বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
অস্থায়ী কর্মীদের এজেন্সির মালিক অজয়কুমার ঘোষ বলেন, ন’মাস নিয়মিত বিল পাচ্ছি না। প্রায় আড়াই কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। চারটে বিল জমা করা হলে সবচেয়ে কম টাকা ছাড়া হচ্ছে। একাধিকবার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানিয়েছি। বকেয়া না পেলে কী করে কর্মীদের বেতন দেব?
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এজেন্সির মাধ্যমে ওই কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালেও অনেক অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। সবমিলিয়ে প্রায় ২৫০ জন কাজ করেন। তাঁদের অভিযোগ, বালুরঘাট ট্রেজারি অফিস থেকে ন’মাস বেতন আটকে রাখা হয়েছে। এজেন্সির তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলাশাসককে লিখিত দিলেও সমাধান হয়নি। হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী খোকন সরকার বলেন, সামান্য টাকা বেতন। সেটাও না পাওয়ায় সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মঙ্গলবার থেকে জেলা হাসপাতালের সব পরিষেবা বন্ধ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করব।
বেতন বকেয়া নিয়ে সব দায় ট্রেজারি অফিসারের কাঁধে চাপিয়েছেন হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অর্ডারেও কর্মীদের বিল ছাড়ছেন না বালুরঘাটের ট্রেজারি অফিসার। তিনি ইচ্ছে করে কর্মীদের বেতন আটকে রেখেছেন।
জেলা কালেক্টর অফিসের ট্রেজারি অফিসার চিন্ময় হালদারকে ফোন ও মেসেজ করলেও তিনি উত্তর দেননি।
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের বড় অংশের কাজ অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে চলে। তাঁরা পরিষেবা বন্ধ করলে হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হতে পারে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, কর্মীরা যাতে পরিষেবা বন্ধ না করেন, সেই বিষয়টি দেখছি। দ্রুত সমাধান করা হবে।