রভাবিতও হন। জনতার যেহেতু জয়ীর সঙ্গে থাকার স্বাভাবিক প্রবণতা আছে, তাই সমীক্ষায় এগিয়ে থাকা দলের জনপ্রিয়তার গাড়িতে সওয়ার হতে সেই পক্ষে ভোট দিয়ে ফেলেন অনেকেই। ‘ব্যান্ডওয়াগন এফেক্ট’-এর উল্টোটাও সত্যি, যাকে বলা হয় ‘আন্ডারডগ এফেক্ট’। পিছিয়ে থাকা প্রার্থী বা দলের পক্ষেও বইতে পারে সহানুভূতির হাওয়া। কখনও আবার জনমত সমীক্ষা ভোটারদের নিরুৎসাহও করে দিতে পারে। আর বুথফেরত সমীক্ষা? বিভিন্ন কেন্দ্রে মানুষের ভোট দেওয়া হয়ে গেলে ভোটারদের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই কোথায় কোন দল কতগুলি আসন পাবে, তার ভবিষ্যদ্বাণী করে বুথফেরত সমীক্ষা। সাধারণত, কয়েকটি নির্বাচনী সংস্থা এই ধরনের সমীক্ষার আয়োজন করে থাকে। ভোটারদের ‘মনের কথা’ জানতে তারা ব্যবহার করে বেশ কিছু কৌশল। তার মাধ্যমেই তৈরি করা হয় নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল। সমীক্ষার জন্য প্রথমে বিভিন্ন কেন্দ্রের কয়েকটি বুথ বাছা হয়। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন সমীক্ষকেরা। ভোট দিয়ে ভোটাররা বেরলে তাঁদের নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন করা হয়। সেই উত্তরের ভিত্তিতে তৈরি করা হয় সমীক্ষার ফল। 
‘অল্টারনেটিভ মিডিয়া’-র বর্তমান আইকন রবীশ কুমার বুথফেরত সমীক্ষাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, আমরা সবাই একটা সংখ্যা জানতে চাই। আসলে আমাদের চোখের সামনে মোবাইল বা টেলিভিশনের পর্দায় একটা সংখ্যা আসুক, সেই প্রত্যাশা থাকে। সেই সংখ্যায় কেউ কীভাবে পৌঁছলেন, কোন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ওই সংখ্যায় উপনীত হলেন, তা জানার চেষ্টা করি না। যখন সেই সংখ্যাটা ভোটের ফলের সঙ্গে মিলে যায় বা আমাদের প্রত্যাশাকে পূর্ণ করে, তখন আমরা খুশি হই। আবার যখন আমাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সেই সংখ্যা, আসলে বুথফেরত সমীক্ষায় দেখানো কোনও নম্বর মেলে না, তখন আমরা হতাশ হই, ক্রুদ্ধ কিংবা ক্ষুব্ধ হই। কখনোই ওই সংখ্যায় পৌঁছানোর বিজ্ঞান বা তাত্ত্বিক দিকটাকে অনুসন্ধান করে দেখি না।
ঠিক যেমন হয়েছে এবারের লোকসভা ভোটেও। এবিপি নিউজ-সি ভোটার বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের ৪০০ আসনে জেতার পূর্বাভাস না দিলেও ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া এবং নিউজ ২৪- টুডেজ চাণক্যের বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটকে ‘৪০০ পার’ স্বপ্নপূরণের বার্তা দিয়েছিল। এবিপি নিউজ-সি ভোটারের পূর্বাভাস ছিল, এনডিএ ৩৫৩-৩৮৩, ‘ইন্ডিয়া’ ১৫২-১৮২ এবং অন্যেরা ৪-১২টি লোকসভা আসনে জিততে পারে। নিউজ ২৪- টুডেজ চাণক্যের মতে এনডিএ ৪০০, ‘ইন্ডিয়া’ ১০৭ এবং অন্যদের ৩৬টি লোকসভা আসনে জেতার সম্ভাবনা। এর মধ্যে একাই ৩৩৫টিতে জিততে পারে। কংগ্রেস জিততে পারে ৫০টিতে। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার ইঙ্গিত ছিল, এনডিএ ৩৬১-৪০১, ‘ইন্ডিয়া’ ১৩১-১৬৬ এবং অন্যেরা ৮-২০টি আসনে জিততে পারে। উল্টোদিকে, বিরোধীরা এবং আজকের দুনিয়ায় যাদের, ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ সাংবাদিক বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে, তাঁদের বক্তব্য ছিল, শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা রাখার জন্যেই কেন্দ্রের শাসক দল নিজেদের মতো করে বুথফেরত সমীক্ষাকে গড়েপিটে নিয়েছে। এই অভিযোগ যে কতটা ঠিক তা টের পাওয়া গিয়েছিল ফল প্রকাশের পরই।
লক্ষ্য করুন, খোদ নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ৪ জুনের পরে শেয়ার বাজার এত দৌড়বে যে হাঁফ ধরবে। অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন, ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে রাখুন। তারপরে বাজার চড়বে। বাস্তবে বুথ-ফেরত সমীক্ষাও মোদি সরকারের বিপুল আসনে জিতে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরে নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল সূচক। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ফল বেরনোর দিন ৪০০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় সেনসেক্স। লগ্নিকারীদের ৩১ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়। রাহুল গান্ধীর কথায়, এ যাবৎকালের ‘সবচেয়ে বড় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির’ ঘটনা। রাহুলের প্রশ্ন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন পাঁচ কোটি পরিবারকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন? এমন পরামর্শ দেওয়া কি তাঁদের কাজ? কেন তাঁরা এমন এক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে যে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সেবি?’ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, এটাই কি ছিল এবারের বুথফেরত সমীক্ষার খেলা?
ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, একাই তিনশোর বেশি এবং জোটে সাড়ে তিনশোর বেশি আসনের কৈলাস পর্বত থেকে ভোটাররা ‘পরমাত্মা’ নরেন্দ্র মোদিকে টেনে নামিয়েছেন জোট রাজনীতির মাটিতে। গোদি মিডিয়ার কেষ্ট-বিষ্টুদেরও উলঙ্গ করে দিয়েছে নির্বাচনের ফল। কারণ, মাত্র তিনদিন আগে তাঁদেরই চ্যানেলে চ্যানেলে বুথফেরত সমীক্ষায় ৩০০-৪০০ আসন দিয়ে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছিল মোদিকে। সেদিন গোদি মিডিয়া অবশ্য সেখানেই থামেনি। বুথফেরত সমীক্ষায় ইন্ডিয়া জোট তথা কংগ্রেস গোহারান হারছে দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে মোদি তৃতীয় মেয়াদে কী কী করবেন, ভারতকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন– এসব গভীর আলোচনাও চালানো হয়েছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে। আজতক নেটওয়ার্কের অ্যাঙ্কর অঞ্জনা ওম কাশ্যপ রীতিমত নাক ফুলিয়ে লাইভ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তাঁদের মতো বড় চ্যানেলে বিরোধীদের কোনও পরিসরই দেওয়া উচিত নয়। গত এক দশকে ভারতের প্রায় প্রত্যেক সংবাদমাধ্যমের মালিক এই ধরনের মেধাহীন, অর্ধশিক্ষিত সাংবাদিকদেরই দায়িত্বপূর্ণ পদে উন্নীত করেছেন। শেষ দফার নির্বাচনের পরে তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওতে রবীশ কুমার বলেছিলেন, চ্যানেলগুলিতে খরচ কমাতে রিপোর্টার যত কমানো হয়েছে, তত রমরমা হয়েছে অঞ্জনা ওম কাশ্যপদের মতো অ্যাঙ্করদের। খবরকে এক ধরনের অসুস্থ বিনোদনে পরিণত করে মানুষের মন বিষিয়ে দেওয়া এবং মোদিকে দোষগুণের অতীত এক সত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার কাজই করে গিয়েছে টিভি চ্যানেলগুলি। দিনরাত মোদিকে দেখানো, বিরোধীদের প্রায় না দেখানো, দেখালেও তাদের বক্তব্য এমনভাবে বিকৃত করা যাতে মোদির সুবিধা হয়— এইসব কৌশল দেশবাসীও বুঝে ফেলেছিলেন। ফলে ৪ জুন ইন্ডিয়া টুডের স্টুডিওতে অ্যাক্সিস-মাই ইন্ডিয়া সংস্থার প্রধান প্রদীপ গুপ্তা এসে নিজের পাহাড়প্রমাণ ভুলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেছিলেন। কারণ, ততক্ষণে গোটা দেশে উদোম হয়ে গিয়েছে তাঁদের খেলা। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘পেইড পোল’!
আর এই বাংলায়, একমাত্র কাগজ— যারা ফল প্রকাশের আগের দিনও লিখেছিল: মোদির বারাণসীতে ‘উল্টো ম্যাজিক’! এটা একটা উদাহরণ মাত্র। বাকিটা মিলিয়ে নিন দেড় মাসের ‘বর্তমান’ কাগজের খবরগুলি থেকেই।
13th  June, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
একনজরে
প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...

প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...

শারদীয়া উৎসবে সর্বত্র বসেছিল অস্থায়ী দোকান। সকলে ভেবেছিলেন, পুজোর সময় সিঁথি সার্কাস ময়দান লাগোয়া বি টি রোডের ধারে যেমন বসে তেমনই হয়তো বসেছে দোকানগুলি। কিন্তু ...

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM